বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চট্টগ্রামে শাহাদাত ভোটে জিতেছিলেন, ফল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচন করা ‘একটি ন্যায়বিচার’। রবিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, চসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শাহাদাত হোসেন জয়ী হলেও, আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্ট’ শক্তি বলপূর্বক সেই ফলাফল কেড়ে নেয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আদালতের রায় মেনে চট্টগ্রাম সিটির মেয়র হিসেবে শাহাদাতের শপথ সম্পন্ন করিয়েছে। এ ঘটনাটি ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের প্রতীক, যা ফ্যাসিস্টদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ফ্যাসিস্ট শক্তি যেন পুনরায় ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য জনগণের প্রতিরোধই চিরতরে তাদের নির্মূল করবে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণার পর প্রমাণিত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ বিগত তিনটি নির্বাচন দখল করেছিল। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা আশা করি।’

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে জয়ী ঘোষণা হন। বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত ধানের শীষ প্রতীকে পান ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। ফল ঘোষণার পর, কারচুপির অভিযোগ তুলে শাহাদাত ফল বাতিলের দাবি জানিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন ওই মামলার রায়ে শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করেন। এ রায়ের ধারাবাহিকতায় রবিবার সকালে শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটির মেয়র হিসেবে শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। কাউন্সিলর না থাকায় করপোরেশন পরিচালনার জন্য ১৭ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির মহাসচিব মনে করেন, এ রায় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং এর মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ

ছবি: সংগৃহীত

গতকাল (বুধবার) মধ্যরাতে আগুন লেগেছিল বাংলাদেশ সচিবালয়ে। যার ফলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব। তাই ক্রীড়া পরিষদে অফিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) পুড়ে যাওয়া মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করতে সচিবলায়ে গিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। সেখানকার অবস্থা দেখে মন ভার করে ফিরেছেন তিনি। তাই ক্রীড়া পরিষদে অসিফ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) গিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কয়েকজন কর্মকর্তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অফিসের খসড়া রূপরেখাও তৈরি করেছেন।

এ প্রসঙ্গে বলেন আমিনুল ইসলাম, সচিব মহোদয় এনএসসি সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছিলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কার্য সম্পাদন হবে। একটা খসড়া হয়েছে যা পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাস্তবায়ন হবে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান। ক্রীড়ামন্ত্রী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ক্রীড়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। দুইজনেরই ক্রীড়া পরিষদে নিজ নিজ অফিস কক্ষ রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ষষ্ঠ তলায় কনফারেন্স কক্ষ, নবম তলায় মিনি সভা কক্ষ ও শূন্য থাকা পরিচালক কক্ষ এবং সপ্তম তলায় কিছু কক্ষও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাময়িক ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে।

ক্রীড়া পরিষদের নতুন ভবন অনেক সুউচ্চ হলেও ক্রীড়া পরিষদ দ্বিতীয় তলায় অডিটরিয়াম, ষষ্ঠ তলায় কনফারেন্স কক্ষ, অস্টম ও নবম তলায় প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করে। এর বাইরে বেশ কয়েকটি তলা বাণিজ্যিকভাবে ভাড়ায় রয়েছে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনে চারতলায় রয়েছে ক্রীড়া কল্যাণসেবী ফাউন্ডেশন। সেই ফাউন্ডেশনেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অফিস করবেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বের হয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মতিঝিলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে যান। সেখানেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাময়িক কাজের ব্যাপারে পরিকল্পনা হয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে

অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  

ছবি: সংগৃহীত

 

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বালুখেকোরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার পৌলি রেল সেতুর পশ্চিম পাশে গ্যাস লাইন সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাত বিন সাদেক।

তিনি জানান, অভিযান চালানোকালে ভ্রাম্যমাণ আদলতের উপস্থিতি টের পেয়ে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতরা পালিয়ে যায়। পরে বালুঘাটে থাকা ভেকু (খননযন্ত্র) ও ট্রাকের ব্যাটারি খুলে নেয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে।

এ সময় এলেঙ্গা পৌর ভূমি কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ছবি: সংগৃহীত

৯৮টি ব্যাংক হিসেবে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ৬ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

এজাহারে বলা হয়, নসরুল হামিদ ২০০৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিজ নামে ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩ হাজার ৫৮ কোটি টাকা জমা এবং ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন।

এ ছাড়া আয়কর নথি অনুযায়ী নসরুল হামিদের পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় মোট ১১ কোটি ৭২ লাখ ৬৭ হাজার ২৪০ টাকা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অতিরিক্ত সম্পদের পরিমাণ পাওয়া গেছে, যা তাঁর আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ও দুদকের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এর আগে গত অক্টোবরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ ৩ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান দল।

সেসময় সংস্থাটি জানায়, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। শত কোটি টাকার দুর্নীতি ও অর্থপাচারের প্রমাণও পাওয়া যায় তাঁর বিরুদ্ধে। প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর সম্পদ বেড়েছে প্রায় আড়াইগুণ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের
বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন
বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও
পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু  
চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস, পরিবারে শোকের মাতম
বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক
সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত