সর্বনাশা খেলা শুরু করেছে শেখ হাসিনা: রিজভী
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অনিবার্য পতন ঠেকাতে এই মাফিয়া সরকার জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। কি যে করবে তার দিশা পাচ্ছে না। রক্তচোখের আগুন মাখা গণমানুষের বজ্রনিনাদে ভয়-আতঙ্কে থর থর করে কাঁপছেন অবৈধ সরকারের মন্ত্রী-নেতারা। মনে হয় তারা চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপির গণসমাবেশগুলোতে ঘর-দুয়ার ছেড়ে আসা ভয়হীন মানুষের অভাবনীয় প্লাবন অবলোকন করে নিপীড়ক শেখ হাসিনা এখন ভয়ংকরভাবে সন্ত্রস্ত। সর্বাধিক জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-বেরিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রী উপর নির্যাতনের আরেকটি নতুন মাত্রা। এমনিতেই বন্দী করে রাখা হয়েছে তারপর একের পর এক বন্দীত্বের ঘেরাটোপে তাকে আরও কঠরভাবে বন্দী করে রাখার পাঁয়তারা চলছে।
রিজভী বলেন, রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে আমিনবাজার থেকে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নুরুল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের নেতাদের তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। তুলে নিয়ে যাওয়ার পরেও তাদের কোনো খোঁজ দেয়নি। এক মারাত্মক হিংসাশ্রয়ী প্রতিশোধে নেমেছে আওয়ামী সরকার।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের জনসমাবেশকে বানচাল করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্তর্ঘাতমূলক কাজে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক সর্বনাশা খেলা শুরু করেছে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেররা। কর্তৃত্ববাদী সরকারের সিংহাসন নড়ে উঠাতে ওরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, টাকা পাচার ও ভূমি দখলের মতো অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। কারণ অবৈধভাবে অর্থভিত্তের মালিক হওয়ায় ওরা আগামী দিনের বিচারের হাত থেকে বাঁচতেই ক্ষমতা আকড়ে রেখেছে। তাই ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সমাবেশকে শেখ হাসিনা নিরাপদ মনে করছে না। র্যাব-পুলিশকে দিয়ে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ধ্বংসের কাজ করেছেন। তাই তারা এখন শেখ হাসিনার হাতের পুতুল হিসেবে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য বেপরোয়া অভিযানে নেমেছে।
রিজভি বলেন, আমি খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে চেকপোস্ট ও ব্যারিকেড বসানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সেগুলো প্রত্যাহারের জোর আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু ও সহ-সভাপতি নয়নকে কোথায় রাখা হয়েছে তার খোঁজ দিয়ে তার পরিবারের কাছে হাজির করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ ডিবি পুলিশই তাদের তুলে নিয়ে গেছে। তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
এমএইচ/আরএ/