ভারতে গিয়ে পানি ছেড়ে দিয়েছে শেখ হাসিনা, বন্যার জন্য তিনি দায়ী: জয়নুল আবেদিন
ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ
দেশে বন্যা পরিস্থিতির জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, দেশে বন্যার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা। ভারতে গিয়ে তিনি পানি ছেড়ে দিয়েছে। তাকে ক্ষমা করা যাবে না।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া পূর্ব বাজারের চেয়ারম্যান সুপার মার্কেটের সামনে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে পানি ছেড়ে দিয়েছে। সেই পানিতে আমার দেশে বন্যা হয়েছে। আমাদের কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, আবারও ওয়ান–ইলেভেনের চক্রান্ত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে এখনো কথা বলার সময় আসেনি। এই সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সময় দিয়েছে। তবে জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর অতি প্রয়োজনীয়। অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন অবস্থান করে রাজনৈতিক কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে না, রাজনৈতিক দলই হচ্ছে দেশের শক্তি। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে রংপুরের ছাত্র আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে। আবু সাঈদের রক্তের গন্ধ এখনো শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র চলছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে, এই সরকার যেন স্থির হতে না পারে, যেন সুন্দর নির্বাচন দিতে না পারে, সে জন্যও ষড়যন্ত্র চলছে। নতুন করে যদি আওয়ামী দুঃশাসনের সুবিধাভোগী কেউ বিএনপির নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তবে সেসব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার সহযোগিতা করতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে আমাদের সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন আছে। তাঁকে আমরা সহযোগিতা করব। আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে আমার দলের নেতা-কর্মীদের অনেকে বাড়িতে থাকতে পারেননি। হামলা-মামলা নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে যত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা হয়েছে, সব প্রত্যাহার করা হবে।
নিজ নির্বাচনী আসন নোয়াখালী-২-এর সাবেক সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলম ও তার ছেলের সমালোচনা করে ফারুক বলেন, মোর্শেদ আলম, তাঁর ছেলে দিপু আজ কোথায়? তাঁরা বিদেশে পালিয়েছে। সেনবাগ-সোনাইমুড়ীতে তাঁরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। কিশোর গ্যাং গড়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আমি সেসব হতে দেব না। এখানে সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই।
এ সময় সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।