মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই: ফখরুল

নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিকালে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।

শপথ নেওয়ার আগে মো. সাহাবুদ্দিন একাধিকবার গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার অবস্থান থেকে যতটা ভূমিকা পালন করার সেটা করবেন বলেছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'যতটা ভুমিকা পালন তো আমরা জানি। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার ওনার (মো. সাহাবুদ্দিন) সুযোগ নাই। আর ওনার সেই সাহস আছে বলে আমরা মনে করছি না।’

তার মানে আপনারা তার ওপর আস্থাশীল না-এমন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাতো বটেই। এটা তো পরিষ্কার বলেছি আমরা।'

রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশাটা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের প্রত্যাশা তো আমরা আগেই বলেছি যে, আমরা কিছুটা হতাশ হয়েছি-যে আমরা যাকে চিনি না, যাকে জাতি জানে না–এ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতেও পারব না। এ ধরনের একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে তাকে নিয়ে আসা-এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার না। সেজন্য সেই প্রত্যাশাটাও আমাদের কাছে অস্পষ্ট এবং একটা আবছা হয়ে যাচ্ছে।'

‘নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে কোনো কমেন্ট নেই’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবারকার রাষ্ট্রপতি নিয়োগটা কিছুটা আপনার জনগনের কাছে একটা হঠাত করে অপ্রত্যাশিত ভাবে এসেছে। আমি বর্তমানে যে রাষ্ট্রপতি শপথ নিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে তার সম্পর্কে আমি কোনো কমেন্ট করতে চাই না।’

'এটা, এই নামটা (মো. সাহাবুদ্দিন) জনগনের কাছে একেবারে আসেনি, পরিচিতও ছিলো না। ফলে এখানে একটা সংকট (চলমান সংকট) কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে একটা সন্দিহান, একটা প্রশ্ন আছে মানুষের কাছে উনি কী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। পত্র-পত্রিকার তার যে ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেছি এটা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে বা দলের পক্ষ থেকে কোনো প্রশ্ন রাখিনি। কারণ, আমাদের এখানে রাষ্ট্রপতি নিয়ে আগ্রহটা কম। আমরা মূল জায়গাটায় যেতে চেয়েছি। আজকে নির্বাচন প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক নয়, নির্বাচনে আমরা বিরোধী যদি অংশগ্রহন করতে না পারি, একটা নিরপেক্ষ সরকার যদি না হয় তাহলে সব কিছু অর্থহীন হয়ে যাবে। সেই কারণে তার ওপর জোর দিচ্ছি।'

তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত পাবলিক অভিমত যতটুকু দেখেছি তাতে করে জনগণ যে একটা আশস্ত হবে, একটা আশা করবে, প্রত্যাশা করবে সেই ধরনের কোনো কিছু আমরা দেখিনি পত্র-পত্রিকায়। আজকে শপথ নেওয়ার পরে তিনি কী বলবেন সেটাও আমরা জানি না। কিন্তু ঘটনাগুলো যা ঘটেছে, যে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন তাতে করে পরিষ্কার হয়ে গেছে জনগণের কাছে যে প্রক্রিয়ায় তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছেন তাতে করে একমাত্র সরকার প্রধানেরই তিনি (মো. সাহাবুদ্দিন) বেশি আস্থাভাজন।'

'কারণ যে পার্লামেন্টারি বোর্ড সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাকে (প্রধানমন্ত্রী) দিয়েছিল। পত্র-পত্রিকায় যা দেখেছি যে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র লিডার যারা আছেন তারা কেউ এই নিয়োগ বিষয়ে কিছু জানতেন না। এটা সম্পূর্ণ এককভাবে তিনিই (প্রধানমন্ত্রী) এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে পারত। সেটা তিনি (শেখ হাসিনা) করেননি। এখান থেকে বুঝা যায় যে, তার ও সরকারের ইচ্ছা একটাই যেভাবে হোক সমস্ত রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করে তারা আবারও আগামী নির্বাচন পার হতে চায়, আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতাকে দখলে রাখতে চায়। এটা আমাদের রিডিং, আমার ব্যক্তিগত রিডিং।'

‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নেই’

রাজনৈতিক সংকট সমাধানে যদি রাষ্ট্রপতি সংলাপের উদ্যোগে নিলে আপনারা যাবেন কি না প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, 'যদি'র তো কোনো উত্তর থাকে না। বিষয়টা হচ্ছে যে, সেই ধরনের কোনো সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে কি না। সরকারের বাইরে রাষ্ট্রপতির কিছু করার তো কোনো ক্ষমতাই নেই।'

'যদি সরকার চায় তাহলে না রাষ্ট্রপতি চাইবেন। সরকার তো পরিষ্কার বলেই দিচ্ছে যে, এই নিয়ে (নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার) কোনো আলোচনা করব না, আলাপই করব না। এখন আলোচনার কোনো প্রশ্নই হতে পারে না।'

তিনি বলেন, 'সরকারকে বুঝতে হবে, রাজি হতে হবে যে, বাংলাদেশকে যদি সেভ করতে হয়। গণতন্ত্রকে যদি সত্যি ফিরিয়ে আনতে হয়, মানুষের ভবিষ্যত যদি নির্মাণ করতে হয় এবং একটা সংঘাতহীন। কনফ্রোট্রেশন পলিটিক্সকে বাদ দিয়ে পিসফুল পলিটিক্স শুরু করতে হয়, তাহলে একটাই মাত্র পথ-সেটা হচ্ছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টাকে নিষ্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে কিছু নেই।'

মো. সাহাবুদ্দিন কী দলীয় না বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে উঠবেন এ রকম প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুলের অভিমত জানতে চাইলে বলেন, 'এমনিতে তো যারা রাষ্ট্রপতি হন তারা দল থেকে নির্বাচিত হন। দলীয় আনুগত্যতা থাকতেই পারে। যেমন আপনার আবদুল হামিদ সাহেব ছিলেন দল (আওয়ামী লীগ) থেকে নির্বাচিত, দলীয় লোক ছিলেন। যেমন আমাদের সময়ে বি চৌধুরী (একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী) সাহেব তাই হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, দলীয় হয়ে উঠবেন কি না। এটা কিন্তু নির্ভর করবে যে, তিনি কীভাবে চিন্তা করছেন, তিনি রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধান করবেন নাকি দলের সমস্যা সমাধান করবেন এটা তার (রাষ্ট্রপতি) বিষয়।'

আপনারা নতুন রাষ্ট্রপতি থেকে এ রকম আশা করেন কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমরা সেটা আশা করি না। কারণ দলকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আওয়ামী লীগকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু তার (মো. সাহাবুদ্দিন) থেকে আশা করার প্রশ্ন উঠতে পারে না। আমরা কোনোটাই আশা করি না। একমাত্র আওয়ামী লীগ যদি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই আমরা মনে করি যে, শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, সংঘাত এড়িয়ে তত্ত্বাবধায় সরকারের বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন। সরকারকে এগ্রি করতে হবে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে। এটা বিএনপির ব্যাপারে নয়, গোটা দেশের যে ক্রাইসিস তার সমাধান করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নাই, একটা নিরপেক্ষ সরকারের বিকল্প নাই।'

তিনি বলেন, 'এটা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) আমাদের কাছে প্রমাণিত, এটা নতুন না তো। এটা আওয়ামী লীগেরই প্রেসক্রিপশন, আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওই সময়ে দেশের সংকট সমাধান হয়েছে, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, চারটা নির্বাচন হয়েছে, জনগণ গ্রহণ করেছে।'

'এখন আওয়ামী লীগ সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে ভিন্ন প্রেসক্রিপশন নিয়ে চলে এসেছে যাতে তাদের ক্ষমতায় থাকাটা নিরঙ্কুশ করবে, নিশ্চিত করবে।'

বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য করার বিষয়টি তুলে ধরেন দলের মহাসচিব।

'একজন ব্যক্তির সঙ্গে সর্বময় ক্ষমতা এবং ট্রেন্ডটা বলে দেয় সে ডিক্টেটর হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য জরুরি বলে আমরা আমাদের ভিশন-২০৩০ রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ২৭ দফায় সেটা আমরা স্পষ্ট করে বলেছি। এটা আমরা আনার চেষ্টা করব।'

‘আন্দোলন এখন বেগবান হবে’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আপনারা দেখেছেন যে, আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, আমাদের এই আন্দোলনে অলরেডি ১৭ জন প্রাণ দিয়েছেন, আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আমাদের শত শত মানুষ এখনো কারাগারে আছে। দি মুভমেন্ট ইজ অন।'

'মাঝখানে রোজা-রমজানের মধ্যেও কিন্তু আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করেছি। আপনারা দেখেছেন যে, এই কয়েকদিন আগে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি করেছি। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এখন মুভেমেন্ট আরও বেগবান হবে। সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করবে মুভমেন্টের ধরন কী হবে, জনগণই সেটা সিদ্ধান্ত নেবে।'

সোমবার সকালে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন শপথ গ্রহণ করেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে মো. শাহাবুদ্দিনকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোপচারিতায় বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া দেন। নতুন রাষ্ট্রপতি ছাড়া বিএনপি মহাসচিব দেশের চলমান সংকট, আন্দোলনসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

এ সময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ/এএস

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে নিরাপদ পানির নামে ৪ কোটির অধিক টাকা ভাগাভাগি

গাইবান্ধার জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শায়হান আলী। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শায়হান আলীর যোগসাজশে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ২৭টি পুকুরের পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের নামে ৪ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮ টাকার সম্পূর্ণই ভাগবাটোয়ারা হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পানি সুপেয় করে মানুষের খাবার উপযোগীও করা হয়নি। অথচ টাকা তুলে খাওয়া শেষ। এই ভুয়া প্রকল্পটি নিয়ে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শুষ্ক মৌসুম এলেই সেচ ও খাবার পানির চরম সংকট দেখা দেয়। মানুষের মধ্যে পানির হাহাকার মেটাতে ওই এলাকায় জেলা পরিষদের ২৭টি পুকুরের পানি সুপেয় ও নিরাপদ করে এলাকার মানুষের খাবার পানি হিসাবে সরবরাহের লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ লোক দেখানো এই ভুয়া প্রকল্পটি হাতে নেয়। বলা হয় এই ২৭টি পুকুর সংস্কার করে, পানি সংরক্ষণ ও খাবার উপযোগী করে শুষ্ক মৌসুমে মানুষের মধ্যে খাবার পানি সরবরাহ করা হবে বিনামূল্যে।

এ জন্য পুকুরগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সংরক্ষণ করার কাল্পনিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পুকুরগুলো সাঁওতাল পল্লীর পাশে হওয়ায় স্থানীয় আদিবাসী ও সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকার লোকজন এই প্রকল্পে বাধা দেয়ার সম্ভবনা আছে।কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গায়ে লাগাননি।

গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ স্থানীয় লোকজনের বাধা উপেক্ষা করে যে প্রকল্পগুলো গ্রহণ করে সেগুলো হলো গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আদিবাসী এলাকার পরিত্যক্ত রঘুনাথপুর পুকুর, আরজি পেয়ারাপুর পুকুর, মাকলাইন গুলেরপাড় পুকুর, পাকা মন্দিরপুকুর, চালিতা নয়াদীঘি পুকুর, তেরোইল পুকুর, কামদিয়া ডাকবাংলো পুকুর, রসিক নগর পুকুর, তেঘরা পুকুর, চেয়ারগাও কদমতলী, চেয়ারগাও খোলাহাটি, বড়গাও পুরাতন, খারিতা পুকুর, উথবি পুকুর, এনায়েতপুর ২, শাতাইন চুরা পালিপাড়া পুকুর, এনায়েতপুর ১, শিহিগাও পুকুর, বানিহারা পুকুর, চালিতা পুকুর, ধাওয়া চালিতা পুকুর, স্যামপুর পূর্বপাড়া পুকুর, বইল খাঁ পুকুর, ফেরুসা পুকুর, আশকুর পুকুর, আলিগাও পুকুর, মোল্লাপাড়া পুকুর।

প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী পুকুরের প্যারাসাইটিয়, গাছ লাগানো, চারপাশের বেড়া দেওয়া এবং পুকুরে পানি শোধন যন্ত্র স্থাপন করার কথা। কিন্তু কোনো পুকুরে এসব না করেই বিল তুলে নেওয়া হয়। এই পুকুরগুলো দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগসহ প্রভাবশালী এমপিদের দখলে ছিল। তারা মাছচাষ করতেন।

কিন্তু হঠাৎ করে মজা ও পচা পুকুরের পানি সংরক্ষণ করে সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে নলকূপের বদলে পুকুরগুলোকে টার্গেট করা হয় তার নেপথ্য খুঁজে বের করা দরকার। কারণ সাড়ে ৪ কোটি টাকার প্রকল্প পুকুরে খচর করা হলো। কিন্তু সুপেয় পানি ও পানি সংরক্ষণ করাও হলো না কিন্তু কার স্বার্থে সাড়ে ৪ কোটি টাকা পুকুর সংস্কারে ব্যয় করা হলো তা খতিয়ে দেখার দাবি স্থানীয়দের।
কারণ ২৭টি পুকুরের ১টি পুকুরও মানুষের কাজে আসছে না। এখনও পুকুরগুলোতে মৎস্য চাষই করা হচ্ছে। পানি সংরক্ষণও হচ্ছে না, পানি সুপেয় হিসাবেও ব্যবহার হচ্ছে না। অথচ সুপেয় পানি সরবরাহ ও সংরক্ষণের নামে ২৭টি পুকুরের নামে এই পরিমাণ টাকা খরচ দেখিয়ে ৪ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা ভাগবাটোয়ারা করলেন তা এখন সামনে এসেছে।

এদিকে গাইবান্ধার জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শায়হান আলীর যোগসাজশে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় । তিনি এই প্রকল্প থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে জানার জন্য গাইবান্ধার জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শায়হান আলীর ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Header Ad
Header Ad

১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়ে যা বললেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু

কারামুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু। ছবি: সংগৃহীত

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে মুক্তি পান।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসলে যাচাই-বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টা ৪ মিনিটে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।’

এদিকে বিএনপির এই নেতার মুক্তির খবরে সকাল থেকেই কারাফটকে শত শত নেতাকর্মীরা ভিড় জমান। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে যান। এ সময় শত শত নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান কারামুক্ত বিএনপির এই নেতা।

মুক্তি পেয়েই সরাসরি চলে যান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে। সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পিন্টু। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুস সালাম পিন্টু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি তাদের সেই ত্যাগকে যেন ভুলে না যাই।আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুনভাবে দেশ গড়ার স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে হবে। আওয়ামী লীগ যে কাজ করেছে আমরা সেই কাজ করবো না। তারা যে নির্যাতন আর অপকর্ম করেছে, আমরা তা করবো না। আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই, বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে।’

কারাগারে থাকাকালীন নিজের উপরে চলা নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে রিমান্ডে নিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমাকে কারেন্টের শক দেওয়া হয়েছে। মারপিট করা হয়েছে। কোর্টের বারান্দায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম। এমনকি আমার মা মৃত্যুবরণ করলেন তার জানাজায় যাওয়ার অনুমতি থাকার পরেও আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি। আমি এসব নির্যাতনের কথা ভুলতে পারবো না। দেশের সকল মুক্তিকামী জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ তাদের ত্যাগের কারণে আজকে আমি মুক্তি পেয়েছি।’

উল্লেখ্য, ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির সাজা পেয়েছিলেন আব্দুস সালাম পিন্টু। গত ১ ডিসেম্বর এই মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন। এর পর থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনলে বিচারটা ভালোভাবে করা যাবে: তাজুল ইসলাম

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (ইনসটে: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার যদি ফেরত আনতে পারে তাহলে বিচারটা ভালোভাবে করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে সরকারের আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানোর বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর এ মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের অনুরোধের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়ে নোট ভার্বাল দিয়েছে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলেও তাকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার যদি সফলভাবে তাকে আমাদের কাছে আনতে পারেন, তাহলে বিচার আরো ভালোভাবে করা সম্ভব হবে। নির্দিষ্টভাবে এই ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও ট্রাইব্যুনাল আলাদা নয় বরং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যা করা হয়েছে তা আমাদের অনুরোধের ভিত্তিতেই করা হয়েছে। এ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হলে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।

মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ তাকে ফেরত চেয়েছে। এটা ভারতকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারতকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে।’

এরআগে গত ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় প্রসিকিউশনের আবেদনে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাইবান্ধায় জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজশে নিরাপদ পানির নামে ৪ কোটির অধিক টাকা ভাগাভাগি
১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়ে যা বললেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনলে বিচারটা ভালোভাবে করা যাবে: তাজুল ইসলাম
‘আমি এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য না, আমি একজন উপদেষ্টা’
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের সাথে রেফারি এসোসিয়েশনের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাবিতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি আহ্বান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ নেই
‘দেশে দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, একটি সেনাবাহিনী আরেকটি জামায়াত’
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
ঢাকা মহানগর, জবি, পলিটেকনিক ও পাঁচটি কলেজে ছাত্রদলের কমিটি
আবু সাঈদ ফ্রান্সে আছে দাবিতে গোলাম মাওলা রনির নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তরুণীকে পুড়িয়ে গুম করার চেষ্টাকালে যুবলীগ নেতার ছেলে আটক
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
সাগর-রুনি হত্যা: ১১৪ বার পেছালো তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ
সারাদেশে ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ১ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন
সিলেট সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ
৬ সংস্কার কমিশন শিগগিরই প্রস্তাব জমা দেবে: বদিউল আলম  
আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
বড়দিনে ফানুস ও আতশবাজিতে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা
‘গোপন বৈঠকের’ সময় যুব মহিলালীগ নেত্রী গ্রেফতার
১৭ বছর পর কারামুক্ত হচ্ছেন বিএনপি নেতা পিন্টু