ডিসেম্বরেই স্বৈরতন্ত্রকে পরাজিত করতে হবে: দুদু
বর্তমান শাসক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, সামনে ডিসেম্বর মাস। ডিসেম্বর হচ্ছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতার বিজয়ের মাস, স্বৈরতন্ত্রকে পরাজিত করার মাস, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কার্যকরী মাস। তাদেরকে এই ডিসেম্বরে পরাজিত করতে হবে। পরাজিত করে দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র পুনর্জীবিত করতে হবে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'অপরাজেয় বাংলাদেশ' এর উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান বলেন, বিএনপির আন্দোলন শুধু খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন নয়, এ আন্দোলন দেশের জনগণের মুক্তির আন্দোলন। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। তাই এই আন্দোলনে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে, সেই আন্দোলনকারী সাত থেকে আটজনকে এ সরকার গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার দাবি করছি। আমরা দাবি করছি পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করেন। এটাই আমাদের দাবি।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এ দেশের ১৮ জন কৃষক ২৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল। তাদেরকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। অথচ এ দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। যারা পাচার করেছে এখন পর্যন্ত শুনি নাই তাদের নামে মামলা হয়েছে, তদন্ত হয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি ব্যাংক আগেই লোপাট হয়েছে। এখন শুনছি বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক যেটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল গত এক মাসে সেই ব্যাংক থেকে ১০-১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। যাদের নাম নাই, ঠিকানা নাই তাদের নামে এ টাকা লুটপাট করা হয়েছে। ক্ষমতায় এখন লুটেরাদের সরকার। এ দেশে লুটের উৎসব চলছে। তারা (আওয়ামী লীগ) লুট করার জন্য ক্ষমতায় এসেছে। পার্লামেন্টে এসেছে লুট করার জন্য। এদের যদি পতন করতে না পারি তাহলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
২০১৪ ও ১৮ নির্বাচন দেশের জনগণের জন্য লজ্জাজনক মন্তব্য করে কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, এ নির্বাচনে আমাদের যে ঐতিহ্যবাহী পুলিশ ছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। তাদের একটা অংশ, একটা গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। প্রশাসনকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে এই অবৈধ সরকার। যারা (পুলিশ) এই অপকর্ম করেছে তারা জানে না ৭১ সালে পাক হানাদারের বিরুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং যুদ্ধের অন্যতম সিপাহসালার ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তার দুই সন্তান তখন জেল খেটেছে। স্বাধীনতার জন্য এত কম বয়সে জেল খাটা তারেক রহমান ছাড়া আর অন্য কেউ আছে এটা খুঁজে বের করা খুবই কঠিন।
অপরাজেয় বাংলাদেশের সহসভাপতি কে এম ওয়াজেদ আলী সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, জিনাফ এর সভাপতি লায়ন মিয়া, মো. আনোয়ার, তাতী দলের যুগ্ম মহাসচিব কাজী মনির প্রমুখ।
এমএইচ/এসজি