জোট সক্রিয় না থাকলেও বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনে যাবে কল্যাণ পার্টি
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সক্রিয় থাকুক বা না থাকুক-কল্যাণ পার্টি বিএনপির নেতৃত্বেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) গুলশানে বিএনপির সঙ্গে মতবিনিময়শেষে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এ সময় আন্দোলনের সময় জরুরিভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি কাঠামো তৈরি করার জন্য বিএনপিকে আহ্বান জানান মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিএনপি মতবিনিময় শুরু করেছে। তবে যারা ইতোমধ্যে বিএনপির সঙ্গে জোটে ছিলেন না, তাদের সঙ্গে মতবিনিময় আর যারা জোটে ছিলেন তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ক্ষেত্রে কাঠামোগত কিছুটা পার্থক্য হবেই। আমরা দশটি বছর একসঙ্গে চলছি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি বিএনপির অনুকূলে আন্দোলনে ও বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গায় থাকতে।’
তিনি বলেন, ‘আজকেও আমরা বিএনপিকে প্রস্তাব দিয়েছি। বিএনপির মহাসচিব যেমনটি বলেছেন; আমরা একমত হয়েছি বর্তমান একনায়কতান্ত্রিক সরকারকে সরানো-এটা রাজনীতিতে প্রধান অগ্রাধিকার। এটা বাস্তবায়নের জন্য করণীয় হচ্ছে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা। কল্যাণ পার্টি প্রস্তাবে বলেছে, যদি ২০ দলীয় জোটকে সক্রিয় করা সম্ভব না হয়, যেকোনো কারণে, তাহলে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করতে প্রস্তুত। এটাও বলেছি, জোটকে সক্রিয় করার কাজে অথবা জোটের মধ্যে বিভিন্ন আরও দলগুলোকে একত্রিত করতে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
আন্দোলনে সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে একটি কাঠামো গঠনের প্রস্তাব করে সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক বলেন, ‘আন্দোলন শুরু হলে আরও মতবিনিময় হবে। জরুরিভিত্তিতে মতবিনিময়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের প্রক্রিয়া যেন দীর্ঘমেয়াদী না হয়, সেজন্য একটি কাঠামো তৈরি করা। আন্দোলন তড়িৎগতিতে হয়, আন্দোলনে ১২ ঘন্টা, ৬ ঘণ্টাঅনেক দীর্ঘ সময়।’
এ প্রসঙ্গে ইব্ররাহিম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি মেকাপ করতে হলে আমাদেরকে নিশ্চয়ই অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে হবে। আরও সীমাবদ্ধতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সাত হাজার মাইল দূরে রাখা হয়েছে। অতএব, এ দুটো সীমাবদ্ধতাকে মেনে আমাদের আগাতে হবে।’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, আগামী নির্বাচনে নতুন সংসদ যখন হবে, আগে থেকেই জনগণের কাছে আমরা ওয়াদাবদ্ধ থাকবো-সংবিধান সংস্কার করতে হবে, প্রয়োজনীয় আরও সংস্কার করতে হবে।’
সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের পরামর্শ, ‘আন্দোলনের পরবর্তীতে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে।’ তারমধ্যে মেধাবী তরুণদের নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার জন্যও পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে গত ২৪ মে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য, ২৭ মে জোটের শরিক লেবার পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিএনপি নেতারা। এরপর মঙ্গলবার (৩১ মে) গণসংহতি আন্দোলন ও বুধবার (১ জুন) বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
এমএইচ/এমএমএ/