‘আইনসম্মত আড়িপাতার উদ্যোগ সাইবার অপরাধের সামিল’
আইনসম্মতভাবে আড়িপাতার ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা কে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সাইবার অপরাধের সামিল আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেছেন, আধুনিক কোন গণতান্ত্রিক সমাজ রাষ্ট্রকে যথেচ্ছভাবে তার নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘনকে আইনানুগ করার অনুমতি দিতে পারে না।
তিনি বলেন, বিপুল অর্থ ব্যয় করে ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকার বহু আগে থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন করে আইন বহির্ভূতভাবে আড়ি পেতে আসছে। এখন সেটাকে তারা আইনি কাঠামোয় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, রাষ্ট্রবিরোধীতা আর সরকার বিরোধিতা এক জিনিস নয়। বস্তুত সরকার বিরোধিতাকে রাষ্ট্রবিরোধীতা আখ্যায়িত করে সরকার এখন বিরোধী মত, চিন্তা ও তৎপরতাকে দমন করতেই যে কোন যায়গায় যে কোন ব্যক্তির উপর আড়িপাতাকে বিধিসম্মত করতে চায়। সরকারের এই নিবর্তনমূলক তৎপরতা দেশের জনগণের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার পরিপন্থী।
তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিধিবিধান রয়েছে। নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রেখেই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ যেকোন অপতৎপরতা রোধের ব্যবস্থা রয়েছে। আড়ি পাতা ও নজরদারি সম্পর্কে কিছু আইনও রয়েছে। এসব আইনের লংঘন করে ইচ্ছে মতো আড়ি পেতে যে কোন ব্যক্তিকে সার্বক্ষনিক নজরদারির মধ্যে রাখা কোন ভাবেই অনুমোদনযোগ্য নয়।
আশংকা ব্যক্ত করে সাইফুল হক বলেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় সরকারের এই উদ্যোগ সরকারের রাজনৈতিক বিরোধিদের নিয়ন্ত্রণ ও দমনেই ব্যবহৃত হবে। আড়িপাতাকে বিধিসম্মত আইনী পোশাক পরানোর যথেচ্ছ অগণতান্ত্রিক তৎপরতা থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একইসাথে তিনি নিবর্তনমূলক এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
এমএইচ/এএস