রাজনীতি এখন সবচেয়ে বড় পেশা: ফিরোজ রশীদ
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জাতি আজ দুভাগে বিভক্ত। নিরপক্ষে কেউ নেই, নিরপেক্ষ লোকই তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জীবনকে রাতারাতি বদলে দেওয়ার একমাত্র পন্থা হচ্ছে রাজনীতি। এখন এটা পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে রাজনীতি নেশা ছিল, জীবনকে বাজি রেখে রাজনীতি করত। এখন এটা সবচেয়ে বড় পেশা।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে দেখা যেত পাত্র যদি রাজনীতি করে তাহলে বিয়ে দিত না। কারণ, সে কোনো চাকরি পাবে না, তাহলে সে খাওয়াবে কী? খাওয়াতে হলে পত্রিকা অফিসে চাকরি করতে হবে, নাহলে বটতলার উকিল হতে হবে, না হয় মুদি দোকানদার হতে হবে অথবা এজিবির কেরানিগিরি। কার কাছে মেয়ে দেবে? কিন্তু এখন যদি শোনে যে পাত্র সরকারি দল করে, তাহলে কয় আলহামদুলিল্লাহ। এর চেয়ে ভালো পাত্র আর হবে না। কারণ সে কিছু করতে পারবে।’
রবিবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ফিরোজ রশীদ প্রশ্ন রাখেন, টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, পেছনে কারা? লাইসেন্স তো বিক্রি করে দিচ্ছে। সমস্ত টেলিভিশন কাদের হাতে যাচ্ছে? যাকে লাইসেন্স দিচ্ছেন সে শুধু আপনাদের সঙ্গে আছে।
এ আমলে বিএনপির ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবসা পেয়েছে দাবি করেন জাতীয় পার্টির এই এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ব্যবসা এনে দেয়। আর পিছে থাকে বড় বড় বিএনপি। এটা বাস্তবতা।
জাতীয় পার্টির এই এমপি বলেন, সংসদের অনেক অর্জনের সঙ্গে ‘দুর্বলতাও’ আছে। আজ পর্যন্ত একটা কমিশন (বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনায়) গঠন করতে পারছেন না। কারা জড়িত ছিল এই জাতি যদি জানতে না পারে, তাহলে ইতিহাসের ভগ্নাংশ রেখে লাভ নাই।
কারণ, বঙ্গবন্ধুকে মারা ছিল বিশাল ষড়যন্ত্রের কাজ। ডালিম, ফারুক, রশীদ গিয়ে করল, তা নয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল, তা আপনারা বের করলেন না।
তিনি বলেন, ‘চরম বামপন্থী, চরম দক্ষিণপন্থী-তাদের নাম উচ্চারণ করা যাবে না। কারণ, সমস্ত নৌকায় উঠে চলে গেছে। নৌকাতো আপনারা বাইবেন। নৌকার পাইলট আপনারা। তারা উঠে বসে আছেন। বলে, মাঝি আর কতদূর? পার হতে কতদূর। নির্বাচনের আর নয় মাস আছে। এরপরই পার করে দিব। তারপর পাঁচ বছরের জন্য আপনারা নিশ্চিন্ত। তারা নৌকায় উঠে বসে গেছে। এইতো অবস্থা আওয়ামী লীগের।
এনএইচবি/এমএমএ/