বিএনপির অফিসে পুলিশ তালা দেয়নি, তারা নিজেরাই দিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ছবি:সংগৃহীত
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ তালা মারেনি, তারা (বিএনপি) নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সম্প্রতি অবরোধ চলাকালে অগ্নিদগ্ধ হওয়া রোগীদের দেখতে আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান ডিএমপি কমিশনার। সেখানেই উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে তারা নিজেরা তালা মেরে রেখেছে এবং তারা এখন সেখানে আসেনা। কেন আসেনা সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের পুলিশ সেখানে সবসময়ই থাকে নিরাপত্তার জন্য, একইভাবে এখনো সেখানে পুলিশ প্রহরা আছে। তারা যদি এখানে আসে, অফিস খুলে কার্যক্রম করে আমাদের কোন আপত্তি নেই বা কখনোই ছিলোনা।
তিনি বলেন, অবরোধ কর্মসূচীতে নৃশংসভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নাঈম নামে একজন পরিবহন শ্রমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহতরা অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এখানে যেসব পরিবহন শ্রমিকরা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার চিন্তা করেছি, আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, যারা নৃশংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সকল প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে আগুন দেওয়ার সময় হাতে নাতে আমরা ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবেনা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবরোধ এবং পরবর্তী সময়ে পুলিশ দিন রাত রাস্তায় থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। পুলিশ যথাযথ ভাবে কাজ করছে। এরপরেও যে হামলাগুলো হচ্ছে এগুলো একান্তই চোরাগোপ্তা হামলা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি, যেসব স্থান থেকে বাসে যাত্রী ওঠে এবং নামে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশসহ ড্রাইভার-হেলপাররা যাত্রীদের ছবি তুলে রাখছেন। এছাড়া, বিভিন্ন চেকপোস্টে বাস থামিয়ে বাসের ভেতরে চেক করা হচ্ছে। গাড়ি যেন যত্রতত্র ফেলে না রাখে, ড্রাইভারদের আরও সচেতন হতে বলা হয়েছে। এসব হামলা প্রতিরোধে পুলিশের সকল ইউনিট কাজ করছে।
সামনে তফসিল ঘিরে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা দেখেছি ইতোপূর্বে অনেক আন্দোলন-হরতালের নামে সহিংসতা করা হয়েছে। যে ধরনের সমস্যাই আসুক, যে আন্দোলনই আসুক এসব মোকাবেলা করার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাতে খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশের এক এএসআইকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে, এরপর বলা যাবে কেন হামলা করা হয়েছে।