শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজনৈতিক উসকানির অভিযোগ ওবায়দুল কাদেরের
ছবি : সংগৃহীত
নিরাপদ সড়কের দাবিতে কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছেন তাতে রাজনৈতিক উসকানি রয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আন্দোলনের ভিডিও ফুটেজ দেখে উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সড়ক নিরাপত্তামূলক রোড শোতে অংশ নিয়ে এমন কথা বলেন তিনি। সড়ক নিরাপত্তা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই রোড শো-এর আয়োজন করা হয়।
সরকারিভাবে বাসের ভাড়া বাড়ানোর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আগের মতো অর্ধেক ভাড়া দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল। প্রতিদিনই তারা সড়ক আটকে বিক্ষোভ করছে।
গত ২৪ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নটরডেম কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আন্দোলন শুরু হয়। পরে রামপুরায় বাসের চাপায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে ‘হাফ’ ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নয় দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের একটি দল। তাদের দাবি, কেবল ঢাকা মহানগরে নয়, ‘হাফ’ ভাড়া চালু করতে হবে সারা দেশে এবং সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টার বদলে তা হতে হবে ২৪ ঘণ্টার জন্য।
দাবি আদায়ে গত বুধবার সকালে ঢাকার রামপুরায় বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া আজ লাল কার্ড দেখানো কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনৈতিক দল থেকে শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়া হয়। সেটার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। এর ভিডিও ফুটেজও আছে। স্কুলের ড্রেস পরে একটি রাজনৈতিক দলের মহানগরের মহিলা নেত্রী রামপুরায় রাস্তায় নেমে ছাত্রছাত্রীদের উস্কানি দিচ্ছেন। তারপরেও এই আন্দোলনটি একটি বিশেষ এলাকায় সীমাবদ্ধ রয়েছে। এটা রামপুরা এলাকাতেই শুধু হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা যখন আন্দোলন শেষে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করছে তখনি রাজনৈতিক উসকানি দিচ্ছে একটি মহল।'
এ সময় কুয়েটের প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুতে অস্বাভাবিকতা পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
টিটি/