‘সরকার পতনে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রব বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা পায়নি। তাই আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন; কারণ অনৈতিক সরকারের পতন ঘটাতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু মাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরকার পতন ঘটব তা নয়; আন্দোলন ও নির্বাচন এই দুটোই একসঙ্গে করব। তবে এই সরকারের অধীনে দেশে নির্বাচন হবে না; রাষ্ট্র সংস্কারসহ গুণগত পরিবর্তনে কাজ করব।’
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন আ স ম আবদুর রব।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে দেওয়া, যুগপৎ আন্দোলনে জয়লাভ করা, রাষ্ট্র মেরামত, সংবিধান সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কথা বলেছি; অধিকাংশ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকেও আলোচনায় উঠে আসা বিষয়ে গণসমাবেশে বলা হচ্ছে; তারমানে হচ্ছে আমাদের মধ্যে অনেক কিছুতেই একমত আছি। সবাই একমত আছি এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে না।’
‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত যুগপৎ ভাবে আন্দোলন করব। আন্দোলন কর্মসূচি চলছে; স্বল্প সময়ের মধ্যে নিদিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে একটি লিয়াজো কমিটি গঠন করব। বিএনপির বেশকিছু বিষয়ে তাদের ধারণা ও আমাদের ধারণার সঙ্গে বহুলাংশে মিল পেয়েছি আলোচনায়। এই সরকারকে সরিয়ে দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যুগপৎ আন্দোলন করব,’ যোগ করেন তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আজকের আলোচনায় মূলত তিনটি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে, প্রথমত আমরা এই সরকারের পদত্যাগ চাই, দ্বিতীয়ত এই সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তখন তাদের তত্ত্বাবধানে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তৃতীয়ত রাষ্ট্র সংস্কারের সংবিধানসহ গুণগত পরিবর্তন।’
এমএইচ/এমএমএ/