গ্রেপ্তার করে জনতার ঢল ঠেকানো যাবে না: রিজভী
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নানা ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগের গণসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। যেভাবে দেশের ৯টি বিভাগে ইতোমধ্যে গণসমাবেশ হয়েছে। তেমনই ঢাকা বিভাগের গণসমাবেশ হবে। এটা তো জাতীয় সমাবেশ নয়। এখানে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসবেন। কিন্তু সরকার সেটাকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে। এই কর্মসূচিতে হানা দেওয়া হচ্ছে। এসব তো করে ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী ও নাৎসী সরকার। আজকে সেটাই করছে আওয়ামী লীগ সরকার।
রিজভী বলেন, আজকে এসব চক্রান্ত ও গ্রেপ্তার করে বিএনপির কর্মসূচিতে জনতার ঢল থামানো যাবে না। আমরা যাদের লিফলেট দিচ্ছি তারা বলছেন আমাদের সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। এই যে তাদের মনের আকুতি ও আকাঙ্ক্ষা সেটা কিন্তু সরকার বন্ধ করতে পারবে না। তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগের গণসমাবেশ হলো আমাদের নিয়মিত কর্মসূচি ও আন্দোলনের অংশ। আমাদের আরও কর্মসূচি আসবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে দেশের মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নেই। দেশে গণতন্ত্র নেই। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। আজকে বিচার বিভাগ, প্রশাসন সর্বত্রই দলীয়করণ করা হয়েছে। সুশাসন ও গণতন্ত্রের জন্য যে ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকা দরকার সেগুলো নেই। সুতরাং আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ও সাজানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতেই এই আন্দোলন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিগগিরই ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশের স্থান নিয়ে জটিলতা নিরসন হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী আবুল বাশার, আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওমর ফারুক সাফিন, আমিনুল ইসলাম, আবেদ রাজা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, ডা. জাহেদুল কবির, মেহবুব মাসুম শান্ত সহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
এসএন