রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তৃণমূলের কাঠগড়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা!

সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা কোমরবেঁধে প্রস্তুতি নিলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে তেমন কোনো প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় নেতারা ব্যস্ত রুটিন ওয়ার্ক আর পদ-পদবীতে ও নিজেদের বলয় তৈরিতে। যার ফলে সরকার পতন আন্দোলন বার বার হোঁচট খাচ্ছে-এমন অভিযোগ বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।

সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত দলীয় জনপ্রতিনিধি এবং সাবেক চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করা শুরু করেছেন। যা এখনও অব্যাহত আছে। এসব বৈঠকে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কেন সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করা যাচ্ছে না তার কারণও তুলে ধরেন। এজন্য তারা সরাসরি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন।

মাঠ পর্যায়ের এই জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য হচ্ছে তৃণমূল ঠিক আছে। অথচ কয়েকদিন পর পর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে তৃণমূলে ছুটে যান কেন্দ্রীয় নেতারা। তাদের আপ্যায়নেও আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও যদি আমরা দেখতে পেতাম যে সরকার পতনের আন্দোলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রস্তুতি আছে তাহলেও অন্তত কিছুটা শান্তি নিয়ে এলাকায় ফিরে যাওয়া যেত। বিশেষ করে ঢাকামহানগরের নেতারা যদি আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিতো তাহলে পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহ থেকে নেতা-কর্মীদের কর্মসূচি সফল করতে ঢাকামুখী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

তারা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরা অতীতেও আন্দোলন করেছে। সেই আন্দোলনে প্রথম দিকে কিছুটা দিক নির্দেশনা পেলেও এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কোনো নেতাকেই আমরা খুঁজে পাইনি। কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আবার এমন কথাও শুনা যায় যে, কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ নাকি স্বেচ্ছায় ধরা দিয়ে কারাগারে গেছেন। এসব কথা আমরা বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করতেও চাই না। তবে পরিবার পরিজনদের কাছেও লজ্জিত হই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দল সমর্থিত সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের অন্তত দশজনের অধিক নেতা এসব অভিযোগ করেছেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত এমন বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব ক্ষোভ-অসন্তোষের কথা জানা গেছে।

মতবিনিময়ে অংশ নেওয়া জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, চলমান আন্দোলনকে এক দফার আন্দোলনে রুপ নেবে কি না সেটা বলাও মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নাকি এবারও আগ মুহূর্তে তড়িগড়ি সিদ্ধান্তে দলীয় সরকারের অধীনেই অংশগ্রহণে ঘোষণা আসতে পারে। এমন কথা বাতাসে ভেসে আসে। কেন্দ্রীয় নেতারা স্পষ্ট কিছু বলছেন না; কিন্তু কেন? অথচ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই কেবলমাত্র বিএনপির জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। আন্দোলন কে ঘিরে সংশয়-সন্দেহ জন্ম হয়েছে বলেও বক্তব্যে দেন তারা।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অনির্বাচিত সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে জাতির সব স্বপ্নকে ভেঙে দিচ্ছে। তাদের ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়বে। তৃণমূলে আন্দোলনকে আরও ছড়িয়ে দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এদের পতন ঘটাতে হবে।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যেহেতু আপনারা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন অথবা এখনো নির্বাচিত আছেন। সে জন্য আপনাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে এই জনগণকে আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করার। সেই দায়িত্ব পালন করতে আহ্বান জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কুমিল্লা বিভাগের একাধিক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যে প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে সেই কর্মসূচি পালনে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা নতুন করে হামলা, মামলায়, হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ কারাবরণ করছেন, অনেকে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ব্যক্তিগত পরিচয় না থাকলে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে আইনি সহায়তাটুকুও কপালে জুটে না। কেন্দ্রীয় নেতারা কিভাবে আন্দোলনের ছক আঁকছেন সেটা সম্পর্কে অবগত না থাকায় মাঠের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। শেখ হাসিনার অধীন নির্বাচন হলে বিএনপি ভোট কেন্দ্রেও যেতে পারবে না। কিন্তু ঢাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সামনে বসে কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, চলমান আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ; যা আংশিক সত্য।

অবশ্য ভিন্নমতও আছে। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন বেশকয়েকজন সাবেক জনপ্রতিনিধি বলছেন, সরকারের সঙ্গে কোনো ধরণের আপোস করা যাবে না। এদের সরাতে ঝুঁকি নিতেই হবে। নেতা-কর্মীরা ঝুঁকি নিয়েই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। ভবিষ্যতেও নেবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১০টি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ২৩ ফেব্রুয়ারি রংপুর বিভাগ, ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগ, ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেট ও খুলনা বিভাগ, ১ মার্চ বরিশাল বিভাগ, ২ মার্চ ঢাকা বিভাগ, ৫ মার্চ ফরিদপুর ও কুমিল্লা বিভাগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগ, ১৪ মার্চ চট্টগ্রাম (আংশিক) ও রাজশাহী, ১৫ মার্চ রাজশাহী বিভাগ (আংশিক) এবং ১৬ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগের মতবিনিময় সভা হবে। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি সমর্থক যারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন এরকম আড়াই থেকে তিন হাজার জনপ্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন এসব সভায়।

ঢাকা বিভাগের বেশকয়েক জনপ্রতিনিধিরা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে ঈদ, শীত, রোজার পর আন্দোলন বক্তব্যে বিএনপিকে হাস্যকর রাজনৈতিক দলে পরিণত করছে। দল পুনর্গঠনে পছন্দ এবং আত্নীয়-স্বজনদের দিয়ে কমিটি করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর তারেক রহমানকে ভুল বুঝানোর মাধ্যমে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই অনেকে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে, অনেকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা আরও বলেন, নতুন করে কমিটি গঠনে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে; তারা তো আন্দোলনে কোন ভূমিকা পালন করতে পারছেন না। অথচ সভা সমাবেশ-আলোচনা সভায় আওয়াজ উঠে আন্দোলনের। প্রতিটি প্রোগ্রামে একই মুখ, একই বক্তা; বক্তব্যে কোনো ভেরিয়েশন নাই। এছাড়াও দলের পদে আসতে যদি কেন্দ্রীয় নেতাদের সন্তুষ্ট করা লাগে তাহলে এক সময়ে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। কিসের ভিত্তিতে পদ দেওয়া হয় সে বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিব এর কাছে জানতে চান জনপ্রতিনিধিরা।

১০ মার্চ বিকেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দলকে সংগঠিত করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় না। নিকট অতীতেও আমরা যেমনভাবে কর্মীদের খোঁজ-খবর রাখতাম এখন সেভাবে রাখতে পারছি না। সত্য বলতে রাজনীতিবিদদের থেকে যদি পেশাজীবীরা দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভূমিকা রাখেন তখন যা হওয়ার তাই হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি এতো বড় একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু ছাত্রদল থেকে গড়ে উঠা নেতৃত্ব থেকে শুধুমাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রাখা হয়েছে। তাও তিনি আবার দেশের বাইরে রয়েছেন আইনী জটিলতায়। আন্দোলনকে সামনে রেখে আমাদের উচিত তৃণমূলকে সম্মান করা। আমরা ব্যর্থ হয়েছি, তৃণমূল ব্যর্থ হয়নি। তৃণমূল দলের প্রাণ, সেই তৃণমূলকে নিয়ে সব জায়গাতেই বৈষম্য। কোনো সভা হলে কারা বক্তব্য দিতে পারবেন, কারা পারবেন না তা নিয়েও তালিকা করা হয়। বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন শঙ্কায় তালিকায় অনেকের নামও থাকে না।

খুলনা বিভাগের জনপ্রতিনিধিরা আক্ষেপ করে বলেছেন, কমিটিতে মাই ম্যান ও অনুসারী ছাড়া কারও ভাগ্যে কিছু জোটে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিভিন্ন আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের দৌরাত্ম্য থামাতে হবে। দলের মধ্যে বিভেদ ভুলে এবারও যদি পরিবর্তন না আসে তাহলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে হবে। এই মুহূর্তে আন্দোলনমুখী কমিটি দরকার। কাজের লোক দরকার বেশি। কিন্তু বতর্মানে প্রতি ইউনিটেই নিজের অনুসারীকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ত্যাগী ও যোগ্যদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।

এনএইচবি/এএস

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি