সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আইভীর নির্বাচনী সভায় নেই শামীম ওসমান

কয়েকদিন পরই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সেখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরেই দুটি গ্রুপে বিভক্ত, বিশেষ করে মেয়র আইভী এবং সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গ্রুপ।

আগামী ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। দলীয়ভাবে নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও তাদের প্রার্থী রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন।

এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের বিভেদ রয়েছে চরম পর্যায়ে। দল থেকে বর্তমান মেয়র আইভীকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ায় মাঠে নেই শামীম ওসমান। সরাসরি বিরোধিতা না করলেও তিনি যে আইভীর প্রচারণায় থাকছেন না, সেটি স্পষ্ট।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে উপস্থিত হননি নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তবে জেলার অন্যান্য নেতাকর্মীরা ঠিকই উপস্থিত ছিলেন। এমনকি সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিপক্ষে যারা মনোনয়ন কিনেছিলেন তারাও ছিলেন। শুধু ছিলেন না শামীম ওসমান। তবে তার অনুসারী যারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছিলেন তাদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারেণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রেখেছেন। এরা তিনজনই মূলত সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুসারী বলে পরিচিত।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও নির্বাচন পরিচালনায় দলের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন।

নারায়ানগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পরিচালনা টিমের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নারায়নগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওসার, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা মেয়র প্রার্থী আইভী।

সভায় উপস্থিত জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জে দলের বিভেদের চিত্র স্পষ্টত ফুটে ওঠে। জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুর্গ কিন্তু আমাদের নিজেদের মধ্যে বিভেদ থাকার কারণে বিএনপি-জামায়াত সুযোগ নেয়। এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শামীম ওসমানকে সরাসরি মাঠে চান তার। যদিও নির্বাচনী আচারণ বিধির কারণে তিনি মাঠে থাকতে পারবেন না। তবে তার সমর্থন মেয়র আইভীর জন্য প্রয়োজন বলে মনে করেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের এক ফাঁকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ সব সময়ই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এখানে আপনারা কেন নৌকার বিজয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ নৌকাকে হারাতে পারবে না।'

সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, 'আমি সব সময় জেলা আওয়ামী লীগের সকল সম্মেলনে উপস্থিত ছিলাম। আজকে যারা আমার সঙ্গে নৌকা চেয়েছিলেন তাদের মধ্যে ‘খোকন কাকা, বাদল ভাই, চন্দন শীল দাদা আমরা প্রত্যেকে কিন্তু এক সঙ্গে মিলে কাজ করেছি, জেলা আওয়ামী লীগের জন্য এবং নগর আওয়ামী লীগের জন্য। আমাদের মধ্যে কোন বিভাজন, কোন কিছুই ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০০৯ সাল এর পর থেকে আমাদের মধ্যে একটু দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সেটা হতেই পারে, বিভিন্ন কারণে হয়েছে। কিন্তু কখনও আমি কোন দিন কারো বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করিনি। আমি নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমার মতো করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় কাজ করেছি।'

তিনি আরও বলেন, '২০১১ সালে যখন সিটি কর্পোরেশন হল, তখন আমি প্রার্থী ছিলাম। তখন নেত্রীর দোয়া নিয়ে আমি প্রার্থী হয়েছি। নেত্রীর দোয়া ছিল বলে ফ্রি এবং ফেয়ার নির্বাচন হয়েছিল বলে আজকে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি। আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ, কৃতজ্ঞ আমার নেত্রীর প্রতি, যে উনি আমার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। আমি বিজয়ী হয়েছিলাম ২০১১ সালে। তখনও অনেকে গিয়েছিলেন পক্ষে-বিপক্ষে কিন্তু আমি জয়যুক্ত যখন হয়েছি সকলে আমাকে সহযোগিতা করেছিল। আমি কখনো কোনোদিনও দলের বাইরে কোনো কর্মকাণ্ড করিনি। কাউকে হতাশ করিনি। যে কোনো ব্যক্তি যখন আমার প্রতি বিমুখ হয়েছে, আমি নীরব থেকেছি, নিজেকে গুটিয়ে রেখেছি। আমার শেষ ঠিকানা এই দল।'

নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা দীর্ঘ এক বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জে চলছে। মেয়র নির্বাচনের এক বছর আগে থেকেই চলছে এই বিভেদ। এখানে কথা বার্তায় বিভেদ না হলেও ছন্দ পতন হয়েছে। কিছুটা তিক্ততা হয়েছে। এই তিক্ততা দূর করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ওই নেতা।

২০১১ সালে সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রথম নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। সেই বছর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান শামীম ওসমান। তখন থেকেই মূলত বিভেদের শুরু। কখনো প্রকাশ্যে কখনো টিভি টক শোতে বসে দুজন দুজনকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। এবার যখন নারায়াণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে তখন থেকেই আবার বিরোধের বিষয়টি সামনে আসে। নৌকার টিকিট পেতে শামীম ওসমানের অনুসারিদের মনোনয়ন ফরম তোলান।

সোমবারের সভায় দলীয় ফোরামে অধিকাংশ নেতাই বলেন, নারায়ণগঞ্জে চরম বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন আপনারা আজকে আমাদের ঐক্য করে দেন আমরা নৌকাকে বিজয়ী করব ইনশাআল্লাহ। পরে পরিস্থিতি বুঝে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিডিও কল এর মাধ্যমে যুক্ত করে উপস্থিত নেতাকর্মীদের নেত্রীর নির্দেশ পৌছে দেন। ভিডিও কল এ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নেতা-কর্মী একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এখানে কোনো ভেদাভেদ চাই না। সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে, নৌকাকে জেতাতে হবে। একটাই কথা, নৌকাকে জেতাতে হবে। হয়তো কারও পছন্দ আছে কারও পছন্দ নাই এরকম থাকতে পারে; কিন্তু একজনই তো নমিনেশন পাবেন। কাজেই আমরা একজনকে দিয়েছি, সবাইকে নৌকার পক্ষ কাজ করতে হবে। নৌকাকে জেতাতে হবে।’ নেতা-কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এখানে কোনো ভেদাভেদ চাই না। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে, নৌকাকে জেতাতে হবে। একটাই কথা, নৌকাকে জেতাতে হবে। হয়তো কারও পছন্দ আছে কারও পছন্দ নেই এরকম থাকতে পারে; কিন্তু একজনই তো নমিনেশন পাবেন। কাজেই আমরা একজনকে দিয়েছি, সবাই নৌকার পক্ষ কাজ করতে হবে। নৌকাকে জেতাতে হবে।’

পরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা নেত্রীকে নৌকা নৌকা স্লোগান দিয়ে বিজয় উল্লাস করেন।

এবার নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান। তিনি জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ফেরদৌস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাসুম বিল্লাহ্, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের এবিএম সিরাজুল মামুন। তা ছাড়া বিএনপি অংশ না নেওয়ায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন। এবার মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কাউন্সিলরদের মনোনপত্র এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

 

এসএম/এসএ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ