সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাক্ষাৎকার

নতুন কমিটি অবশ্যই গণফোরাম না: মোকাব্বির খান

গণফোরাম দুই ভাগ হয়েছে। একভাগে ড. কামাল হোসেন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। অন্যদিকে দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যতম নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি এবং সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে মন্টুপন্থীদের কাউন্সিলের সাংগঠনিক সভা শেষে ১৫৭ সদস্যের এ কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।

এই বিভক্তিতে মূল গণফোরামের ক্ষতি হল কি না, নতুন এই দলের ভবিষ্যৎ-ই বা কী এসব নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলের নির্বাহী সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

গণফোরাম বিভক্ত হয়নি বলে দাবি করেছেন দলটির নির্বাহী সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। তিনি বলেছেন, ‘গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন আছেন, থাকবেন আমাদের মাথার মুকুট হিসেবে। মন্টু সাহেব আর সুব্রত সাহেব যেটা করেছে ওটা অবশ্যই গণফোরাম না। বিচ্ছিন্ন কিছু লোক একটি পার্টি করেছে।’ তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহজাহান মোল্লা।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে বাদ দিয়ে গণফোরামের যে কমিটি হলো সে সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

মোকাব্বির খান: ‘ড. কামাল হোসেন সাহেবকে বাদ দিয়ে তারা এই কমিটি করেছে। কামাল হোসেন সাহেব আগের দিন আমাকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেটি মন্টু সাহেবকেও দিয়েছিলেন। সেখানে লেখা, তিনি সারাজীবন ঐক্যের জন্য কাজ করেছেন। তিনি দলের মধ্যে কোন ধরনের বিভক্তি চান না।’

‘আমাকে লিখেছিলেন আপনি এবং মন্টু সাহেব মিলে আপনার দলকে একত্রিত করনের ব্যাপারে এবং আপনারা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। তাদের ওখানে একটি শুভেচ্ছাবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তাদের কমিটি ঘোষণার পর এটি তারা পড়ে শুনিয়েছেন।’

‘মন্টু সাহেবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে আপনারা একটা অনুষ্ঠান করেন। আমাদের ঘাটতি যেগুলো আছে, সেই ঘাটতিগুলো কিভাবে টিহ্নিত করব, তারপর আমরা ঘাটতিগুলো নিয়ে আলোচনা করব এবং আগামী দিনের গণফোরামের কর্মসূচি কি হবে? গণফোরামের মাধ্যমে আমরা কিভাবে মানুষের আকাঙক্ষা বাস্তবায়ন করব, সেটা নিয়ে আলোচনা করব। এতে তিনি সম্মত হলেন না। কালকে দেখলাম তিনি (মন্টু) সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে জেনারেল সেক্রেটারি করে ১৫৮ জনের কমিটি করেছেন। তিনি যা করেছেন তা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। করতেই পারেন। বাংলাদেশে তো আরও ৪০-৫০টি পার্টি আছে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত।

ঢাকাপ্রকাশ: গণফোরামের ভবিষৎ কী?

মোকাব্বির: আমরা যারা আছি গণফোরামের নীতি আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছি, করব। আমরা কখনও গণফোরাম থেকে লাইনচ্যুত হব না। ড. কামাল হোসেনকে আমাদের মাথার মুকুট হিসাবে রেখে আমরা আমাদের রাজনীতি করব। আমরা ড. কামাল হোসেনকে বলেছি, আপনাকে কিছু করতে হবে না, আপনার নীতি-আদর্শ মূল্যবোধ এগুলোকে আমরা ধারণ করে রাজনীতি করে যাব। আপনার কাছ থেকে ফিজিক্যালি কোনো সাপোর্ট চাই না। আমরা গণফোরামের দীর্ঘ ২৮ বছরের ঐতিহ্য ধারণ করেই এগিয়ে যেতে চাই।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে গণফোরাম কি দুই ভাগ হয়ে গেলো?

মোকাব্বির: না, গণফোরাম ভাগ হয়েছে সেটি আমি বলব না। গণফোরাম গণফোরামের জায়গাতে ঠিকই আছে। বিচ্ছিন্ন কিছু লোক গণফোরাম থেকে চলে গেছে। অন্য একটি পার্টি করেছে। এটি তাদের সাংবিধানিক অধিকার। সভা-সমিতি এইগুলো করার তাদের অধিকার আছে। সেটি তারা করতেই পারেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কি তাহলে এই বিভক্তি মেনে নিয়েছেন?

মোকাব্বির: ড. কামাল হোসেন স্যার নিজেই তার কথা বলতে পারবেন। আমি গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে বলতে পারি, গণফোরামের সঙ্গে আছি। আমরা সম্মেলন করতে যাচ্ছি ২৯ জানুয়ারি। নতুন যেটি হয়েছে গণফোরাম ছেড়ে সেখানে আমার যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তারা এটিকে গণফোরাম বলতে পারেন না। কারণ গণফোরামের নামে আমাদের বিদ্যমান কমিটি আছে। সেই কমিটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গৃহীত। আমাদের অফিস করেছি, সেই অফিসে রেকর্ডেড কমিটি আছে। আমরা যে অডিট রিপোর্ট সাবমিট করেছি সেই অডিট রিপোর্ট গৃহীত হয়েছে। সেখানে ড. কামাল হোসেন সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট শফিকুল্লাহ সাধারণ সম্পাদক, আমি নির্বাহী সভাপতি। তারা যেটি করেছেন তা বিচ্ছিন্ন একটি গ্রুপ। তারা বিচ্ছন্নভাবে করার মানে এটি নয় যে, তারা গণফোরামের অংশ হয়ে গেলেন।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন যে কমিটি হয়েছে সেটি কি গণফোরামের অংশ?

মোকাব্বির খান: অবশ্যই তারা গণফোরামের অংশ নয়।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে তারা যে নাম দিয়েছে এতে গণফোরামের ভাবমূর্তি নষ্ট হলো কি-না?

মোকাব্বির: না, মানুষ তো এইগুলো দেখবে কারা গণফোরাম। আপনার নামে যদি আমার নামটি সংযুক্ত করি তাহলে আপনি আর আমি কি এক হয়ে গেলাম? তাছাড়া আমাদের দলের নিবন্ধন আছে। প্রশ্ন আসতে পারে তারা আমাদের প্রতীক ব্যবহার করছেন। তবে নির্বাচন কমিশনে সেটি ধোপে টিকবে না। গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন, তিনি এখনও সভাপতি আছেন। এই দলের একমাত্র ব্যক্তি আমি যে কি না দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছি। সেখানে তো মন্টু সাহেব সুব্রত সাহেবের কথাই ওঠে না। এখন কেউ গায়ে পড়ে যদি কিছু বলে সেক্ষেত্রে বলার কিছু নাই।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন ওটা গণফোরাম না?

মোকাব্বির: আমি দায়িত্ব নিয়ে ১০০ ভাগ বলতে পারি সেটি গণফোরামের দল না। গণফোরাম একটি নিবন্ধিত দল। আমি এই দলের প্রতিনিধিত্ব করছি জাতীয় সংসদে। সেই দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনাদের দলের নাম ও প্রতীক ব্যবহার করছে তাহলে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি-না?

মোকাব্বির: এই ব্যাপারে আমি দায়িত্ব নিয়ে কিছু বলতে পারব না এই মুহূর্তে। এটি আলোচনায় আসেনি। ব্যবস্থা গ্রহণ করব কি করব না সেটি বসে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন যে কমিটি হলো সেটার ভবিষ্যৎ কী দেখছেন?

মোকাব্বির: কার কি ভবিষ্যৎ সেটি জনগণ নির্ধারণ করবে। তবে আমাদের গণফোরামের ভবিষৎ উজ্জ্বল। কামাল হোসেন স্যার এর নীতি-আদর্শ ধারণ করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তার কথা মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। জেলায়-জেলায় আমরা ব্যাপকভাবে মানুষের সমর্থন পাচ্ছি।

Header Ad
Header Ad

বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামে রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত, যা শারীরিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে, যারা অতিশয় বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন অথবা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন, যাদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই, তাদের জন্য শরিয়ত সহজ বিধান রেখেছে। এই ধরনের ব্যক্তি রোজা রাখতে বাধ্য নন এবং তাদের জন্য বিকল্প হিসেবে ফিদিয়া প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে।

আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা কুরআনে বলেছেন: "হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকে, তাহলে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আর যাদের জন্য রোজা কষ্টদায়ক, তারা প্রতিদিন একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করবে।" (সূরা বাকারা: ১৮৩-১৮৪)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, এটি বিশেষভাবে অতি বৃদ্ধ নর ও নারীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা রোজা পালনে অক্ষম। তাদের জন্য প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানোর বিধান রয়েছে (বুখারী: ৪৫০৫)।

ফিদিয়া আদায়ের নিয়ম:
যে ব্যক্তি রোজা রাখতে অক্ষম, তিনি প্রতিদিনের জন্য একজন দরিদ্রকে সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ খাবার প্রদান করবেন অথবা সকাল-বিকেল পেট ভরে খাবার খাওয়াবেন। তবে, যদি কেউ স্বেচ্ছায় বেশি দান করতে চান, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে।

ইসলাম একটি সহজ ও সহনশীল ধর্ম। যারা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে অক্ষম, তাদের ওপর আল্লাহ কোনো কঠোরতা চাপিয়ে দেননি। তাদের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া দেওয়া যথেষ্ট, যা ইসলামিক বিধানের সহজ ও বাস্তবসম্মত দিককে প্রতিফলিত করে।

 

Header Ad
Header Ad

শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

ব্রিফ করছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (ইনসটে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি)। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

শিক্ষা সফরের ৪ বাসে টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে শিক্ষা ডাকাতির ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মো. মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রংপুরের শফিকুল ইসলাম শরিফ (১৯), এবং রূপন চন্দ্র ভাট (২৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত ১ টি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারা স্থানীয় ডাকাত হিসেবে পরিচিত। গ্রেফতারকৃতদের মাধ্যমে যাচাই করে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সদর এবং বাসান এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম শরিফ এবং রূপন চন্দ্র ভাটকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুজন বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে। অন্য ৪ জন বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্য ৫ জন গত শনিবার পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থানায় একটি বাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। তাদের শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে টাঙ্গাইলে আনা হবে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতের শেষদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪টি বাসে করে নাটোরের একটি পিকনিক স্পটের দিকে রওনা দেয়। বাসগুলোর মধ্যে প্রায় ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৪০ জন অভিভাবকসহ মোট ১৮০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বাসগুলো টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের ফুলমালির চালা এলাকায় পৌঁছালে, সড়কে গাছ ফেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জন ডাকাত বাসে উঠে ডাকাতি চালায়। এ সময় তারা ১.৫ লাখ টাকা, ১.৫ ভরি স্বর্ণ এবং ১০টি স্মার্টফোন লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মারধরের শিকার হন ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন (২৫) এবং অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার (৩৯)। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

Header Ad
Header Ad

মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৩ মার্চ) বিচারপতি সহিদুল করিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী পারভেজ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০১৫ সালে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল দুদকের পক্ষ থেকে মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়, যেখানে তার নিজের, স্ত্রীর ও নির্ভরশীলদের নামে থাকা সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিবরণী জমা না দেওয়ায় ওই বছরের ১৩ জুন দুদকের উপপরিচালক নূর আহম্মেদ গুলশান থানায় এ মামলা করেন।

হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান এই মামলার সাজা থেকে অব্যাহতি পেলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?
শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার
মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস
সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার  
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন
মিঠাপুকুরে স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ওসির বাড়িতে ডাকাতি: গুলি করে নিয়ে গেছে ৩টি গরু  
ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন দাবি সাংবাদিক ইলিয়াসের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সুজনের মানবেতর জীবন
হিমাগারে আলু রাখতে কেজিতে লাগবে পৌনে ৭ টাকা
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে আগুন, চারজনের মৃত্যু
হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি
আদালতে কাঁদলেন কামাল, বললেন আর আওয়ামী লীগ করব না (ভিডিও)
গাজীপুরে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন, কয়েক কারখানায় ছুটি
পুরো গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা ইসরায়েলের
পলাতক একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. ইউনূস
যাদের হাতে উঠল এবারের অস্কার  
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন আবরার ফাহাদ
পাকিস্তানে গাড়িতে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৬
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া