আলোচনার দরজাটাও বন্ধ করে দিলেন হাসিনা: বুলু

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র সম্মেলনে পাকিস্তান দাওয়াত পেলেও বাংলাদেশ পাইনি এতেই বোঝা যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র নাই। দেশে গণতন্ত্র থাকলে গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পেত।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যদি পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হতেন তাহলে আগামী দিনে তাদের সঙ্গে আলোচনার একটা সুযোগ থাকতো। সে আলোচনার দরজাটাও শেখ হাসিনা বন্ধ করে দিলেন।’
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খাইরুল কবির খোকনের গাড়ি বহরে গুলিবর্ষণ ও হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলু বলেন, ‘দুদকের কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার সরকারের কোন লাভজনক পদে নিয়োগ পেতে পারেন কি না? দুদকের ৯ নাম্বার আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে তারা কোনো সরকারের লাভজনক পদে যেতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এত বর্ষিয়ান নেতা থাকতে
কী কারণে সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করা হলো? তার একটাই সফলতা বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া। যে মামলার কোনো প্রমাণ নেই। সাহাবুদ্দিন খালেদা জিয়ার নামের সেই মামলা দিয়ে পরিচালনা করে সাজার ব্যবস্থা করেছেন। সেই কারণে তাকে রাষ্ট্রপতি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলে তারা নাকি রাজপথ থেকে উঠে এসেছে। তাদের এত নেতা থাকতে সাহাবুদ্দিনকে কেন রাষ্ট্রপতি করা হলো? তাকে রাষ্ট্রপতি করে হাজার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই সাহাবুদ্দিন ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।’
ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়ার ৩০ দিনে ৩০ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। সেই ব্যক্তি আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন। যদি পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি হতেন তাহলে আগামী দিনে তাদের সঙ্গে আলোচনার একটা সুযোগ থাকতো। সে আলোচনার দরজাটাও শেখ হাসিনা বন্ধ করে দিলেন,যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর গণতন্ত্র সম্মেলন হয়েছিল সেখানেও বাংলাদেশকে ডাকেনি। এ বছরও গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি। পাকিস্তানও সেই সম্মেলনে দাওয়াত পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ পায়নি। এতেই বোঝা যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র কোথায়। গণতন্ত্র হরণ করে দেশ চালাচ্ছে সরকার।’
বুলু বলেন, ‘তাই এই সরকারের পতনের জন্য দেশ প্রেমিক সকল সংগঠন রাস্তায় নেমেছে। আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ সরকারের পতন হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ তাদের ভোটার অধিকার ফিরে পাবে।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে ও কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, কৃষকদলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/
