আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না। তারা শুধু মিথ্যা কথা বলে। নির্বাচনের সময় নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের বিকল্প নেই। আগে পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। পরেরটা পরে দেখা যাবে। দেশের মানুষ সেটা জানে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকট: উত্তরণ প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, আমাদের লড়াই কিন্তু বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য নয়। লড়াই করছি দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। গোটা দেশের মানুষ আজ আমাদের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করছেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনায় তিনি বলেন, দেশের মানুষ যা চায়, আওয়ামী লীগ তার উল্টো কাজ করে। তাদের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না। তারা সহিংস ও আক্রমণাত্মক। তারা অন্যকে কথা বলতে দেয় না। তারা নিজেরা নিজেরা লড়াই করে, তাদের কোনো কিছুই গণতান্ত্রিক নয়। বিএনপি এ ধ্বংসাত্মক মতবাদে বিশ্বাসী নয়। সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করতে হবে।
বিএনপির আন্দোলন ভিন্নখাতে নিতে আওয়ামী লীগের নেতারা সংলাপের কথা বলছেন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটা জিনিস ভালো পারে, সেটা হচ্ছে ডাইভার্সন। আমির হোসেন আমু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলো- বিএনপিকে মূল দাবি থেকে মনোযোগ ভিন্নখাতে নেওয়া। তাদের একটাই উদ্দেশ্য, সেটা হলো মানুষের দৃষ্টি ডাইভার্ট করা। লোডশেডিংয়ে বর্তমানে যে জনদুর্ভোগ, তা থেকে দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এসব বক্তব্য দিচ্ছেন তারা।
বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিদ্যুতের জন্য এত টাকা খরচ করছে, এখন এই অবস্থা কেন? সব ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে। এত টাকা গেল কোথায়? অর্থনীতিবিদরা বলছে, সরকারের কাছে টাকা নেই, ডলার নাই। তাই মহাসংকট তৈরি হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে। তখন সংবাদ সম্মেলন করে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আজ এ ঘটনার মধ্যে দিয়ে দেশে চিরস্থায়ী সংকট-সংঘাত শুরু হলো। সেটাই হয়েছে এবং চলছে।
এ ছাড়া সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী।
