শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে ৫৮২ বিশিষ্ট নাগরিকের আহ্বান

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দেশের ৫৮২ জন বিশিষ্ট নাগরিক আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক যুক্ত বিবৃতিতে মানবিক দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ৯ আগষ্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দেশে চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই। তাকে বাঁচাতে হলে বিদেশে অ্যাডভানস সেন্টারে নিয়ে ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। তাই আমরা সরকারকে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাঁকে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগের আহ্বান জানাই।’

এতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৮ বছর। সরকারের বিশেষ অনুমতিতে তিনি এখন নিজ বাসভবনে বন্দি অবস্থান করছেন। নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। চার বছর তাঁর যথাযথ কোনো চিকিৎসা হয়নি। কারাগারে তিনি অনেক নতুন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হার্টের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, কিডনি ও চোখের সমস্যা ছাড়াও পুরনো আর্থ্রাইটিস ও কভিড-১৯ জটিলতায় তার শারীরিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান সাংবাদিকদের কাছে তার অসুস্থতার যে বিবরণ দিয়েছেন তা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মনে করি, দেশের একজন শীর্ষ রাজনীতিক, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়োজেষ্ঠ নাগরিক, একজন নারী হিসেবে উপরন্তু একজন জেলবন্দি ব্যক্তির যথাযথ সুচিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ। আমরা তাই আদালতের মাধ্যমে তাকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. আফম ইউসুফ হায়দার, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, প্রফেসর ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রফেসর ড. তাসমেরি এসএ ইসলাম, প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম, প্রফেসর ড. খলিলুর রহমান, প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসেন মিয়া, সাংবাদিক ড. রেজোয়ান হোসেন সিদ্দিকী, ডা. আবদুল আজিজ, প্রফেসর ডা. গাজী আবদুল হক, সাংবাদিক এমএ আজিজ, কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ, সাংবাদিক এম. আবদুল্লাহ, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, সাবেক সচিব আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুর রশিদ সরকার, বিজন কান্তি সরকার, ডা. সৈয়দা তানজিন ওয়ারিশ সিমকী, মুহম্মদ জকরিয়া, সাংবাদিক মোরসালীন নোমানী, প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস, প্রফেসর ডা. একেএম আজিজুল হক, প্রকৌশলী আনহ আকতার হোসেন, প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. আবদুস সালাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন আহমেদ, কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফ উদ্দিন উজ্জল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ গোলাম হাফিজ কেনেডি, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সেলিম, প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাংবাদিক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক খুরশীদ আলম, নূরুদ্দীন নুরু, আমিরুল ইসলাম কাগজী, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, অ্যাডভোকেট আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী, অ্যাডভোকেট শামীম আখতার, অ্যাডভোকেট আবদুল খালেক মিলন, অ্যাডভোকেট জহিরুল হাসান মকুল, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল, অধ্যাপক ড. মো. আল আমিন, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. এসএম নসরুল কাদির, অধ্যাপক ড. খন্দকার এমামুল হক (সানজিদ), অধ্যাপক ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার, অধ্যাপক ড. গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম, অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক, একেএম ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলো, অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব, অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক ড. এআরএম মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেসবাহ, অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম তালুকদার, অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক শেখ মাহমুদুল হাসান, ড. আ ন ম ফজলুল হক সৈকত, অধ্যাপক ড. এমএম শরিফুল করিম, ড. শেখ মনির উদ্দিন ও অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ, অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক ড. মো. রইস উদ্দিন, অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, ড. শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল, অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা), অধ্যাপক ড. মো. আলমোজাদ্দেদী আলফেছানি, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, দেবাশীষ পাল, অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম রুবেল, অধ্যাপক ড. আবু জাফর খান, অধ্যাপক ড. এটিএম জাফরুল আযম, অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন সরকার, অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহিম (সাজিদ), অধ্যাপক ড. মো. বেলাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ শের মাহমুদ, অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত, মো. তানজিল হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল করিম, অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সরকার, অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল খালেক ও অধ্যাপক ড. মো. সায়েফ উল্লাহ, মো. আল আমিন, ড. মো. সাইফুল আলম, ড. আলী মো. কাওসার, অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম, মো. শাহ শামীম আহমেদ ও অধ্যাপক মো. মনিনুর রশিদ, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা , অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম জাহিদ, অধ্যাপক ড. নাসিফ আহসান, অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মতিউর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মেজবাহুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক তানভীর আহসান, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আসহাবুল হক, অধ্যাপক ড. মো. আলী হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুর-উল-হায়দার, অধ্যাপক ড. এসএম হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান তালুকদার (তুষার), ড. মো. নাজমুল হোসেন, অ্যাডভোকেট এম এ বারী, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. একে ফজলুল হক ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম, ডা. আজফারুল হাবিব রোজ, ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুর মোরশেদ, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. আমান উল্লাহ, ডা. মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক, ডা. বজলুল গনি ভূঁইয়া, প্রফেসর ড. মো. ইসরাফিল রতন, প্রফেসর ড. সাবরিনা শাহনাজ, অধ্যাপক ড. মো. রাকিবুল হক, অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবিব, অধ্যাপক তাহমিনা আখতার (টফি), অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির, অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুইয়া, অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আউয়াল, অধ্যাপক মো. সাজেদুল করিম, অধ্যাপক ড. মো. জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী মাসুদ, অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ শরিফুল হুদা, অধ্যাপক ড. মো. শাহ এমরান, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক, অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস, অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. দিলিপ কুমার বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসান (মুকুল), অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান, অধ্যাপক ড. মতিয়ার রহমান, অধ্যাপক ড. শেখ মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যাপক ড. সাইফুল হুদা, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবির ভুইয়া, অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক ড. মো. আতিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. একেএম মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো. আবু জুবায়ের, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম, অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান, অধ্যাপক ড. রেজওয়ান আহমদ, অধ্যাপক ড. শেখ সিরাজুল হাকিম, অধ্যাপক আ ফ ম জাকারিয়া, অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম, প্রফেসর ডা. মো. শহিদ হাসান, ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. আব্দুস সালাম, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. হারুন অর রশিদ, ডা. এ এ গোলাম মর্তুজা হারুন, ডা. সরকার মাহাবুব আহমেদ শামীম, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. আজিজ রহিম, ডা. শামিমুর রহমান, ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস, ডা. ওয়াসিম হোসেন, ডা. শাহারিয়ার হোসেন চৌধুরী, ডা. শাহ মোহাম্মদ শাহাজান আলী, ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. রফিকুল হক বাবলু, ডা. এম এ সেলিম, ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ডা. খালেকুজ্জামান বাদল, ডা. তমিজউদ্দিন আহমেদ, ডা. আকমল হাবিব চৌধুরী, ডা. মোফাখখারুল ইসলাম, ডা. আজফারুল হাবিব রোজ, ডা. এ কে এম মুসা শাহিন, ডা. কামরুল হাসান সরদার, ডা. শামসুজ্জামান সরকার, ডা. বি গনি ভূইয়া, ডা. শরিফুল ইসলাম বাহার, ডা. মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ডা. পরিমল চন্দ্র মল্লিক, ডা. শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, ডা. শেখ আক্তারুজ্জামান, ডা. তৌহিদুর রহমান ববি, ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম, ডা. আমিরুজ্জামান খান লাভলু, ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. নাসির উদ্দিন পনির, ডা. মো. খায়রুল ইসলাম, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিশ সিমকি, ডা. সুমন নাজমুল হোসেন, ডা. কাজী মাজাহারুল ইসলাম দোলন, ডা. সামিউল হাসান বাবু, ডা. মো. জাকির হোসেন, ডা. আব্দুস শাকুর খান, ডা. মারুফ বিন সাইদ, ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন, ডা. কামাল উদ্দিন, ডা. জিয়াউল করিম জিয়া, ডা. মাসুম আক্তার চন্দন, ডা. মো. আজহারুল ইসলাম, ডা. সায়েফ উল্লাহ, ডা. প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস, ডা. আবুল কেনান, ডা. এ বি এম ছফিউল্লাহ, ডা. মো. মজিবুল হক দোয়েল, ডা. এম এ কামাল, ডা. সাইফুদ্দিন নিসার আহমেদ, ডা. রেজাউল আলম নিপ্পন, ডা. এ টি এম ফরিদ উদ্দিন, ডা. হাসান জাফর রিফাত, ডা. রেহান উদ্দিন খান, ডা. গোলাম সারোয়ার বিদ্যুৎ, ডা. মো. নজরুল ইসলাম, ডা. মো. শহিদুল হাসান (বাবুল), ডা. ইমদাদুল হক ইকবাল, ডা. শফিউল্লাহ ঝিন্টু, ডা. হাসনাত আহসান সুমন, ডা. তৌহিদ সিকদার, ডা. মিজানুর রহমান কাউসার, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ, ডা. জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ রুমি, ডা. ডি এম এম ফারুক ওসমানী খোকন, ডা. সৈয়দ মাহতাবুল ইসলাম, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. দিদারুল আলম, ডা. তৌহিদুল ইসলাম, ডা. মো. ওয়াসীম, ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানা, ডা. জিয়াউল ইসলাম, ডা. শাকিল আহম্মেদ, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামিম, ডা. আবু আহসান ফিরোজ, ডা. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী, ডা. ফারুখ হোসেন, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. আলমগীর কবির উজ্জল, ডা. মোহাম্মদ উল্লাহ মোস্তফা, ডা. রিদওয়ানুল ইসলাম, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. মো. হারুন উর রশিদ খান রাকিব, ডা. মো. সামছুল আলম, ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, ডা. মোহাম্মদ ইসহাক, ডা. এ এস এম আতিকুর রহমান, ডা. সামিউল আলম সুহান, ডা. গাজী মো. শাহিন, ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন, ডা. নজরুল ইসলাম আকাশ, ডা. মুরাদ হোসেন, ডা. শহিদুল ইসলাম, ডা. এ এস এম নওরোজ, ডা. শাহ মো. আমান উল্লাহ, ডা. আ খ ম আনোয়ার হোসেন মুকুল, ডা. মো. ইদ্রিস আলী, ডা. আ ন ম মনোয়ারুল কাদির বিটু, ডা. জাহিদুল কবির, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মো. আল মামুন, ডা. নাফিজ ইমতিয়াজ শিপলু, ডা. খালেকুজ্জামান দীপু, ডা. একরামুল রেজা টিপু, ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল, ডা. জাভেদ আহমেদ, ডা. তাজুল ইসলাম লোহানী, ডা. মো. আবু সায়েম, ডা. মো. সায়েম, ডা. সাইফুল আলম রনজু, ডা. তালুকদার তরিকুল ইসলাম আয়াস, ডা. ফারুক আহম্মদ, ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ, ডা. মতিউর রহমান আজাদ, ডা. মাহমুদুর রহমান নোমান, ডা. এরশাদ হাসান সোহেল, ডা. মনোয়ার সাদাত, ডা. মো. সাজ্জাদুর রহমান, ডা. কাজী মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, ডা. এস এম এ মাহাবুব মুন্না, ডা. মো. ফখরুজ্জামান, ডা. আনোয়ারুল ইসলাম, ডা. আহমেদ সামি আল হাসান ইমন, ডা. মো. জাবেদ হোসেন, ডা. হাসানুল আলম শামীম, ডা. মো. আসলাম উদ্দিন, ডা. মো. সফিউল আলম ডেভিড, ডা. শরিফ আহমেদ, ডা. এস এম আকরামুজ্জামান, ডা. আবু নাসের, ডা. মো. আল আমিন, ডা. মো. আসিফুর রহমান, ডা. আবুল কালাম মো. ইউসুফ শিবলি, ডা. ফকির ওয়ালিদ শাহ্, ডা. সাইফুল ইসলাম শাকিল, ডা. শাহাদাৎ হোসেন জুয়েল, ডা. দেলোয়ারা খানম পান্না, ডা. রোকনুজ্জামান রুবেল, ডা. মো. আব্বাস উদ্দিন, ডা. মনিরুল ইসলাম চয়ন, ডা. মো. মমিনুল হক, ডা. গালিব হাসান, ডা. নাভিদ মোস্তাক ও ডা. নজরুল ইসলাম সেলিম, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল, অধ্যাপক ড. মো. আল আমিন, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. এসএম নসরুল কাদির, অধ্যাপক ড. খন্দকার এমামুল হক (সানজিদ),অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার, অধ্যাপক ড. গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম, অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক, একেএম ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলো, অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব, অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক ড. এআরএম মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম তালুকদার, অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক শেখ মাহমুদুল হাসান, ড. আ ন ম ফজলুল হক সৈকত, অধ্যাপক ড. এমএম শরিফুল করিম, ড. শেখ মনির উদ্দিন ও অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ,অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার,অধ্যাপক ড. মো. রইস উদ্দিন, অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, ড. শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল, অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা), অধ্যাপক ড. মো. আলমোজাদ্দেদী আলফেছানি, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, দেবাশীষ পাল, অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম রুবেল, অধ্যাপক ড. আবু জাফর খান, অধ্যাপক ড. এটিএম জাফরুল আযম, অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন সরকার, অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহিম (সাজিদ), অধ্যাপক ড. মো. বেলাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ শের মাহমুদ, অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত, মো. তানজিল হোসেন,অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল করিম, অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সরকার, অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল খালেক, অধ্যাপক ড. মো. সায়েফ উল্লাহ, মো. আল আমিন, ড. মো. সাইফুল আলম, ড. আলী মো. কাওসার, অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম, মো. শাহ শামীম আহমেদ, অধ্যাপক মো. মনিনুর রশিদ, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান ,অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম জাহিদ, অধ্যাপক ড. নাসিফ আহসান, অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মতিউর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মেজবাহুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক তানভীর আহসান, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন ,অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আসহাবুল হক, অধ্যাপক ড. মো. আলী হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুর-উল-হায়দার, অধ্যাপক ড. এসএম হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান তালুকদার (তুষার), ড. মো. নাজমুল হোসেন, মো. ইসরাফিল রতন, সাবরিনা শাহনাজ, অধ্যাপক ড. মো. রাকিবুল হক, অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবিব, অধ্যাপক তাহমিনা আখতার (টফি), অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির, অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুইয়া, অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আউয়াল, অধ্যাপক মো. সাজেদুল করিম, অধ্যাপক ড. মো. জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী মাসুদ, অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ শরিফুল হুদা, অধ্যাপক ড. মো. শাহ এমরান, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক, অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস, অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. দিলিপ কুমার বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসান (মুকুল), অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান, অধ্যাপক ড. মতিয়ার রহমান, অধ্যাপক ড. শেখ মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. সাইফুল হুদা, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবির ভুইয়া, অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক ড. মো. আতিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. একেএম মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো. আবু জুবায়ের, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম, অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান, অধ্যাপক ড. রেজওয়ান আহমদ, অধ্যাপক ড. শেখ সিরাজুল হাকিম, অধ্যাপক আ ফ ম জাকারিয়া, অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার হামিদ, কৃষিবিদ জিয়াউল হায়দার পলাশ।

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি