বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাক্ষাৎকার

নতুন কমিটি অবশ্যই গণফোরাম না: মোকাব্বির খান

গণফোরাম দুই ভাগ হয়েছে। একভাগে ড. কামাল হোসেন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। অন্যদিকে দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যতম নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি এবং সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে মন্টুপন্থীদের কাউন্সিলের সাংগঠনিক সভা শেষে ১৫৭ সদস্যের এ কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।

এই বিভক্তিতে মূল গণফোরামের ক্ষতি হল কি না, নতুন এই দলের ভবিষ্যৎ-ই বা কী এসব নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলের নির্বাহী সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

গণফোরাম বিভক্ত হয়নি বলে দাবি করেছেন দলটির নির্বাহী সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। তিনি বলেছেন, ‘গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন আছেন, থাকবেন আমাদের মাথার মুকুট হিসেবে। মন্টু সাহেব আর সুব্রত সাহেব যেটা করেছে ওটা অবশ্যই গণফোরাম না। বিচ্ছিন্ন কিছু লোক একটি পার্টি করেছে।’ তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লা।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে বাদ দিয়ে গণফোরামের যে কমিটি হলো সে সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

মোকাব্বির খান: ‘ড. কামাল হোসেন সাহেবকে বাদ দিয়ে তারা এই কমিটি করেছে। কামাল হোসেন সাহেব আগের দিন আমাকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেটি মন্টু সাহেবকেও দিয়েছিলেন। সেখানে লেখা, তিনি সারাজীবন ঐক্যের জন্য কাজ করেছেন। তিনি দলের মধ্যে কোন ধরনের বিভক্তি চান না।’

‘আমাকে লিখেছিলেন আপনি এবং মন্টু সাহেব মিলে আপনার দলকে একত্রিত করনের ব্যাপারে এবং আপনারা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। তাদের ওখানে একটি শুভেচ্ছাবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তাদের কমিটি ঘোষণার পর এটি তারা পড়ে শুনিয়েছেন।’

‘মন্টু সাহেবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে আপনারা একটা অনুষ্ঠান করেন। আমাদের ঘাটতি যেগুলো আছে, সেই ঘাটতিগুলো কিভাবে টিহ্নিত করব, তারপর আমরা ঘাটতিগুলো নিয়ে আলোচনা করব এবং আগামী দিনের গণফোরামের কর্মসূচি কি হবে? গণফোরামের মাধ্যমে আমরা কিভাবে মানুষের আকাঙক্ষা বাস্তবায়ন করব, সেটা নিয়ে আলোচনা করব। এতে তিনি সম্মত হলেন না। কালকে দেখলাম তিনি (মন্টু) সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে জেনারেল সেক্রেটারি করে ১৫৮ জনের কমিটি করেছেন। তিনি যা করেছেন তা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। করতেই পারেন। বাংলাদেশে তো আরও ৪০-৫০টি পার্টি আছে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত।

ঢাকাপ্রকাশ: গণফোরামের ভবিষৎ কী?

মোকাব্বির: আমরা যারা আছি গণফোরামের নীতি আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছি, করব। আমরা কখনও গণফোরাম থেকে লাইনচ্যুত হব না। ড. কামাল হোসেনকে আমাদের মাথার মুকুট হিসাবে রেখে আমরা আমাদের রাজনীতি করব। আমরা ড. কামাল হোসেনকে বলেছি, আপনাকে কিছু করতে হবে না, আপনার নীতি-আদর্শ মূল্যবোধ এগুলোকে আমরা ধারণ করে রাজনীতি করে যাব। আপনার কাছ থেকে ফিজিক্যালি কোনো সাপোর্ট চাই না। আমরা গণফোরামের দীর্ঘ ২৮ বছরের ঐতিহ্য ধারণ করেই এগিয়ে যেতে চাই।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে গণফোরাম কি দুই ভাগ হয়ে গেলো?

মোকাব্বির: না, গণফোরাম ভাগ হয়েছে সেটি আমি বলব না। গণফোরাম গণফোরামের জায়গাতে ঠিকই আছে। বিচ্ছিন্ন কিছু লোক গণফোরাম থেকে চলে গেছে। অন্য একটি পার্টি করেছে। এটি তাদের সাংবিধানিক অধিকার। সভা-সমিতি এইগুলো করার তাদের অধিকার আছে। সেটি তারা করতেই পারেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কি তাহলে এই বিভক্তি মেনে নিয়েছেন?

মোকাব্বির: ড. কামাল হোসেন স্যার নিজেই তার কথা বলতে পারবেন। আমি গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে বলতে পারি, গণফোরামের সঙ্গে আছি। আমরা সম্মেলন করতে যাচ্ছি ২৯ জানুয়ারি। নতুন যেটি হয়েছে গণফোরাম ছেড়ে সেখানে আমার যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তারা এটিকে গণফোরাম বলতে পারেন না। কারণ গণফোরামের নামে আমাদের বিদ্যমান কমিটি আছে। সেই কমিটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গৃহীত। আমাদের অফিস করেছি, সেই অফিসে রেকর্ডেড কমিটি আছে। আমরা যে অডিট রিপোর্ট সাবমিট করেছি সেই অডিট রিপোর্ট গৃহীত হয়েছে। সেখানে ড. কামাল হোসেন সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট শফিকুল্লাহ সাধারণ সম্পাদক, আমি নির্বাহী সভাপতি। তারা যেটি করেছেন তা বিচ্ছিন্ন একটি গ্রুপ। তারা বিচ্ছন্নভাবে করার মানে এটি নয় যে, তারা গণফোরামের অংশ হয়ে গেলেন।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন যে কমিটি হয়েছে সেটি কি গণফোরামের অংশ?

মোকাব্বির খান: অবশ্যই তারা গণফোরামের অংশ নয়।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে তারা যে নাম দিয়েছে এতে গণফোরামের ভাবমূর্তি নষ্ট হলো কি-না?

মোকাব্বির: না, মানুষ তো এইগুলো দেখবে কারা গণফোরাম। আপনার নামে যদি আমার নামটি সংযুক্ত করি তাহলে আপনি আর আমি কি এক হয়ে গেলাম? তাছাড়া আমাদের দলের নিবন্ধন আছে। প্রশ্ন আসতে পারে তারা আমাদের প্রতীক ব্যবহার করছেন। তবে নির্বাচন কমিশনে সেটি ধোপে টিকবে না। গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন, তিনি এখনও সভাপতি আছেন। এই দলের একমাত্র ব্যক্তি আমি যে কি না দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছি। সেখানে তো মন্টু সাহেব সুব্রত সাহেবের কথাই ওঠে না। এখন কেউ গায়ে পড়ে যদি কিছু বলে সেক্ষেত্রে বলার কিছু নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন ওটা গণফোরাম না?

মোকাব্বির: আমি দায়িত্ব নিয়ে ১০০ ভাগ বলতে পারি সেটি গণফোরামের দল না। গণফোরাম একটি নিবন্ধিত দল। আমি এই দলের প্রতিনিধিত্ব করছি জাতীয় সংসদে। সেই দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনাদের দলের নাম ও প্রতীক ব্যবহার করছে তাহলে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি-না?

মোকাব্বির: এই ব্যাপারে আমি দায়িত্ব নিয়ে কিছু বলতে পারব না এই মুহূর্তে। এটি আলোচনায় আসেনি। ব্যবস্থা গ্রহণ করব কি করব না সেটি বসে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন যে কমিটি হলো সেটার ভবিষ্যৎ কী দেখছেন?

মোকাব্বির: কার কি ভবিষ্যৎ সেটি জনগণ নির্ধারণ করবে। তবে আমাদের গণফোরামের ভবিষৎ উজ্জ্বল। কামাল হোসেন স্যার এর নীতি-আদর্শ ধারণ করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তার কথা মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। জেলায়-জেলায় আমরা ব্যাপকভাবে মানুষের সমর্থন পাচ্ছি।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত