সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাক্ষাৎকার

নতুন কমিটি অবশ্যই গণফোরাম না: মোকাব্বির খান

গণফোরাম দুই ভাগ হয়েছে। একভাগে ড. কামাল হোসেন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। অন্যদিকে দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যতম নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি এবং সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে মন্টুপন্থীদের কাউন্সিলের সাংগঠনিক সভা শেষে ১৫৭ সদস্যের এ কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।

এই বিভক্তিতে মূল গণফোরামের ক্ষতি হল কি না, নতুন এই দলের ভবিষ্যৎ-ই বা কী এসব নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলের নির্বাহী সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

গণফোরাম বিভক্ত হয়নি বলে দাবি করেছেন দলটির নির্বাহী সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। তিনি বলেছেন, ‘গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন আছেন, থাকবেন আমাদের মাথার মুকুট হিসেবে। মন্টু সাহেব আর সুব্রত সাহেব যেটা করেছে ওটা অবশ্যই গণফোরাম না। বিচ্ছিন্ন কিছু লোক একটি পার্টি করেছে।’ তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লা।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে বাদ দিয়ে গণফোরামের যে কমিটি হলো সে সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

মোকাব্বির খান: ‘ড. কামাল হোসেন সাহেবকে বাদ দিয়ে তারা এই কমিটি করেছে। কামাল হোসেন সাহেব আগের দিন আমাকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেটি মন্টু সাহেবকেও দিয়েছিলেন। সেখানে লেখা, তিনি সারাজীবন ঐক্যের জন্য কাজ করেছেন। তিনি দলের মধ্যে কোন ধরনের বিভক্তি চান না।’

‘আমাকে লিখেছিলেন আপনি এবং মন্টু সাহেব মিলে আপনার দলকে একত্রিত করনের ব্যাপারে এবং আপনারা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। তাদের ওখানে একটি শুভেচ্ছাবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তাদের কমিটি ঘোষণার পর এটি তারা পড়ে শুনিয়েছেন।’

‘মন্টু সাহেবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে আপনারা একটা অনুষ্ঠান করেন। আমাদের ঘাটতি যেগুলো আছে, সেই ঘাটতিগুলো কিভাবে টিহ্নিত করব, তারপর আমরা ঘাটতিগুলো নিয়ে আলোচনা করব এবং আগামী দিনের গণফোরামের কর্মসূচি কি হবে? গণফোরামের মাধ্যমে আমরা কিভাবে মানুষের আকাঙক্ষা বাস্তবায়ন করব, সেটা নিয়ে আলোচনা করব। এতে তিনি সম্মত হলেন না। কালকে দেখলাম তিনি (মন্টু) সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে জেনারেল সেক্রেটারি করে ১৫৮ জনের কমিটি করেছেন। তিনি যা করেছেন তা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। করতেই পারেন। বাংলাদেশে তো আরও ৪০-৫০টি পার্টি আছে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত।

ঢাকাপ্রকাশ: গণফোরামের ভবিষৎ কী?

মোকাব্বির: আমরা যারা আছি গণফোরামের নীতি আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছি, করব। আমরা কখনও গণফোরাম থেকে লাইনচ্যুত হব না। ড. কামাল হোসেনকে আমাদের মাথার মুকুট হিসাবে রেখে আমরা আমাদের রাজনীতি করব। আমরা ড. কামাল হোসেনকে বলেছি, আপনাকে কিছু করতে হবে না, আপনার নীতি-আদর্শ মূল্যবোধ এগুলোকে আমরা ধারণ করে রাজনীতি করে যাব। আপনার কাছ থেকে ফিজিক্যালি কোনো সাপোর্ট চাই না। আমরা গণফোরামের দীর্ঘ ২৮ বছরের ঐতিহ্য ধারণ করেই এগিয়ে যেতে চাই।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে গণফোরাম কি দুই ভাগ হয়ে গেলো?

মোকাব্বির: না, গণফোরাম ভাগ হয়েছে সেটি আমি বলব না। গণফোরাম গণফোরামের জায়গাতে ঠিকই আছে। বিচ্ছিন্ন কিছু লোক গণফোরাম থেকে চলে গেছে। অন্য একটি পার্টি করেছে। এটি তাদের সাংবিধানিক অধিকার। সভা-সমিতি এইগুলো করার তাদের অধিকার আছে। সেটি তারা করতেই পারেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কি তাহলে এই বিভক্তি মেনে নিয়েছেন?

মোকাব্বির: ড. কামাল হোসেন স্যার নিজেই তার কথা বলতে পারবেন। আমি গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে বলতে পারি, গণফোরামের সঙ্গে আছি। আমরা সম্মেলন করতে যাচ্ছি ২৯ জানুয়ারি। নতুন যেটি হয়েছে গণফোরাম ছেড়ে সেখানে আমার যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তারা এটিকে গণফোরাম বলতে পারেন না। কারণ গণফোরামের নামে আমাদের বিদ্যমান কমিটি আছে। সেই কমিটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গৃহীত। আমাদের অফিস করেছি, সেই অফিসে রেকর্ডেড কমিটি আছে। আমরা যে অডিট রিপোর্ট সাবমিট করেছি সেই অডিট রিপোর্ট গৃহীত হয়েছে। সেখানে ড. কামাল হোসেন সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট শফিকুল্লাহ সাধারণ সম্পাদক, আমি নির্বাহী সভাপতি। তারা যেটি করেছেন তা বিচ্ছিন্ন একটি গ্রুপ। তারা বিচ্ছন্নভাবে করার মানে এটি নয় যে, তারা গণফোরামের অংশ হয়ে গেলেন।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন যে কমিটি হয়েছে সেটি কি গণফোরামের অংশ?

মোকাব্বির খান: অবশ্যই তারা গণফোরামের অংশ নয়।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে তারা যে নাম দিয়েছে এতে গণফোরামের ভাবমূর্তি নষ্ট হলো কি-না?

মোকাব্বির: না, মানুষ তো এইগুলো দেখবে কারা গণফোরাম। আপনার নামে যদি আমার নামটি সংযুক্ত করি তাহলে আপনি আর আমি কি এক হয়ে গেলাম? তাছাড়া আমাদের দলের নিবন্ধন আছে। প্রশ্ন আসতে পারে তারা আমাদের প্রতীক ব্যবহার করছেন। তবে নির্বাচন কমিশনে সেটি ধোপে টিকবে না। গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন, তিনি এখনও সভাপতি আছেন। এই দলের একমাত্র ব্যক্তি আমি যে কি না দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছি। সেখানে তো মন্টু সাহেব সুব্রত সাহেবের কথাই ওঠে না। এখন কেউ গায়ে পড়ে যদি কিছু বলে সেক্ষেত্রে বলার কিছু নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন ওটা গণফোরাম না?

মোকাব্বির: আমি দায়িত্ব নিয়ে ১০০ ভাগ বলতে পারি সেটি গণফোরামের দল না। গণফোরাম একটি নিবন্ধিত দল। আমি এই দলের প্রতিনিধিত্ব করছি জাতীয় সংসদে। সেই দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনাদের দলের নাম ও প্রতীক ব্যবহার করছে তাহলে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি-না?

মোকাব্বির: এই ব্যাপারে আমি দায়িত্ব নিয়ে কিছু বলতে পারব না এই মুহূর্তে। এটি আলোচনায় আসেনি। ব্যবস্থা গ্রহণ করব কি করব না সেটি বসে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন যে কমিটি হলো সেটার ভবিষ্যৎ কী দেখছেন?

মোকাব্বির: কার কি ভবিষ্যৎ সেটি জনগণ নির্ধারণ করবে। তবে আমাদের গণফোরামের ভবিষৎ উজ্জ্বল। কামাল হোসেন স্যার এর নীতি-আদর্শ ধারণ করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তার কথা মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। জেলায়-জেলায় আমরা ব্যাপকভাবে মানুষের সমর্থন পাচ্ছি।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার