বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তাহের ক্ষমতা দখলের জন্য অভ্যুত্থান করেনি: ইনু

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ৭ নভেম্বর সিপাহি বিদ্রোহ বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত দেশি-বিদেশি শক্তি তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে সশস্ত্রবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।

তিনি বলেন, উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসাররা নিজের হাতে ক্ষমতা নেওয়ার জন্য পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ক্ষমতার জন্য পাগলা কুকুরের মতো উন্মত্ত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীকে খণ্ড-বিখণ্ড করে ফেলে। এরকম পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর তৎকালীন সিজিএস খালেদ মোশাররফ তার অনুগত কয়েকজন অফিসারকে নিয়ে ৩ নভেম্বর পাল্টা ক্যু করে সেনাপ্রধান জিয়াকে গৃহবন্দী করে নিজেকে সেনাপ্রধান এবং সামরিক আইন জারি করে।

৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জাসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিদেশ থেকে পাঠানো লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাসদ সভাপতি। তিনি মহান বিপ্লবী, মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের মৃত্যুঞ্জয়ী কমান্ডার, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক সিপাহি বিদ্রোহ, সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মহানায়ক, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ইনু বলেন, সেনাবাহিনীর অফিসারদের মধ্যে ক্ষমতার জন্য কামড়াকামড়ির ঘটনায় সিপাহিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সিপাহিরা সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেয়। সিপাহিরা সেনাবাহিনীতে জনপ্রিয় সাবেক সেনা কর্মকর্তা, মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের নির্দেশনা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কর্নেল তাহের জাসদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি জাসদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি সিওসির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। জাসদের সিদ্ধান্তে তিনি সিপাহিদের বিদ্রোহকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা, রক্তপাত এড়ানোর জন্য জাসদ নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বলিষ্ঠ হস্তক্ষেপ করেন। সিপাহি বিদ্রোহ সফল হয়। জিয়া মুক্ত হয়।

তিনি বলেন, কর্নেল তাহের বা জাসদ ক্ষমতা দখল করার জন্য সিপাহিদের বিদ্রোহে যুক্ত হয়নি। কর্নেল তাহের বা জাসদ চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে যে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র, সংবিধান লঙ্ঘন-অবৈধ ক্ষমতা দখল-সামরিক শাসনের ধারা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সশস্ত্র বাহিনীতে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল সেই ধারার অবসান করা। জাসদ বা কর্নেল তাহের নিজের হাতে ক্ষমতা না নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কর্নেল তাহের ও সিপাহিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জিয়াকে মুক্ত করেছিলেন। জিয়া মুক্ত হয়েই সিপাহিদের দাবি অনুযায়ী জাতীয় সরকার গঠনের পথে না গিয়ে নিজে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বিদ্রোহী সিপাহি ও কর্নেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। কর্নেল তাহেরসহ শত শত অফিসার, সৈনিককে হত্যা করে। জাসদের নেতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করে। ৭ নভেম্বরের ঘটনায় কর্নেল তাহের মহানয়ক, জিয়া খলনায়ক।

জাসদ সভাপতি বলেন, জিয়ার বিশ্বাসঘাতকতায় সিপাহি বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু হত্যা-খুন-ষড়যন্ত্র-ক্যু-সংবিধান লঙ্ঘন-অবৈধ ক্ষমতা দখল-সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সিপাহিদের বিদ্রোহ বিশ্বের রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য মহান ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু যেমন খন্দকার মুশতাককে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন, কর্নেল তাহেরও জিয়াকে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন।

তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আজও দেশের অসাংবিধানিক শাসন, অসাংবিধানিক সরকার, মোশতাক-জিয়ার চাপিয়ে দেওয়া পাকিস্তানপন্থার সরকার আনার অপরাজনীতি চলছে। সিপাহি বিদ্রোহের চেতনা ও কর্নেল তাহেরের শিক্ষাকে ধারণ করে অসাংবিধানিক শাসন, অসাংবিধানিক সরকার, পাকিস্তানপন্থার সরকার আনার অপরাজনীতি রুখে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র-প্রশাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে অবিচল থাকার জন্য জাসদের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান স্মরণে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে সোমবার (৭ নভেম্বর) শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভার শুরুতে ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মহানায়ক, মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার, বিপ্লবী জাসদ নেতা শহীদ কর্নেল তাহের বীর উত্তমের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাসদ নেতারা।

ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের অনুজ অধ্যাপক ড. মু. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, উম্মে হাসান ঝলমল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, নইমুল আহসান জুয়েল, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় কৃষক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন কাউছার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ন-মা) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. মু. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকে পরাজিত পাকিস্তানি শক্তি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাইরে ষড়যন্ত্র করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছে। হত্যা করেছে জাতীয় চার নেতা, কর্নেল তাহেরসহ হাজার হাজার দেশপ্রেমিক নেতা-কর্মীকে।

তিনি বলেন, দুই যুগের বেশি সময় ধরে এরা বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানে পরিণত করে রেখেছিল। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে বিসর্জন দিয়ে এদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তাদের সেই সড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ও ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি মাঠে নেমেছে। ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী রাজনৈতিক শক্তির একটি শক্তিশালী, কার্যকর রাজনৈতিক ঐক্যই কেবল ষড়যন্ত্রকারীদের সব চক্রান্তকে ব্যর্থ করে পুনরায় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সরকার কায়েম করতে পারে। একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ এবং তার অগ্রযাত্রার জন্য এমন ঐক্যই জরুরি। শহীদ কর্নেল তাহের বীর উত্তমের চেতনা ও শিক্ষাই ছিল বৈষম্যহীন, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়া।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা কিছু মহল ভুলভাবে তুলে ধরছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিকে জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান যে সম্প্রীতি রয়েছে এবং সরকারের যে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টা রয়েছে ভারতের বিবৃতিতে তা প্রতিফলিত হয়নি। বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতিতে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে সরকার উল্লেখ করছে যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া চেতনার পরিপন্থি।

বাংলাদেশ সরকার সকল ধর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উল্লেখ্য করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছে যে প্রত্যেক বাংলাদেশির তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করে না জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। আর চিন্ময় দাসের বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিবৃতিতে উল্লেখ্য করা হয়, চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যে কোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

Header Ad

আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সংঘটিত বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘সাইফুল হত্যার বিচার চাই, করতে হবে করতে হবে’, ‘উকিল মরে আদালতে, এই সরকার কি করে’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, উগ্রবাদের ঠাঁই নাই’, ‘উগ্রবাদের আস্তানা,ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বক্তারা চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিচার ব্যবস্থার জন্য চরম হুমকি বলে অভিহিত করেন। তারা আইনজীবী সাইফুল ইসলামের নির্মম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, আমরা সম্প্রীতি নিয়ে এদেশে বসবাস করতে চাই। কিন্তু একটি পরাজিত শক্তি দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। আমার ভাই সাইফুলকে চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম এম রায়হান কবির বলেন, চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী হামলা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয় বরং এটি মানবতার ওপর আঘাত। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা সবসময় ন্যায় ও মানবতার পক্ষে অবস্থান করেছে। আজকের এই মিছিল তারই উদাহরণ। আমরা কোনো উগ্রবাদী শক্তিকে বাংলাদেশে মাথা তুলতে দেব না।

Header Ad

ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার

ছবি: সংগৃহীত

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। মাঝে এই যুদ্ধে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেলেও সম্প্রতি হামলা বেশ জোরদার করেছে রাশিয়া।

মূলত ইউক্রেনে এখন আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে রুশ সৈন্যরা। এমনকি গত এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান আয়তনের এলাকা ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী ২০২২ সালের আক্রমণের প্রথম দিনগুলোর চেয়ে ইউক্রেনে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বলে বিশ্লেষক এবং যুদ্ধ ব্লগাররা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।

গত মাসে রুশ সৈন্যরা লন্ডনের আয়তনের সমান অর্ধেক এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এর আগে কখনেও এতো দ্রুত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে অগ্রসর হয়নি।

মূলত টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ।

বিশেষ করে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে ব্যাপকভাবে সামরিক তহবিলও জুগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে এরপরও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আর এমন অবস্থায় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করে সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করার অনুমতি দেওয়ার পর চলমান এই যুদ্ধটি সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজ গ্রুপ এজেন্টস্টভো এক প্রতিবেদনে বলেছে, “ইউক্রেন-অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে আয়তনের দিক থেকে নতুনভাবে সাপ্তাহিক ও মাসিক রেকর্ড স্থাপন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রায় ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার (৯১ বর্গ মাইল) দখল করেছে, যা ২০২৪ সালের জন্য একটি সাপ্তাহিক রেকর্ড।”

এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে দ্রুত অগ্রসর হতে শুরু করে। ওপেন সোর্স মানচিত্র অনুসারে, এরপর থেকেই রাশিয়ার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন