সরকার বিদায়ে রোজা-পূজা-ঈদ বাদ দিতে হবে: গয়েশ্বর

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এই সরকারকে বিদায় করতে রোজা-পূজা-ঈদ জীবন থেকে বাদ দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বিদায় করতে ঈদের পরে ঈদের আগে এ সব বলে কোনো কথা নেই। এদের কে যখন যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সেখানে বাধা আসবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আঘাতের বিপরীতে পাল্টা আঘাত করতে হবে। অন্যথায় এদের আসকারা আরও বেড়ে যাবে।’
বুধবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদল এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা আমাদের তালিকা করেন, করছেন। তবে আমরা কিন্তু তালিকা করি না আমরা আমাদের মনের কমপিউটারে জমা রাখি। সময় আসবে আপনাদের সবাইকে জবাব দিতে হবে। আজকে আমাদের যে লড়াই ঝগড়া সেটা কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়; এটা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই-ঝগড়া। খুব বেশি দিন নাই সেই সময় আসছে আপানাদের দুর্নীতি কত প্রকার ও কী কী?
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে করে গয়েশ্বর বলেন, সরকারের পক্ষে থেকে আর লাভ নেই। জনগণের পক্ষে পাল্টা রুখে দাড়ান। আশা করি চাকুরির তোয়াক্কা না করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনগণের কাতারে এসে দাঁড়াবেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে না এতে কোনো সন্দেহ নেই দাবি করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপির হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যাবে না যারা বলছেন এরা কারা? এরা তো দিনের ভোট রাতে কেটে ক্ষমতায় বসে আসে। আমরা তো বলিনি বিএনপির হাতে ক্ষমতা তুলে দেন, বিএনপিকে ভোট দেন। আমরা বলছি-জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেন। আওয়ামী লীগ যে ক্ষমতায় থাকবে না, এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিএনপিকে ক্ষমতা দেওয়ার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। ক্ষমতায় কে যাবে, কে থাকবে আর কে বিদায় নেবে সেটা বলার আপনি আমি কেউ না। জনগণকে সমীহ করতে শিখুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে যেখানে যাওয়ার সেখানে চলে যান। যারা ক্ষমতায় যাওয়ার তারা ক্ষমতায় যাবে।
দলের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন সংগ্রামে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকার অর্থে স্বাধীন দেশ নয়। দেশ এখন বৃহত্তর কারাগার। এখানে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। ভোটাধিকার, আইনের শাসন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র নেই। তাই আমরা কারও কাছে আটককৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি চাই না। আমরা নেতা-কর্মীদের মুক্ত করব। যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সেই সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এরা রেহাই পাবে না।
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রমুখ।
এমএমএ/
