ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কোনো দাসত্ব চাই না: গয়েশ্বর
সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত
আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কোনো দাসত্ব চাই না এমন মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে না পারি তাহলে এ দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তার মাধ্যমে দেশ দাসত্বে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই কোনো দাসত্ব চাই না। আমরা ভারত বিদ্বেষী নই। আমাদের নেত্রীর মুক্তি লড়াই কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে 'বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে' আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
গয়েশ্বর বলেন, খালেদা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের হার্ট। তাকে তাড়াতাড়ি মুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশ মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। আজকে সরকার যেসব চুক্তি ভারতের সঙ্গে করেছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা ভারত বিদ্বেষী নই। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে। এই লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা মানেই বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করা।
তিনি আরও বলেন, এ ফ্যাসিবাদি সরকার দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে স্বৈরাচারতন্ত্র চালু করেছে। দেশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে। দেশের মানচিত্র হুমকির মুখে। তাই এ সমাবেশ থেকে ঘোষণা দিতে চাই, শুধু বক্তব্য নয় এখন থেকে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শাসককে বিদায় করে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে জ্যেষ্ঠ নেতা ও অংঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।
এর আগে সকালে বৃষ্টির মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ীভাবে সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়। টাঙানো হয় ব্যানার। মূল মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি নয়াপল্টন থেকে শুরু করে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত এবং অন্য পাশে কাকরাইল থেকে কর্ণফুলী মার্কেট পর্যন্ত লাগানো হয় মাইক। সকাল থেকেই ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি আশপাশের জেলা ও মহানগর থেকে মিছিলসহ সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
উপস্থিত রয়েছেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবেদিন ফারুক, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, আকরামুল হাসান মিন্টু, নিপুণ রায় চৌধুরী,
ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ ও যুবদলনেতা গিয়াস উদ্দিন মামুনসহ অন্যান্যরা।