বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২১ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই: ফখরুল

নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিকালে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।

শপথ নেওয়ার আগে মো. সাহাবুদ্দিন একাধিকবার গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার অবস্থান থেকে যতটা ভূমিকা পালন করার সেটা করবেন বলেছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'যতটা ভুমিকা পালন তো আমরা জানি। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার ওনার (মো. সাহাবুদ্দিন) সুযোগ নাই। আর ওনার সেই সাহস আছে বলে আমরা মনে করছি না।’

তার মানে আপনারা তার ওপর আস্থাশীল না-এমন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাতো বটেই। এটা তো পরিষ্কার বলেছি আমরা।'

রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশাটা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের প্রত্যাশা তো আমরা আগেই বলেছি যে, আমরা কিছুটা হতাশ হয়েছি-যে আমরা যাকে চিনি না, যাকে জাতি জানে না–এ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতেও পারব না। এ ধরনের একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে তাকে নিয়ে আসা-এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার না। সেজন্য সেই প্রত্যাশাটাও আমাদের কাছে অস্পষ্ট এবং একটা আবছা হয়ে যাচ্ছে।'

‘নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে কোনো কমেন্ট নেই’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবারকার রাষ্ট্রপতি নিয়োগটা কিছুটা আপনার জনগনের কাছে একটা হঠাত করে অপ্রত্যাশিত ভাবে এসেছে। আমি বর্তমানে যে রাষ্ট্রপতি শপথ নিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে তার সম্পর্কে আমি কোনো কমেন্ট করতে চাই না।’

'এটা, এই নামটা (মো. সাহাবুদ্দিন) জনগনের কাছে একেবারে আসেনি, পরিচিতও ছিলো না। ফলে এখানে একটা সংকট (চলমান সংকট) কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে একটা সন্দিহান, একটা প্রশ্ন আছে মানুষের কাছে উনি কী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। পত্র-পত্রিকার তার যে ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেছি এটা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে বা দলের পক্ষ থেকে কোনো প্রশ্ন রাখিনি। কারণ, আমাদের এখানে রাষ্ট্রপতি নিয়ে আগ্রহটা কম। আমরা মূল জায়গাটায় যেতে চেয়েছি। আজকে নির্বাচন প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক নয়, নির্বাচনে আমরা বিরোধী যদি অংশগ্রহন করতে না পারি, একটা নিরপেক্ষ সরকার যদি না হয় তাহলে সব কিছু অর্থহীন হয়ে যাবে। সেই কারণে তার ওপর জোর দিচ্ছি।'

তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত পাবলিক অভিমত যতটুকু দেখেছি তাতে করে জনগণ যে একটা আশস্ত হবে, একটা আশা করবে, প্রত্যাশা করবে সেই ধরনের কোনো কিছু আমরা দেখিনি পত্র-পত্রিকায়। আজকে শপথ নেওয়ার পরে তিনি কী বলবেন সেটাও আমরা জানি না। কিন্তু ঘটনাগুলো যা ঘটেছে, যে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন তাতে করে পরিষ্কার হয়ে গেছে জনগণের কাছে যে প্রক্রিয়ায় তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছেন তাতে করে একমাত্র সরকার প্রধানেরই তিনি (মো. সাহাবুদ্দিন) বেশি আস্থাভাজন।'

'কারণ যে পার্লামেন্টারি বোর্ড সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাকে (প্রধানমন্ত্রী) দিয়েছিল। পত্র-পত্রিকায় যা দেখেছি যে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র লিডার যারা আছেন তারা কেউ এই নিয়োগ বিষয়ে কিছু জানতেন না। এটা সম্পূর্ণ এককভাবে তিনিই (প্রধানমন্ত্রী) এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে পারত। সেটা তিনি (শেখ হাসিনা) করেননি। এখান থেকে বুঝা যায় যে, তার ও সরকারের ইচ্ছা একটাই যেভাবে হোক সমস্ত রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করে তারা আবারও আগামী নির্বাচন পার হতে চায়, আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতাকে দখলে রাখতে চায়। এটা আমাদের রিডিং, আমার ব্যক্তিগত রিডিং।'

‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নেই’

রাজনৈতিক সংকট সমাধানে যদি রাষ্ট্রপতি সংলাপের উদ্যোগে নিলে আপনারা যাবেন কি না প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, 'যদি'র তো কোনো উত্তর থাকে না। বিষয়টা হচ্ছে যে, সেই ধরনের কোনো সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে কি না। সরকারের বাইরে রাষ্ট্রপতির কিছু করার তো কোনো ক্ষমতাই নেই।'

'যদি সরকার চায় তাহলে না রাষ্ট্রপতি চাইবেন। সরকার তো পরিষ্কার বলেই দিচ্ছে যে, এই নিয়ে (নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার) কোনো আলোচনা করব না, আলাপই করব না। এখন আলোচনার কোনো প্রশ্নই হতে পারে না।'

তিনি বলেন, 'সরকারকে বুঝতে হবে, রাজি হতে হবে যে, বাংলাদেশকে যদি সেভ করতে হয়। গণতন্ত্রকে যদি সত্যি ফিরিয়ে আনতে হয়, মানুষের ভবিষ্যত যদি নির্মাণ করতে হয় এবং একটা সংঘাতহীন। কনফ্রোট্রেশন পলিটিক্সকে বাদ দিয়ে পিসফুল পলিটিক্স শুরু করতে হয়, তাহলে একটাই মাত্র পথ-সেটা হচ্ছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টাকে নিষ্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে কিছু নেই।'

মো. সাহাবুদ্দিন কী দলীয় না বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে উঠবেন এ রকম প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুলের অভিমত জানতে চাইলে বলেন, 'এমনিতে তো যারা রাষ্ট্রপতি হন তারা দল থেকে নির্বাচিত হন। দলীয় আনুগত্যতা থাকতেই পারে। যেমন আপনার আবদুল হামিদ সাহেব ছিলেন দল (আওয়ামী লীগ) থেকে নির্বাচিত, দলীয় লোক ছিলেন। যেমন আমাদের সময়ে বি চৌধুরী (একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী) সাহেব তাই হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, দলীয় হয়ে উঠবেন কি না। এটা কিন্তু নির্ভর করবে যে, তিনি কীভাবে চিন্তা করছেন, তিনি রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধান করবেন নাকি দলের সমস্যা সমাধান করবেন এটা তার (রাষ্ট্রপতি) বিষয়।'

আপনারা নতুন রাষ্ট্রপতি থেকে এ রকম আশা করেন কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমরা সেটা আশা করি না। কারণ দলকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আওয়ামী লীগকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু তার (মো. সাহাবুদ্দিন) থেকে আশা করার প্রশ্ন উঠতে পারে না। আমরা কোনোটাই আশা করি না। একমাত্র আওয়ামী লীগ যদি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই আমরা মনে করি যে, শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, সংঘাত এড়িয়ে তত্ত্বাবধায় সরকারের বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন। সরকারকে এগ্রি করতে হবে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে। এটা বিএনপির ব্যাপারে নয়, গোটা দেশের যে ক্রাইসিস তার সমাধান করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নাই, একটা নিরপেক্ষ সরকারের বিকল্প নাই।'

তিনি বলেন, 'এটা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) আমাদের কাছে প্রমাণিত, এটা নতুন না তো। এটা আওয়ামী লীগেরই প্রেসক্রিপশন, আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওই সময়ে দেশের সংকট সমাধান হয়েছে, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, চারটা নির্বাচন হয়েছে, জনগণ গ্রহণ করেছে।'

'এখন আওয়ামী লীগ সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে ভিন্ন প্রেসক্রিপশন নিয়ে চলে এসেছে যাতে তাদের ক্ষমতায় থাকাটা নিরঙ্কুশ করবে, নিশ্চিত করবে।'

বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য করার বিষয়টি তুলে ধরেন দলের মহাসচিব।

'একজন ব্যক্তির সঙ্গে সর্বময় ক্ষমতা এবং ট্রেন্ডটা বলে দেয় সে ডিক্টেটর হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য জরুরি বলে আমরা আমাদের ভিশন-২০৩০ রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ২৭ দফায় সেটা আমরা স্পষ্ট করে বলেছি। এটা আমরা আনার চেষ্টা করব।'

‘আন্দোলন এখন বেগবান হবে’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আপনারা দেখেছেন যে, আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, আমাদের এই আন্দোলনে অলরেডি ১৭ জন প্রাণ দিয়েছেন, আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আমাদের শত শত মানুষ এখনো কারাগারে আছে। দি মুভমেন্ট ইজ অন।'

'মাঝখানে রোজা-রমজানের মধ্যেও কিন্তু আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করেছি। আপনারা দেখেছেন যে, এই কয়েকদিন আগে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি করেছি। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এখন মুভেমেন্ট আরও বেগবান হবে। সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করবে মুভমেন্টের ধরন কী হবে, জনগণই সেটা সিদ্ধান্ত নেবে।'

সোমবার সকালে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন শপথ গ্রহণ করেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে মো. শাহাবুদ্দিনকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোপচারিতায় বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া দেন। নতুন রাষ্ট্রপতি ছাড়া বিএনপি মহাসচিব দেশের চলমান সংকট, আন্দোলনসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

এ সময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ/এএস

Header Ad

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর বদলগাছীতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও উদ্ধারের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের ৪০ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক মামলা করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বাবর আলীসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গোবরচাঁপা হাট নামক স্থানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া অবিস্ফোরিত ৬টি ককটেল উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ঘটনার পর ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের বিচার দাবি করে।

বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাতে উপজেলার মিঠাপুরের দিক থেকে দুটি মাইক্রোবাস আসছিল। মাইক্রোবাসটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আসা মাত্রই হঠাৎ করে ককটেল বিস্ফোরণে শব্দ শোনা যায়। মাইক্রোবাস থেকে ককটেল গুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে। আর জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে তারা জানান।

বদলগাছি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্জাহান আলী বলেন, সোমবার উপজেলার গোবরচাঁপা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের এজাহার নামীয় ৪০ জন নেতাকর্মীসহ আরও অজ্ঞাত ৮০-১০০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর সকালে বেলাল হোসেন সৌখিন বাদী হয়ে থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। যার নং-৭।

তিনি আরও বলেন, সেই মামলার প্রেক্ষিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাবর আলী, হাকিম ও ইদ্দিসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সকলেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে সক্রিয়। আসামিদের দুপুরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Header Ad

২৩০ ইলেক্টোরাল ভোটে জিতে এগিয়ে ট্রাম্প, কমলার ২১০

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। বাংলাদেশ সময় বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত ২৩০ ইলেক্টোরাল ভোটে জিতে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থীর ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২১০টি। খবর এপির।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবার রেকর্ড পরিমাণ ভোট পড়েছে। তবে নানা কারণে এবার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণায় কয়েক দিন সময় লাগাতে পারে বলে আভাস নিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ফলে চূড়ান্ত ফল পেতে লাগতে পারে কয়েক দিন।

২০২০ সালের নির্বাচনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম জো বাইডেনকে জয়ী হওয়ার খবর প্রকাশ করে ভোটের দুই দিন পর ৭ নভেম্বর। ২০১৬ ও ২০১২ সালে অবশ্য ভোটারদের ফলাফল পেতে সময় লেগেছিল আরও বেশি। এবারে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়ার গণনায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তার ওপরে প্রার্থীরা ভোট পুনঃগণনার দাবি করতে পারে এমন ধারণা মাথায় রেখে এবার আরও সতর্ক থাকছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে ভোটের পদ্ধতির নির্দিষ্ট বিধি রয়েছে। ভোট গণনার পদ্ধতিও আলাদা । তিন পদ্ধতির মাধ্যমে নেয়া হয় ভোট। হ্যান্ডমার্ক করা কাগজের ব্যালট, ব্যালট মার্কিং ডিভাইস বা বিএমডি ও ডাইরেক্ট রেকর্ডিং ইলেকট্রনিক বা ডিআরইয়রে মাধ্যম ভোট নেয়া হয়। এর মধ্যে বহুল প্রচলিত কাগজের ব্যালট ব্যবহৃত প্রায় ৭০ শতাংশ । ২৫ শতাংশেরও বেশি ভোটার ব্যবহার করেন কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ভোটদান পদ্ধতি- বিএমডি।

দেশটিতে ভোট গণনার পদ্ধতিতেও রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। ভোটের দিন যে ভোট পড়ে তা প্রথমে গণনা করা হয়। এরপর আগাম ও ডাকযোগে আসা ভোট গণনা করা হয়। সবশেষে গণনায় করা হয় অভিবাসী ও সামরিক ভোট।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ডাকযোগে দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে গৃহীত ভোট গণনার প্রক্রিয়ায় বেশি সময় লাগে। দুই দলের জন্য জয়-পরাজয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিনের মতো রাজ্যগুলো। এ ছাড়াও কোনো অঙ্গরাজ্যে ভোট সমান হলে সেখানে ভোট পুনঃগণনার করতে আরও সময়ের প্রয়োজন।

Header Ad

বুয়েটে চাকরির সুযোগ, নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) চার বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীদের বুয়েটের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।

১. বিভাগ: পুরকৌশল বিভাগ
পদ: অধ্যাপক
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল : ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা
পদ: সহকারী অধ্যাপক
পদসংখ্যা: ২টি
বেতন স্কেল : ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

২. বিভাগ: ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং
পদ: অধ্যাপক
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল : ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা

৩. বিভাগ: রসায়ন
পদ: সহকারী অধ্যাপক
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল : ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা
পদ: লেকচারার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল : ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

৪. বিভাগ: তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ
পদ: লেকচারার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন স্কেল : ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

যেভাবে আবেদন
বুয়েটের নির্ধারিত (REG-1) ফরমে সব অতীত ও বর্তমান চাকরির পদমর্যাদা, বেতন স্কেল ও তারিখ উল্লেখ করে ১৭ সেট আবেদনপত্র রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দিতে হবে। এর মধ্যে এক সেটের সাথে তিন কপি সত্যায়িত ছবি এবং কম্পট্রোলার বুয়েট বরাবর আবেদন ফি জমার রশিদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। প্রত্যেক সেটের সাথে আবেদনপত্র সব সার্টিফিকেট, টেস্টিমোনিয়াল, ট্রান্সক্রিপ্ট/মার্কশিট, অভিজ্ঞতার সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি (সব কাগজপত্র বাঁধাইকৃত সেট) সংযুক্ত করতে হবে। অসম্পূর্ণ, ভুল তথ্যসংবলিত এবং ত্রুটিপূর্ণ আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

আবেদন ফি
আবেদন ফি বাবদ ৬০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার অথবা কম্পট্রোলার অফিস কর্তৃক প্রদত্ত নির্ধারিত জমা রসিদের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক, বুয়েট শাখায় নগদ টাকা জমা দিয়ে টাকার রসিদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ৩
২৩০ ইলেক্টোরাল ভোটে জিতে এগিয়ে ট্রাম্প, কমলার ২১০
বুয়েটে চাকরির সুযোগ, নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ১২ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব স্থগিত
প্রেমের টানে সিরাজগঞ্জে তুরস্কের যুবক
প্রথম ওয়ানডেতে আজ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ
খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু, আহত চার
শমী কায়সার গ্রেপ্তার
স্বৈরাচার পালিয়েছে, তবে দেশে এখনো ক্রান্তিকাল বিদ্যমান: তারেক রহমান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গৃহবধূর আত্মহত্যা
সম্মেলন শেষে ঢাবি পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেছে তাবলিগের সাথীরা
বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হলেন সালাহউদ্দিন
আরও ২৯ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
কৃষক বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে পুলিশের এএসপি হন শতকোটি টাকার মালিক হারুন
হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন