'স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে'
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন পালন করেছিলেন অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকা। ডা. মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তখন নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত হয়। স্বৈরাচার হটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। বুকের রক্ত ঢেলে তিনি এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করে গেছেন। যে পথ বেয়ে দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়।’
শনিবার (২৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকার বিগত ১৪ বছর ধরে আবারও মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করেছে। দেশের মানুষ তাদের সব অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আবারও গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, প্রতিষ্ঠিত করতে হবে মানবাধিকার। সেজন্যই প্রথমে আমাদের গণতন্ত্রের আপসহীন বেগম খালেদা জিয়াকে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণা জোগাবে।’
বাণীতে বলা হয়, আজকের এই দিনে ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে আমি ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
এসএন