বিএনপির সমাবেশে পুলিশ সহযোগিতা করছে: কাদের
বিএনপির সমাবেশে পুলিশ বাধা দিচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুলিশ সহযোগিতা করছে বাধা দেবে কেন? চট্টগ্রামে কি বাস বন্ধ ছিল? জানতে হবে? এটা বাস মালিকদের জিজ্ঞেস করেন? আমি যখন মন্ত্রী তখন যে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করেছে, আপনি দেখেননি? সেটা তো তাদের ব্যাপার— তারা বেসরকারি গাড়ি চালাবে, না চালাবে। আমি তো বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করিনি।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেল-১ (এমআরটি লাইন-১)-এর নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে মনে মনকলা খাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি মহাসচিবের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, কত হাজার হলে লাখ হয়? ফখরুল সাহেবকে বিকালে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। একটা জেলা সম্মেলনে কত লোক হয় দেখে যান। বড় বড় কথা বলে মনকলা খাচ্ছেন। লাখ ছাড়া কিছু দেখেন না। লাখ বলে বলে মনকলা খাচ্ছেন, চিত্তকে সুখ দেওয়ার জন্য।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বাধার কথা বলে। ভুলে গেছেন আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ফুটপাতের উপর ২১শে ফেব্রুয়ারির মিটিং আমরা করতে পারিনি। বাধা কাকে বলে? হামলার শিকার হয়েছি। মোহাম্মদ নাসিম আজকে নেই। কত বার তাকে রাস্তায় পেটানো হয়েছিল। মতিয়া চৌধুরীকে পেটানো হয়েছিল। একেবারেই সাধারণ সমাবেশেও আব্দুস সামাদ আজাদকেও রেহাই দেয়নি। তারা আবার বাধার কথা বলে।
তিনি বলেন, শুধু লাখ লাখ। চট্টগ্রামে কত লোক হয়েছে? ময়মনসিংহে কত লোক হয়েছে? গতকাল খুলনাতে কত লোক হয়েছে, সাংবাদিকরা জানে? তারপরও মরা গাঙে ঢেউ দেখে মনকলা খাচ্ছে বিএনপি।
কাদের বলেন, মরা গাঙ্গে জোয়ার আনতে আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তো একদিনও আসেননি? এখন শুধু আওয়াজ দিচ্ছেন। কর্মীদের বলছেন এয়ারপোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে? কি জন্য খোমিনির মতো নিয়ে আসবেন? ইমাম খোমেনি মনকলা! মনে মনে মনকলা খান। ইলেকশনে আসেন আমরা প্রস্তুত আছি।
মুচলেকা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিদেশে পলাতক থাকার প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৮ সাল থেকে তিনি তো পালিয়ে আছেন? সৎ সাহস হলো না একবারও আসতে? এই মরা গাঙ্গে জোয়ার আনতে আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তো একদিনও আসেননি? এখন শুধু আওয়াজ দিচ্ছেন। কর্মীদের বলছেন এখন এয়ারপোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে? কি জন্য খোমিনির মতো নিয়ে আসবেন! ইমাম খোমেনি; মনকলা। মনে মনে মনকলা খান। ইলেকশনে আসেন আমরা প্রস্তুত আছি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেভাবে লাঠি নিয়ে নেমেছে, অগ্নিসন্ত্রাসের আভাস দিচ্ছে, তাতে ফখরুল সাহেবদেরই সেইফ এক্সিট (নিরাপদ রাস্তা) খুঁজতে হবে। আওয়ামী লীগের কাছে সেইফ এক্সিট মানে হলো নির্বাচন। ক্ষমতার বদল চাইলে নির্বাচন আসুন।
তিনি বলেন, জনগণ যদি আপনাদের চায় আপনারা ক্ষমতায় যান। দ্যাট উইল বি ডিসাইডেড ইন আওয়ার জেনারেল ইলেকশন (সেটা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারণ হবে)। তার আগে নয়। ওটা ডিসাইড করার ক্ষমতা কারো নেই, ক্ষমতা আছে জনগণের।আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না— বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কখনো পালাইনি। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই তো পালিয়ে আছে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সহযোগিতা করছে বাধা দেবে কেন? চট্টগ্রামে কি বাস বন্ধ ছিল? জানতে হবে? এটা বাস মালিকদের জিজ্ঞেস করেন? আমি যখন মন্ত্রী তখন যে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করেছে, আপনি দেখেন নাই? সেটা তো তাদের ব্যাপার; তারা বেসরকারি গাড়ি চালাবে, না চালাবে। আমি তো বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করিনি।
আওয়ামী লীগ কোন পাল্টা কর্মসূচি দেবে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাল্টাপাল্টিতে আওয়ামী লীগ নেই। বিএনপির সঙ্গে কিসের পাল্টাপাল্টি! আমরা আমাদের কর্মসূচিতে আছি। প্রতিদিনই আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের আজ একটা বড় সম্মেলন আছে। আগামীকালও আছে নারায়ণগঞ্জে। লাখ লাখ লোক দেখবেন? ওখানে আসেন। ২৯ তারিখ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলব আছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে সেখানে আসেন?
এসএম/আরএ/