আওয়ামী লীগ ও পুলিশ গণপরিবহনে আগুন দিচ্ছে: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সারা দেশে অগ্নি সন্ত্রাস ও নাশকতার ঘটনা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই ঘটাচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে ভীতির রাজত্ব কায়েমের জন্য প্রতিদিন নৈরাজ্যে লিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা গণপরিবহনে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ করছে। আর নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী উদ্দেশ্যমূলকভাবে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চালক বা তাদের সহকারীদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, কিভাবে পুলিশ বা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা তাদের বাসে আগুন দেয়ার জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেন আজ এক যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দেশের সর্বত্র পুলিশ বা র্যাবের শত শত পেট্রোল টিম এবং বিজিবির শত শত প্লাটুন অস্ত্র সজ্জ্বিত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বিপুল অস্ত্র সশস্ত্র সহযোগে পুলিশের পূর্ণাঙ্গ সুসংহত টহল। এই নিশ্ছিন্দ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও বিরোধী দলের সদস্য কোনো প্রকার সহিংসতা বা অগ্নিসংযোগে কাজে লিপ্ত হবে এই দাবি সর্বত্রই হাস্যকর। বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতির উদ্দেশ্য হচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেন তারা নিশ্চিন্তে যানবাহনে আগুন দিতে পারে, জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের প্রেক্ষাপট তৈরি করতে পারে।
রিজভী আহমেদ বলেন, মানুষ হত্যা করে, জনগণের সহায়-সম্বল ধ্বংস করে, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সেই দায় বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় ভিন্ন দল ও মতের উপর দমন-নিপীড়ন চালাবার এক বিভৎস রাজনীতি আওয়ামী লীগ লালন করে।
বিএনপির এই মুখপাত্র জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশ ৪৭৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে এবং বিভিন্ন মামলায় ১ হাজার ৭২০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করেছে।
বুধবার ভোর ৬টা থেকে থেকে শুরু হওয়া টানা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সফল করে তোলার জন্য দেশের সর্বস্তরের জনগণ, দলের নেতাকর্মী, সমমনা জোট ও দলের সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।