মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘আওয়ামী লীগ সরকারকে যত দ্রুত বিদায় করা যা‌বে তত মঙ্গল’

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে যত শিগগির বিদায় করা যায়, দেশ ও জনগণের তত মঙ্গল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ বিভাগীয় সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছিল। এই সরকারের পুলিশ বাহিনী, পেটুয়া বাহিনী সেখানে বাধা সৃষ্টি করেছে। সকল বাধাকে উপেক্ষা করে প্রতিটি কর্মসূচিকে জনগণ সফল করেছে। এই সরকারকে যত শিগগির বিদায় করা যায়, দেশ ও জনগণের তত মঙ্গল।’

শনিবার (৬ মে) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া আর গণতন্ত্র একে অপরের সম্পূরক। গণতন্ত্রের অর্থই হচ্ছে খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার অর্থই হচ্ছে গণতন্ত্র। আজকে আমাদের নেত্রী কারগারে? শুধুমাত্র গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করার কারণে আজকে মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় ফরমায়েসি রায় দিয়ে দেশনেত্রীকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তেমনিভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও একটি বানোয়াট মামলায় ফরমায়েসি রায়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে।

তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে যারা গায়ের জোরে সরকারে আছে, তারা স্বৈরাচারী। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে, গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কথা বলে তাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে। তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজকে দেশনেত্রী কারগারে গৃহবন্দী। তাই আজকে এদেশের মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। এদেশের জনগণ গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার চায়।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, গণতন্ত্রের সঙ্গে যে নেত্রীর নাম জড়িত, সেই নেত্রীর মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না ৷ সেজন্য আজকে দেশের সংকটকালে দেশকে রক্ষা, জনগণকে রক্ষা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি অপরিহার্য।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায়, তারা স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় এসে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে এদেশে সারাজীবনের জন্য রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। এই আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে অর্থনীতি লুটপাট করে এদেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তখন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছেন।

তিনি বলেন, ১/১১তে যারা সংবিধান বহির্ভূতভাবে জরুরি আইন করে সরকারে ছিল, সেই সরকার এদেশ থেকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে গিয়েছে। এরপর এই সরকার গায়ের জোরে প্রতিটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় রয়েছে। ২০১৪ এর নির্বাচন এদেশের মানুষ বয়কট করেছিল নির্বাচন বয়কট হওয়ার পরও এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থেকেছে। ২০১৮ তে তারা দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করেছে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলে, তারা লুটপাট, দুর্নীতি, মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি করে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ১৯৭২-৭৫ এ তারা এভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এখন আবার তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, পদদলিত করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে ৷ যার জন্য আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সরকার ঠেকাতে পারছে না। কারণ, তাদের সিন্ডিকেট, তাদের ব্যবসায়ীরা এদেশের মানুষের পকেট থেকে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করার জন্য এই পরিস্থিত সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, আজকে মধ্যবিত্ত মানুষ গরিব হয়ে যাচ্ছে। তারা পেট চালাতে পারে না। সেই অবস্থায় আজকে দেশকে এই সরকারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ ৷

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান এবং তার তার পরিবার আওয়ামী লীগের শত্রু। কারণ, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে যে যে ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে বিএনপি সফল হয়েছে। এজন্য আজকে বিএনপিকে, এ দেশের জনগণকে আওয়ামী লীগ ভয় পায় ৷ তাই যদি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হয়, তাহলে দেশের ভবিষ্যত কী হবে, কেউ বলতে পারবে না। জাতির স্বার্থে আমাদেরকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে৷

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, কোনো স্বৈরাচার আপসে কখনো ক্ষমতা ছাড়েনি। তাই সকলের দাবি আগামী নির্বাচন হতে হবে শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে পারে না ৷ অতীতের নির্বাচনগুলোতে প্রমাণ হয়েছে, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্দলীয়, নিরপেক্ষা, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তাই শেখ হাসিনাকে সরকার থেকে হটিয়ে এদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ এদেশে গণআন্দোলন সৃষ্টি করা। গণআন্দোলনের বিকল্প নেই। সময় অতি সন্নিকটে।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম (বীর প্রতীক), বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।

এমএইচ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আর কোন কথা হবে না: সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। ছবি: সংগৃহীত

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা ঘটিয়েছে। ফুল স্টপ…। এটা নিয়ে আর কোনো কথা হবে না। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসের বক্তব্যে সাংবাদিকদের একথা বলেন সেনাপ্রধান।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কোনো সেনা সদস্য জড়িত নয়, যারা শাস্তি পেয়েছে তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কোনো রাজনৈতিক নেতারা বা বাইরের কোনো শক্তি জড়িত কিনা তা খুঁজে বের করতে কমিশন করা হয়েছে। কমিশন তা তদন্ত করে বের করে আপনাদের জানাবেন। তবে মূল কথা হচ্ছে যেসব সেনা অফিসার বা সদস্য মারা গেছেন তাদের বিডিআরের সদস্যরাই গুলি করেছে।

সেনাপ্রধান বলেন, যারা বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষী হয়েছে তারা দোষী। এ নিয়ে অন্য কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। নিজেদের মধ্যে হানাহানি করলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ৭ মাসে অনেক হয়েছে। এনাফ ইজ এনাফ। আমি চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ রেখে যেতে।

তিনি বলেন, আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। কারণ তাদের অনেকেই জেলে। র‍্যাব, বিজিবি প্যানিকড। দেশের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর না। আনসার বাহিনী আছে। ৩০ হাজার সেনাবাহিনী সদস্য নিয়ে আমরা কীভাবে করব?

সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হানাহানি না করে দিন শেষে দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে এক থাকতে হবে। যদি নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলতে পারবেন না যে সতর্ক করিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন দেশকে ইউনাইটেড রাখার।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করবেন না। সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো, কী কারণে জানি না। আমাদের সাহায্য করেন, আক্রমণ নয়। আমাদের উপদেশ দেন, আমি সবার কাছে স্মরণাপন্য হই, আমরা ভালো উপদেশ গ্রহণ করব, আমরা এক থাকতে চাই, দেশ ও জাতিকে আমরা রক্ষা করতে চাই।

নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, আমার মনে হয় আমরা নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি, ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম। ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।

Header Ad
Header Ad

পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই নির্মমতার সুবিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘শহীদ পরিবারের সদস্যরা একান্ত প্রিয়জন হারানোর এতগুলো বছর পরেও স্বজন হত্যার বিচার পেতে অপেক্ষা করে আছেন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সমব্যথী হয়ে দেশ ও জনগণ শহীদ পরিবার ও সকল নিপীড়িতের পাশে দাঁড়াবে, একইসঙ্গে সেই আশাবাদ রাখছি।’

তিনি বলেন, ‘আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদের স্মরণে এখন থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই দিনে আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করি ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই জাতির সূর্য সন্তান, শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। একইসঙ্গে তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাই সমবেদনা ও সহমর্মিতা।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন থেকে এই দিনটি আমাদের চেতনা ও অনুভূতির একটি নিয়ামক হয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে পথচলা একদল সাহসী মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত নির্মম মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেবে। তাদের এই আত্মত্যাগের স্মরণে আমরা জাতি হিসেবে যেন নিজেদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে সংকল্পবদ্ধ হই। দুঃশাসন, ষড়যন্ত্র ও আত্ম-অহংকারে আর যেন কোনো প্রাণ না হারায়। মানুষ যেন আত্মসম্মান ও মানবিক অধিকার নিয়ে নিজের যোগ্যতা ও মেধায় তার প্রাপ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারে এই প্রত্যাশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত পৃথিবী গড়ার পথে বাংলাদেশই যেন হয় আদর্শিক মাপকাঠি। জাতির শহীদ সেনাদের স্মরণে এই দিনে আমরা একটি স্বনির্ভর ও সুসভ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ হই। শহীদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে আমি আবারও সকল শহীদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।’

Header Ad
Header Ad

অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

অপরাধ দমনে দেশব্যাপী শুরু হওয়া অভিযান পরিচালনায় কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যের গাফিলতি পেলে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে বনানী সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে গতরাত থেকে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান। এ অভিযান সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অভিযান পরিচালনায় আমরা কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের গাফিলতি পাই তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এ অভিযান যেভাবে সাজিয়েছি, যদি কোনো জায়গায় আমার কোনো কর্মচারী বা আমার কোনো বাহিনীর সদস্যের মধ্যে গাফিলতি থাকে, আমি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

তিনি আরও বলেন, এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, সে পুলিশ হোক, বিজিবি হোক, র‌্যাব হোক, আনসার বা কারা অধিদফতর হোক।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার নিশ্চিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করছে।’

অভিযানের সর্বশেষ আপডেট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো ভাবছিলাম, আপডেট আপনারা দেবেন। আপনারা সত্য সংবাদটা পরিবেশন করেন। দেখেন আমরা ব্যবস্থা নেই কিনা। দুই এসপির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের পর আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছি। সত্য সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

এর আগে, জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাজধানীর বনানীতে সামরিক বাহিনী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আর কোন কথা হবে না: সেনাপ্রধান
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন
পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক  
৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  
চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই  
যুবদল নেতার বাড়িতে বোমা হামলা-অগ্নিসংযোগ, আহত ১  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো কলকাতা-ওড়িশা, অনুভূত হলো ঢাকাতেও
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায়
নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না হলে ঈদের পরে আন্দোলন: বিএনপি নেতা হারুন
জেল থেকে পালালেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ফাইয়াজের দাবি
তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার