১৬ মে আত্মসমর্পণ করবেন হাজী সেলিম: আইনজীবী
আগামী ১৬ মে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিম। এ কথা জানিয়েছেন তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। একই সঙ্গে তিনি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করবেন।
দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড হয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের। গত বছরের মার্চ মাসে হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করেন। আর ৯ মার্চ অনলাইনে রায়টি প্রকাশ করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল বিচারিক আদালতে রায়ের বিষয়ে কমিউনিকেট করা হয়। আর ২৭ এপ্রিল থেকে কোর্ট বন্ধ হয়ে যায়।
রায় অনুসারে ২৫ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নিয়ম।
এদিকে গত ৩০ এপ্রিল দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে ঈদের আগে অনেকটা গোপনে দেশের বাইরে যান হাজী সেলিম। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্টে হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এই সমালোচনার মুখেই তিনি আজ বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুর সোয়া ১২টায় দেশে ফেরেন। দেশে ফিরেই এলাকায় একটি জানাজায় অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিচারিক আদালত হাজি সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন।
গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ তার ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে।
এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই রায় প্রকাশ করা হয়। এতে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ হিসেবে গত ৯ এপ্রিলের মধ্যেই তাকে আত্মসমর্পণ করার কথা থাকলেও তিনি সেটি করেননি।
এ বিষয়ে তারা আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘২০২১ সালের মার্চ মাসে মৌখিকভাবে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। এরপর চলতি বছরের ৯ মার্চ অনলাইনে রায়টি প্রকাশ করা হয়। আর রায়টি অফিশিয়ালি বিচারিক আদালতে কমিউনিকেট করা হয় গত ২৫ এপ্রিল। এরপর ২৭ এপ্রিল থেকে কোর্ট বন্ধ হয়ে যায়। এখন রায় অনুসারে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ দিন সময় আমাদের হাতে আছে। এ সময়ের মধ্যেই আমরা আত্মসমর্পণ করব।’
তিনি বলেন, ‘১৬ মে যেহেতু হাইকোর্ট খুলবে, সে কারণে আমরা ১৬ তারিখই বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করব।’
এনএইচবি/এমএমএ/