বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে দেশের রাজনীতি এখন উত্তপ্ত। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথের বিরোধীদল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নানান কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে।

অপরদিকে, সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো ঘোষণা দিয়ে রাজপথে রয়েছে। তারা বলছে, আন্দোলনের নামে বিএনপি যাতে আগুন সন্ত্রাস, জ্বালা-পোড়াও করতে না পারে, জানমালের ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য তারা সতর্ক পাহারায় রয়েছেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। বিএনপির সঙ্গে মাঠের রাজনীতিতে থাকা সমমনা দলের নেতারা বলছেন, কর্মসূচির বিপরীতে কর্মসূচি দিয়ে রাজনীতি ও রাজপথকে আওয়ামী লীগই উত্তপ্ত করে তুলেছে।

বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীরা মনে করেন, সমঝোতায় সমাধানের কোনো পথ নেই। সরকারের পতন ঘটাতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য বিএনপি গত অক্টোবর থেকে একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। এসব কর্মসূচির মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে দলের নেতা-কর্মীকে চাঙা করা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাকি আর ১১ মাস। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজপথে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তৃতা-বিবৃতিতেও আগুন ঝড়ছে। অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচনের বছরে এসে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। তারা বলছেন, দুর্ভাগ্যজনক হলো-রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথেই সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালায়। এর খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকে।

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই রাজনীতির মাঠে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির উত্তাপ শুরু হয়। বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে ও নির্দেশে। তাদের এমন বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগও রাজপথে সক্রিয় হওয়ার ঘোষণা দেয়।

তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি ওসমমনা দলগুলোর যত রাজনৈতিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে তার প্রতিটিতে পাল্টা সভা-সমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এদিকে বিএনপি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চার দিনব্যাপী রাজধানীতে পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

আগামী ২৮ জানুয়ারি বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে মালিবাগ আবুল হোটেল পর্যন্ত; ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত; ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে শুরু হয়ে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে শুরু করে মালিবাগ পর্যন্ত গিয়ে পদযাত্রা শেষ হবে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্রই হচ্ছে গায়ে পড়ে ঝগড়া করা। সন্ত্রাস এদের রাজনৈতিক ইতিহাস। দলটি এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয় তাদের এত বেশি দেখা দিয়েছে যে, এখন বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগও কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে থাকছে এটাই তা প্রমাণ করে।

রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু তাদের রাজপথে থাকার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো-উসকানি দেওয়া এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেকে একটা সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া। সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি করা। কিন্তু বিএনপি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আন্দোলন করছে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে। কোনো ধরণের সহিংস উসকানি বা পাতা ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির দিনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি দেওয়ার মানেই হচ্ছে উসকানি দেওয়া। তারা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চায়। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকতে তাদের রাজপথে একইদিন কর্মসূচির নামে পাহারা দেওয়ার মানে হচ্ছে নিজেদের অবৈধ দখলদারিত্বকে পাহারা দেওয়া।

আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচির সমালোচনা করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা আন্দোলন করি ওরা (আওয়ামী লীগ) নিজেদের পাহারা দেয়। তবে এই সরকারের সময় শেষ, এ বছরেই তাদের শেষ বছর।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপির মূল দাবি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা। রাজপথে কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি তাদের দাবি আদায়ের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করবে।

অপরদিকে, রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়ে গত দুই মাস ধরে রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের। বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচির দিনেই শান্তিপূর্ণ ও সতর্ক পাহারায় থেকে সভা সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, যদিও, কোনো পাল্টা কর্মসূচী নয়। বিএনপি মানেই আগুন সন্ত্রাস, তাদের কর্মসূচি মানেই জ্বালাও-পোড়াও, জনমনে আতংক। তাই জানমালের নিরাপত্তায় আগামী নির্বাচন পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে রাজনীতির মাঠে সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগ।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবার রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, এর আগে কর্মসূচির নামে বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করেছে। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। তারা কর্মসূচি দিলে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়। তাই ক্ষমতাসীন দল হিসেবে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই মাঠে থাকছে আওয়ামী লীগ।

বিএনপি নেতৃত্ব বলছে রাজপথে ফয়সালার কথা। অপরদিকে ক্ষমতাসীনরা বলছে, সংবিধানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো বিধান নেই। সংবিধানের বাইরে সরকার কোনোভাবেই যাবে না।

তবে রাজনীতির মাঠ যতই উত্তপ্ত হোক না কেন, সাধারণ জনগণ চায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। একইভাবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ হয়-এমনটাই দাবি সাধারণ মানুষের বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad

বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়

ফাইল ছবি

এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন স্বামীর বিয়ে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সামান্থা। তবে সম্প্রতি দক্ষিনি সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, সে বিষয়েই একটি সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু।

এমনকি তালাকপ্রাপ্ত মহিলা হওয়ার জন্য লোক তাকে কি নামে ডাকে, সেটাও আনলেন সামনে। যা কোনো মহিলার জন্যই সম্মানহানিকর।

গালাটা ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামান্থাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিয়ের গাউন পরিবর্তন করে, সেটি দিয়ে ড্রেস বানানোর পিছনে তার কী ভাবনা কাজ করেছিল।

জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন কোনও মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যান, তখন তার সঙ্গে অনেক লজ্জা এবং কলঙ্ক জড়িয়ে যায়। ‘সেকেন্ড হ্যান্ড, ইউজড (ব্যবহৃত), ওয়েস্টড লাইফ (জীবন নষ্ট)’ বলে প্রচুর কমেন্ট পাই।’

সামান্থা বলেন, ‘আপনাকে এমন একটি কোণে ঠেলে দেওয়া হয়, যেখানে আপনার সবসময় নিজেকে ব্যর্থ মনে হতে থাকে। আপনি অপরাধবোধের মধ্যে দিয়ে যান। লজ্জা কাজ করে যে, আপনি একসময় বিবাহিত ছিলেন, এখন আর নেই। যেসব পরিবার ও মেয়েরা এর মধ্য দিয়ে গেছে, তাদের জন্য এটা সত্যিই কঠিন পরিস্থিতি।’

এরপর গাউন কেটে ড্রেস বানানো প্রসঙ্গে সামান্থা বলেন, ‘প্রথমে খুব কষ্ট হয়েছিল। তারপর ঠিক করলাম, বদলে দেব। আমি এর মালিক। আমি এখন আলাদা হয়ে গেছি। ডিভোর্স হয়ে গেছে। সবসময় তো আর সব গল্প রূপকথা হয় না। তবে তার মানে এই নয় যে, কোনায় বসে কেঁদেই যাব। এটা হয়েছিল ঠিকই, তবে আমার জীবন শেষ হয়ে যায়নি। আমি খুশি, ভালো কিছু কাজ করছি, ভালো মানুষদের সঙ্গে মিশেছি।’

সামান্থা ২০১০ সালে নাগার্জুনার পুত্র এবং অভিনেতা নাগা চৈতন্যেরর সঙ্গে প্রথম কাজ করেন। এরপরই তারা ডেটিং শুরু করেন। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ঐতিহ্যবাহী হিন্দু রীতি অনুসারে গোয়ায় এবং তারপরে ৭ অক্টোবর ২০১৭ সালে খ্রিস্টান রীতিনীতি অনুসারে বিয়ে করেন।

২০২১ সালের জুলাই মাসে, অভিনেত্রী তার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আক্কিনেনি উপাধিটি সরিয়ে ফেলেন, এরপরই বিচ্ছেদের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তার কয়েক মাসের ব্যবধানে এই দম্পতি তাদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর কয়েকদিন আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে অফিসিয়ালি বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন।

Header Ad

ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে নৃশংস হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল ধরে হিন্দু-মুসলিমসহ সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে এ দেশে বসবাস করে আসছে। তবে এই শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পুনর্বাসন করতে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন ধারাবাহিকভাবে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

সম্প্রতি সনাতনী জাগরণ মঞ্চ তথা ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদের ইসকন সন্ত্রাসীরা আজ চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, তারা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত মসজিদেও হামলা চালিয়ে দেশের ধর্মীয় সহাবস্থান ও সহমর্মিতার পরিবেশকে চরমভাবে আঘাত করেছে। আমরা এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘ইসকন সন্ত্রাসীদের এই ন্যাক্কারজনক হামলা শুধু একটি নিরপরাধ মানুষের জীবনই কেড়ে নেয়নি; বরং দেশের বিচারব্যবস্থা, আইনের শাসন এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা ধর্মীয় সহাবস্থানের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করারই একটি অপপ্রয়াস।

আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ইসকন কোনো ধর্মীয় সংগঠন নয়, তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাদের সকল কর্মকাণ্ড দেশবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরই অংশ। আজকের নির্মম হত্যাকাণ্ড তার আরেকটি জঘন্য প্রমাণ।’

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল সন্ত্রাসীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানাই। সেই সঙ্গে এ ধরনের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।’

নেতৃবৃন্দ ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে কোনো প্রকার উসকানিতে পা না দিয়ে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।

Header Ad

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা কিছু মহল ভুলভাবে তুলে ধরছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিকে জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান যে সম্প্রীতি রয়েছে এবং সরকারের যে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টা রয়েছে ভারতের বিবৃতিতে তা প্রতিফলিত হয়নি। বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতিতে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে সরকার উল্লেখ করছে যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া চেতনার পরিপন্থি।

বাংলাদেশ সরকার সকল ধর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উল্লেখ্য করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছে যে প্রত্যেক বাংলাদেশির তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করে না জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। আর চিন্ময় দাসের বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিবৃতিতে উল্লেখ্য করা হয়, চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যে কোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ