সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সরকার পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ পাবে না : মির্জা ফখরুল

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি:সংগৃহিত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আমরা ভেবেছিলাম সরকার জনগণের দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তারা সেটা না করে জনগণের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। তারা যতই ভয়ভীতি দেখাক, পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ পাবে না।

রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

পুলিশের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, কোথাও আপনারা অহেতুক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না। এটা করলে আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন। আপনারা সহযোগিতা করুন। সরকার চায় না বিরোধী দল নির্বাচনে আসুক। ২৮ তারিখ মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা আসবেন, কর্মসূচি শেষ করে চলে যাবেন। বসে থাকার কোনো পরিকল্পনা নেই। এমন কোনো কর্মসূচি আমরা দিইনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৮ অক্টোবর সমাবেশে কোনো ঝামেলা না হলেও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে ৪৭টি। আসামি করা হয়েছে ১২ হাজারের বেশি। আইনজীবী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। তিনি আদালতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছেন। তার বক্তব্যে পরিষ্কার-সরকার ফরমায়েশি রায় দিতে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেছে। আদালতকে তারা ব্যবহার করছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।

চলমান সংসদ অধিবেশনে সংবিধানে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিধান সংযোজন করার দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোনো নির্বাহী প্রধান বলতে পারেন না। তিনি বিচারাধীন মামলা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে প্রমাণিত হলো যে, আওয়ামী লীগ সরকার সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে ফরমায়েশি রায় দিতে নির্দেশ দিচ্ছে। বিএনপির নেতাদের সাজা দেওয়ার চক্রান্ত কার্যকর করছে।’

সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আদালতকে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি একটাই অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কারণ এই সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা দেশে-বিদেশের সবাই বলছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শামা ওবায়েদ প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।  যা দেশের বাজারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ।  মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এবার ভরিতে ৪ হাজার ৭১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে।  ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা।  এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে।  তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস।  চলতি বছর ২৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম।  যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৮ বার, আর কমেছে মাত্র ৬ বার।  আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল।  যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম।  দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দলটির আরেক যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ মার্চ জাতীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আপনার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এসেছে।

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের নিকট আগামী ৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে এবং আপনাকে কেন দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শাতে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন নির্দেশ প্রদান করেছেন।

একইসঙ্গে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রদত্ত পূর্ববর্তী মৌখিক সতর্কতা অমান্যের প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত আপনাকে দলের সব ধরনের দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

Header Ad
Header Ad

দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে ভারতে নিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার দুই বাংলাদেশি কৃষক ভারতে প্রবেশের পর স্থানীয়দের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ঘটনাটি ঘটে রোববার সকালে, ত্রিপুরা রাজ্যের সিধাই এলাকায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতেই স্থানীয় কিছু ব্যক্তি দুই বাংলাদেশি কৃষককে বেধড়ক মারধর করছে। এমনকি তাদের একটি পিকআপ ভ্যানে তোলার সময়ও নির্যাতন অব্যাহত থাকে।

নির্যাতনের শিকার কৃষকরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৫৩) ও জামাল মিয়া (৫৪)। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দাবি করেছে, তারা মেইন পিলার ১৯৮৭ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, যেটি ৭৮পি/৮ নম্বর মানচিত্রের আওতায় পড়ে।

ঘটনার পর পরই রোববার বিকেলে সীমান্তবর্তী হরিণখোলা ফাঁড়িতে বিএসএফ এবং বাংলাদেশের ৫৫ বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ তোফাজ্জল ও জামালকে বাংলাদেশি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।

৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজিল আহমেদ জানিয়েছেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে।

এদিকে, মাধবপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি
দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে ভারতে নিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
গাইবান্ধায় অপহরণের দুই ঘন্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ২
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
২০ দিনে ৫০ কোটিরও বেশি আয় করল শাকিবের 'বরবাদ'
ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার
টাঙ্গাইলে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
কারাগার থেকে দুটি শীতের সোয়েটার হারিয়ে গেছে: কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান
বাকৃবিতে পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক সুরক্ষায় অকার্যকর বেনাপোল এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন
পলাতক সব এমপি মন্ত্রীদের আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’
রবীন্দ্রনাথের ‘দেনাপাওনা’য় জুটি বাঁধছেন ইমন-দীঘি
বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে একসঙ্গে শেখ হাসিনার সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী