শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না: তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র তাদের পথ থেকে সরাতে পারবে না। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত শোভাযাত্রা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই বক্তব্য দেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আজকের সমাবেশ ও শোভাযাত্রা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নয়, বরং দেশের স্বার্থ রক্ষায় এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল। এই মিছিল গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের সংগ্রামের প্রতীক। দেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন করতে পারবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর এই রাজপথে লাখো জনতার অংশগ্রহণ জাতীয়তাবাদী আদর্শের শিক্ষায় দীক্ষিত করার মিছিল, যেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের হতাহত অসংখ্য ছাত্র-জনতা ও শহীদদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের প্রত্যয় রয়েছে। এটাই তাদের মিছিলের মূল বার্তা।

দেশের স্বার্থবিরোধী অপশক্তির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তারেক রহমান বলেন, “আজকের এই মিছিল কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার জন্য নয়, এটি বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল, জনগণের ভোটাধিকার ও নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল।”

তিনি আরও বলেন, “কখনো যেন ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। জনগণের সরাসরি ভোটাধিকার নিশ্চিত করা না গেলে গণতন্ত্রের সুফলও পাওয়া যাবে না এবং সাধারণ মানুষ বাজার সিন্ডিকেটের মতো অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে না।”

তারেক রহমান সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সক্রিয় রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। তবে এই সরকারকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় শোভাযাত্রা শুরু হয়, যা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।

Header Ad

মাথাচাড়া দিচ্ছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা : হাসনাত আবদুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে। গোপনে ভিডিও বার্তা দিচ্ছে। তারা যদি আবারও মাঠে নামে, প্রথমে টার্গেট করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্যদের, এমন বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই বিপ্লবকে সমুন্নত রাখতে এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিপ্লবী ছাত্রজনতার করণীয়’ শীর্ষক ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নুর হোসেন মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমও বক্তব্য রাখেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত পরিবারের। তারা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে পড়তে আসেন না। তাঁরা নিজের ও পরিবারের হাল ধরতে আসেন। ৫ আগস্টের পর একটা জেনারেশন কনফ্লিক্ট দেখা যাচ্ছে। জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদেরা তরুণ প্রজন্মের ত্যাগকে অবজ্ঞা করছেন।

অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, আমি যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাতারে না থাকতে পারি, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হওয়ার নৈতিক অধিকার আমার থাকতে পারে না। আমরা আমাদের প্রতিনিধি তৈরি করব, নেতা তৈরি করব না। গত ১৬ বছরে কেউ যখন নেতা হয়ে উঠেছেন, তার পা আর মাটি স্পর্শ করেনি। আমরা আমাদের ওইসব নেতা চাই না, যাদের পা মাটিতে পড়ে না।

তিনি বলেন, আমরা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা। তাহলে কেন আমাদের মধ্যে শোডাউন (মহড়া) দেওয়ার মনমানসিকতা থাকবে? গত ১৬ বছরে এই শোডাউন কারা দিয়েছে? একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি আমাদের পায়ে হেঁটে চলার মানসিকতা না থাকে, যদি শোডাউন দিয়ে চলতে হয়, তাহলে আমরা যাদের সাধারণ শিক্ষার্থী বলি, আমি কি তাদের কাতারে আছি?

নেতৃত্ব তৈরির জন্য ছাত্র সংসদ চালুর দাবি জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, প্রতিবছর ছাত্র সংসদের নির্বাচন করলেই কেবল সুষ্ঠু নেতৃত্ব তৈরি সম্ভব। কেউ যদি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কোনো ক্ষমতায় যান কিংবা চেয়ারে বসে তিনি শুধু তার ঊর্ধ্বতনদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন, লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি নির্দিষ্ট পক্ষের স্বার্থকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল উদ্দেশ্য নয়।

Header Ad

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৫, আক্রান্ত ৪৬৬

ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬৬ জন।

শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫০, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯২, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৪৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৯৭ ও খুলনা বিভাগে ৪৩ জন রয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৯ জন, রংপুর বিভাগে ১ এবং সিলেটে ৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৬৯ হাজার ৯২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখন পর্যন্ত চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৪২ জনের। এর আগে গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।

Header Ad

তারা জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে, জুলুম করেছে : ড. শফিকুর রহমান

ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার সরকার জাতিকে ধোঁকা দিয়ে জুলুম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নীলফামারী জেলার বড়মাঠে আয়োজিত জেলা জামায়াতে ইসলামী কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘একজন শাসক প্রায় সাড়ে ১৫ বছর ধরে দেশের শাসনভার ধারণ করেছেন। যখন তিনি কিছু বলতেন, তখন সাধারণ মানুষ বলতো, ‘ও হাসিনা, আমরা আর হাসি না!’ তিনি মানুষের সঙ্গে খেলা করতেন, তাদের উত্তেজিত করে হাসানোর চেষ্টা করতেন। তবে তার শাসনামলে যে কিছুই হয়নি, তা আজ সকলেই জানে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘এই শাসকরা কেবল জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে, তার চেয়েও বড় কথা, তারা মানুষকে নির্যাতন করেছে, গুম করেছে, হাজারো মায়ের বুক খালি করেছে। হাজার হাজার মানুষের বাড়ি-ঘর তছনছ করেছে এবং গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধ ঘটিয়েছে। তারা বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে, এমনকি জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর অফিস সিলগালা করে দিয়েছে।’

ড. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এই উত্তরাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। জামায়াতে ইসলামী মনে করে, এই অঞ্চলের মানুষের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা কোনোদিনও উত্তরবঙ্গের মানুষের উন্নয়নকে উপেক্ষা করবো না, আমরা তাদের পাশে আছি।’

কর্মী সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী জেলা আমীর আব্দুস সাত্তার সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।

সম্মেলনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও দলীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মাথাচাড়া দিচ্ছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা : হাসনাত আবদুল্লাহ
ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৫, আক্রান্ত ৪৬৬
তারা জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে, জুলুম করেছে : ড. শফিকুর রহমান
জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না: তারেক রহমান
প্যারিসে পিনাকী ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করলেন আসিফ মাহমুদ
জেনেভা বিমানবন্দরে আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, তারেক রহমানের তীব্র নিন্দা
ভাতিজিকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারালেন চাচা
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রথা বাতিল হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলেও হাসিনার আসার সুযোগ নেই: মাহমুদুর রহমান
বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার এর মৃত্যু
শোভাযাত্রায় যোগ দিতে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসি বাসে আগুন
তিনটি পর্বতারোহণে রেকর্ড গড়লেন পাবনার তৌকির
ইসরায়েলি হামলায় গাজা ও লেবাননে আরও শতাধিক নিহত
আবারও এমবাপ্পেকে ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
নারী ফুটবলারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুমার নামাজ ছেড়ে দেয়ার ভয়াবহ শাস্তি
স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যের বাজারে, সরবরাহ বাড়ানোর তাগিদ