‘আওয়ামী মডেল অব ইকোনমির ফল বিদ্যুৎ বিপর্যয়’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী মডেল অব ইকোনমির ফল হলো জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। তারা করেছে কী? দুর্নীতির জন্য একচেটিয়া কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট দিয়েছে যত তাড়াতাড়ি টাকা বানানো যায়। কিন্তু এগুলোর ট্রান্সমিশন, ডিসট্রিবিউশনের যে সিনক্রোনাইজেশন তারা সেটা করে নাই। কারণ, সেদিকে তারা মনোযোগ দেয় নাই। এখান টাকা বেশি আছে বলেই।’
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় দূঃখের বিষয় হচ্ছে এই সব পারমিশন কিন্তু আনসোলিসিটেড। এগুলোর টেন্ডার হয়নি। সরকারের নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। আইনও করা হয়েছে যে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও করা যাবে না এবং তাদেরকে সমস্ত সুযোগ-সুবিধাসহ ফিক্সড চার্জসহ নিয়মিত পয়সা দিচ্ছে। জনগণ আজকে তার মূল্য দিচ্ছে।’
বুধবার (৫ অক্টোবর) মোহাম্মদপুরে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসায় সাংবাদিকদের এই কাছে এসব কথা বলেন আমির খসরু।
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘সারাদেশে যে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো দিয়েছে সেগুলো ইউনিফাইড স্পেসিফিকেশনে দেয় নাই। যার ফলে কোনো পাওয়ার স্টেশন খুব নিউ জেনারেশনের আবার কোনটা পুরনো। এদের মধ্যে সিনক্রোনাইজড করা সম্ভব না।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার বিদ্যুৎ সেক্টরকে ‘খুধা আছে খাও, যত খাইতে পারিস খাও, তারপরে বিদ্যুৎ দিছে’। বিদ্যুৎ যে শুধু জেনারেশনে বিদ্যুৎ চলে না, ট্রান্সমিশন লাগবে, ডিসট্রিবিউশনে লাগে-এগুলোর কিন্তু খুব একটা উন্নতি হয় নাই। খালি বিদ্যুৎ প্রকল্প বানিয়েই গেছে। বানিয়ে যাওয়ার ফলে আজকে যেটা হয়েছে। এটা আরও হবে ভবিষ্যতে। কারণ সিনক্রোনাইজ করে নাই।’
ইকবাল হাসান বলেন, ‘রেন্টাল পাওয়ার যেগুলো আছে এগুলো পুরনো মেশিন। পুরোনা মেশিন আর নতুন যেগুলো আছে-সেগুলো এক না। কোনো না কোনো সময় দেখা যাবে একটা ফ্লপ করলে সবগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। সিনক্রোনাইজড করতে পারবে না। কারণ, নতুনটার সঙ্গে পুরনোটার সিনক্রোনাইজড করা যায় না। এই যে লুটপাট করার জন্য যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে পাওয়ার স্টেশন দিয়েছে, সেই পাওয়ার স্টেশনের স্পেসিফিকেশনগুলো কী, প্রসিডিউরগুলো কী, এটা একটার সঙ্গে আরেকটা ম্যাচ করবে কি না এসব বিবেচনা করে নাই। না করার ফলে আমরা দেখলাম যে, ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ নাই। একটা দেশে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুত না থাকলে কত ওয়ার্ক আউট নষ্ট হয়, কত প্রডাকশন নষ্ট হয় এটা আপনারা সাংবাদিকরা বুঝতে পারছেন।’
তার দল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন কীভাবে করবে জানতে চাইলে টুকু বলেন, ‘আমরা একবারে প্রাইভেটাইজেশন জেনারেন করা যাবে না। করলে সাধারণ মানুষের জন্য প্রাইজ করা কঠিন হয়ে যাবে। আমরা মিক্সড করব। আমাদের যে পলিসি ছিল ৩০ শতাংশ বেসরকারি এবং ৬০ শতাংশ সরকারের থাকবে। এভাবে আমরা বিদ্যুতের উন্নয়ন করব। এই উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সমিশন ও ডিসট্রিবিউশনটাও সমন্বয় করে করব। যাতে সমস্যা না হয়।’
এমএইচ/এমএমএ/