সরকার পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ পাবে না : মির্জা ফখরুল
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি:সংগৃহিত
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আমরা ভেবেছিলাম সরকার জনগণের দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তারা সেটা না করে জনগণের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। তারা যতই ভয়ভীতি দেখাক, পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ পাবে না।
রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, কোথাও আপনারা অহেতুক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না। এটা করলে আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন। আপনারা সহযোগিতা করুন। সরকার চায় না বিরোধী দল নির্বাচনে আসুক। ২৮ তারিখ মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা আসবেন, কর্মসূচি শেষ করে চলে যাবেন। বসে থাকার কোনো পরিকল্পনা নেই। এমন কোনো কর্মসূচি আমরা দিইনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৮ অক্টোবর সমাবেশে কোনো ঝামেলা না হলেও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে ৪৭টি। আসামি করা হয়েছে ১২ হাজারের বেশি। আইনজীবী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। তিনি আদালতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছেন। তার বক্তব্যে পরিষ্কার-সরকার ফরমায়েশি রায় দিতে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেছে। আদালতকে তারা ব্যবহার করছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।
চলমান সংসদ অধিবেশনে সংবিধানে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিধান সংযোজন করার দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোনো নির্বাহী প্রধান বলতে পারেন না। তিনি বিচারাধীন মামলা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে প্রমাণিত হলো যে, আওয়ামী লীগ সরকার সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে ফরমায়েশি রায় দিতে নির্দেশ দিচ্ছে। বিএনপির নেতাদের সাজা দেওয়ার চক্রান্ত কার্যকর করছে।’
সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আদালতকে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি একটাই অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কারণ এই সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা দেশে-বিদেশের সবাই বলছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শামা ওবায়েদ প্রমুখ।