সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া  

লন্ডনে ‘দ্য ক্লিনিকে’ চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবিঃ সংগৃহীত

লন্ডনে ‘দ্য ক্লিনিকে’ চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএন‌পির স্থায়ী কমি‌টির সদস্য ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিশেষায়িত এই হাসপাতালের সামনে সাংবাবিকদের খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এসময় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী এনামুল হক চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়েও ভালো। এদিন তিনি একা একা হাঁটতেও পেরেছেন। তিনি দেশের খোঁজ-খবরও নিয়েছেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) খালেদা জিয়া লন্ডনে আসেন। ওই দিনই লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে লন্ডনের বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য ক্লিনিকে’ নেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার ‘রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ চলছে। তবে আগামীকাল সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করানো হতে পারে বলেও জানান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি আরও জানান, রবিবার অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি খালেদা জিয়াকে দেখে গেছেন। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই লন্ডনে দ্য ক্লিনিকে তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া এদিন খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। গতকালের চেয়ে তার অবস্থা স্ট্যাবল ছিল। অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মীনি ডা. জোবাইদা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছেন।

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ নিয়ে বিভ্রান্তি, বিএনপির দুঃখ প্রকাশ

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বিএনপির তিন নেতার আমন্ত্রণ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি। বিষয়টি স্পষ্ট করে দলটি জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি মার্কিন সরকার আয়োজন করে না। এটি ‘জাতীয় প্রার্থনা প্রাতরাশ ফাউন্ডেশন’ আয়োজন করে থাকে, যা একটি নির্দলীয় সংস্থা।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এ নিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মওদুদ হোসেন আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘জাতীয় প্রার্থনা প্রাতরাশ’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আমন্ত্রণ সম্পর্কে কিছু সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে, বিএনপি মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে আমরা জানাতে চাই যে, অনুষ্ঠানটি মার্কিন সরকার আয়োজন করে না। জাতীয় প্রার্থনা প্রাতরাশ ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং এতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি, সিনেটর, কংগ্রেস সদস্য, ব্যবসায়ী এবং ১০০টিরও বেশি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানটি ‘জাতীয় প্রার্থনা প্রাতরাশ ফাউন্ডেশন’ আয়োজন করে থাকে; যা একটি নির্দলীয় সংস্থা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ব্যবসায়িক অভিজাতদের একত্র হওয়ার, দেখা করার, আলোচনা করার এবং একসঙ্গে প্রার্থনা করার জন্য একটি বিশেষ ফোরাম। এই ফাউন্ডেশন মার্কিন নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয় প্রার্থনা প্রাতরাশের পক্ষ থেকে, অনুষ্ঠানের সহসভাপতি, কংগ্রেস সদস্য বেন ক্লাইন (রিপাবলিকান) এবং কংগ্রেস সদস্য থমাস আর. সুজি (ডেমোক্র্যাট) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণটি জানিয়েছেন। এ সত্ত্বেও যদি কোনো ব্যক্তি, মিডিয়া সূত্রে প্রকাশিত সংবাদের বিভ্রান্তির কারণ সৃষ্টি করে থাকে, তবে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানে মার্কিন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এরপর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ন্যাশনাল প্লেয়ার ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানের আয়োজনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। ফলে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

Header Ad
Header Ad

নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম, অবৈধ ই-মানি ৬০০ কোটি: গভর্নর

নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম, অবৈধ ই-মানি ৬০০ কোটি: গভর্নর। ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর কার্যক্রমে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অনিয়মের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে অবৈধভাবে ৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত 'ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম: ব্রিজিং দ্য গ্যাপস' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমরা নগদে পরিচালনায় দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম খুঁজে পেয়েছি। এর মধ্যে ৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি হয়েছে। নগদের অনিয়ম খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান চলছে।

ডাক বিভাগের অনুমোদন ছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) কোম্পানিটির ইলেক্ট্রনিক মানি (ই মানি) তৈরি, সরকারি ভাতা বিতরণ না করে অর্থ সরানোর মত অনিয়মের বিষয় প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।

অনিয়মগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, নগদে অডিট চলছে। এরইমধ্যে আমরা খুঁজে পেয়েছি প্রকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক মানি তৈরি করা হয়েছে। অতিরিক্ত ৬০০ কোটি টাকা তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো এমএফএস কোম্পানি গ্রাহকের নগদ আকারে জমা দেওয়া অথের্র সমপরিমাণ ইলেক্ট্রনিক অর্থ (ই মানি) তৈরি করতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, কোনো গ্রাহক তার হিসাবে ১০০ টাকার ক্যাশইন করলে, সমপরিমাণ ১০০ টাকার ইলেক্ট্রনিক মানি তৈরি করতে পারবে কোনো এমএফএস কোম্পানি।

বয়স্ক, উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রকার সরকারি ভাতার অর্থ বিতরণ না করে নগদ সেই অর্থ অন্য জায়গায় সরিয়েছে বলেও জানান গভর্নর।

তিনি বলেন, নগদকে পুনর্গঠন করা হবে, এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে তুলতে।কোম্পানিটিকে সক্রিয় করতে নতুন বিনিয়োগ আনার কথাও বলেন তিনি।

ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর যাত্রা ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ। শুরু থেকে বলা হয়, এটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবা। তবে ডাক বিভাগের সঙ্গে অংশীদারত্ব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া এমএফএস সেবা দেওয়া নিয়ে শুরু করে আপত্তি ও সমালোচনার মুখে পড়ে কোম্পানিটি। কার্যক্রম শুরুর পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এ নিয়ে আপত্তিও ওঠে। এর মধ্যেই আগের সরকারের সময় ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সও পায় কোম্পানিটি।

Header Ad
Header Ad

রাজনৈতিক চাপের মুখে বিএমডিএ, নিয়োগ বাতিল হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার কর্মচারীর!

ছবি: সংগৃহীত

কৃষি উন্নয়নে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি গভীর নলকূপের জন্য অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তির পর ১৬ হাজার ৭৮৯ জন প্রার্থীকে নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। তবে, এর মধ্যে রাজনৈতিক ও দলীয় চাপের কারণে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার জনের নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এদিকে, রাজনৈতিক নেতাদের চাপে গত তারিখে সাড়ে ৪ হাজার দলের নেতাকর্মীর নতুন আবেদন জমা হয়েছে বিএমডিএ-এর সেচ বিভাগে। সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই একটি সংশোধিত নিয়োগ কমিটি গঠন করা হবে, যাদের সুপারিশ অনুযায়ী এসব আবেদনকারীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিএমডিএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়া সাড়ে ৪ হাজার অপারেটর বাদ পড়বেন। বিষয়টি জানাজানির পর সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিএমডিএ-এর কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এ নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ রয়েছে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা গভীর নলকূপ অপারেটর নিয়োগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেছেন রাজশাহীসহ আশপাশের জেলা-উপজেলায়। কোনো কোনো নেতা ২০০ থেকে ২৫০ জনের জন্য লিখিতভাবে সুপারিশ দিয়েছেন। ছোট নেতারা সুপারিশ দিয়েছেন ৫ থেকে ৭ জনের। অপারেটর নিয়োগের জন্য কতিপয় নেতা ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব নেতা প্রতিদিন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে নিজেদের তালিকা জমা দিচ্ছেন। এর ফলে বিএমডিএ-এর নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কারও তালিকা ফিরিয়ে দিতে পারছেন না বা মুখের ওপর না-ও বলতে পারছেন না। ফলে অপারেটর নিয়োগ নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিএমডিএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, শুরু থেকেই রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে যোগ্যদের বাছাই করে অপারেটর নিয়োগের চেষ্টা তারা করেছিলেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা যোগ্যদেরই নির্বাচিত করে চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশ করেন। কিন্তু এখন রাজনৈতিক চাপে তারা অনেকের নিয়োগ বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজনৈতিক চাপের কারণে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দুই সপ্তাহ পরও এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগপত্র না দেওয়ার কারণও এটি। নিয়োগপত্রের জন্য নির্বাচিতরাও ঘুরছেন বিএমডিএতে।

বিএমডিএ সূত্র জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১৬ হাজার ৭৮৯টি গভীর নলকূপ রয়েছে। গত অক্টোবরে গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগের নোটিশ জারি করা হয়। ৩ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ২৩ হাজার ৭৫০টি আবেদন জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে ধারাবাহিকভাবে ২৩ হাজার ৭২১ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচিত অপারেটরদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকে দলীয় তালিকা অনুযায়ী রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিএমডিএ অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা নির্বাচিত তালিকা বাতিল করে দলীয় লোকদের নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে বিএমডিএ-এর মাঠ পর্যায় ও জোনাল কার্যালয়গুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

বিএমডিএ-এর কর্মকর্তারা দলীয় নেতাদের বুঝিয়ে নতুন করে আবেদন দিতে বলেন। এখন দলীয় সুপারিশগুলো থেকে সাড়ে ৪ হাজার জনকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে দলীয় সুপারিশে পেছনের তারিখ দেখিয়ে সাড়ে ৪ হাজার আবেদনপত্র নতুনভাবে জমা নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি দলীয় সুপারিশ এসেছে রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী ও পবা থেকে। কিছু সুপারিশ এসেছে নওগাঁর নিয়ামতপুর, মান্দাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও সদর উপজেলা থেকেও রাজনৈতিকভাবে সুপারিশ দিয়ে নতুন তালিকা জমা করা হয়েছে। এগুলো বর্তমানে যাচাই-বাছাই করছেন কর্মকর্তারা। সাক্ষাৎকার ছাড়াই তাদের নিয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএমডিএ।

রাজশাহীর পবায় নতুন করে ২৮৩টি দলীয় আবেদন জমা হয়েছে। তানোর উপজেলার ৩১৭টি নতুন আবেদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তানোর উপজেলা বিএনপির একজন নেতা একাই ২০০ জনের আবেদনে সুপারিশ দিয়ে তালিকা দিয়েছেন বিএমডিএতে। তানোর বিএনপির আরেক সাবেক নেতা ১১৭ জনের আবেদনে দলীয় সুপারিশ করেছেন। এসব নেতা প্রতিদিন বিএমডিএ-এর প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে গিয়ে তাদের তালিকা মোতাবেক অপারেটর নিয়োগের জন্য কর্মকর্তাদের চাপ দিচ্ছেন।

কৃষকরা অভিযোগে জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পর উত্তরাঞ্চলজুড়ে বিএমডিএ-এর অধিকাংশ গভীর নলকূপ দখল করে নেন একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। যদিও গভীর নলকূপগুলোর চাবি এখনো দখলদারদের থেকে উদ্ধার করতে পারেনি বিএমডিএ। ফলে মাঠ পর্যায়ে নিবিড় সেচ প্রদানে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বিএমডিএ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, অপারেটর নিয়োগের চূড়ান্ত প্রকাশের পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আপত্তি আসে। ফলে নিয়োগের তালিকা পুনর্বিবেচনা ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নতুন করে সাড়ে ৪ হাজার আবেদন নেওয়া হয়েছে। এজন্য নতুন করে একটি সংশোধিত নিয়োগ কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। সব অপারেটর পদে নিয়োগ দলীয় সুপারিশে নেওয়া হবে কি না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ নিয়ে বিভ্রান্তি, বিএনপির দুঃখ প্রকাশ
নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম, অবৈধ ই-মানি ৬০০ কোটি: গভর্নর
রাজনৈতিক চাপের মুখে বিএমডিএ, নিয়োগ বাতিল হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার কর্মচারীর!
সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের বর্বরতা, ১ দশকে নিহত ২৮৯ বাংলাদেশি
১০ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব
রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
সায়ান এফ রহমান ব্রিটিশ রাজার দাতব্য সংস্থায় ‘আড়াই লাখ পাউন্ড’ দান করেন  
জবির গেটে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা
বাবা হারালেন জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী
অতিবৃষ্টিতে সবুজ হচ্ছে সৌদির মরুভূমি, যা কেয়ামতের আলামত
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়: ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত  
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আনন্দ মোহন কলেজ হল বন্ধ ঘোষণা  
সীমান্তে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের  
দেশের মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি  
নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া  
রিয়ালকে বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতল বার্সা  
দাবানলের তাণ্ডব: ৬ দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য সেজে লুটপাট
এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম: তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এইচএমপিভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে ভারতের চার-পাঁচটা ড্রোনই যথেষ্ট: শুভেন্দু