‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া’
আওয়ামী লীগের ইতিহাস হলো গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাসই হলো গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। এই দেশে প্রথম মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয় বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে৷ এরা সেই দল যারা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে এক দলীয় স্বৈরশাসন কায়েম করেছিল।’
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের সম্মেলনে দাওয়াত পায় না। বিশ্ব স্বীকার করে না যে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ হাইব্রিড গণতন্ত্রের দেশ। যেখানে বিরোধী দলকে আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয়, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়, যেখানে স্বাধীনভাবে নির্বাচন হয় না কিন্তু নামে গণতন্ত্র থাকে সেটাকে বলে হাইব্রিড গণতন্ত্র।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করে ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
চলমান স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন, স্বাধীনতার সংগ্রাম বা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইটা শুরু করে ছাত্ররা। সেটা বেগবান হয় যখন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় শ্রমিক, যুব সংগঠন এবং জনগণ। আগামীতেও এর ব্যতিক্রম হবে না।’
সবাইকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।’
বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক ছাত্র নেতা এম এ জলিল, ব্যারিষ্টার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ প্রমুখ। ।
এমএইচ/এমএমএ/