‘জাইমার কাছে শেখ হাসিনার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এখনো আমরা সরকার পতনের কথা বলিনি, পতনের ডাক দেই নাই। আন্দোলনের ঘোষণা করি নাই। ১০ ডিসেম্বর যাক, তারপর ওই খেলা খেলব। খেলার জন্য প্রস্তুত। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নামব, এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না। কারণ সরকার জনগণের নয়।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিলেটের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমান বাদ দিয়ে জাইমা রহমানের সঙ্গে শেখ হাসিনার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন গয়েশ্বর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, কথায় কথায় হুমকি দেন, ধমক দেন। শেখ হাসিনা সাহস থাকলে পদত্যাগ করুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। কথায় কথায় জিয়াউর রহমানকে খুনি বলা হয়, জিয়াউর রহমান যেদিন শহীদ হয়েছেন সেদিন ভোরে আগরতলায় সীমান্তে বোরকা মোড়কে কে আটক হয়েছিলেন? সেটা আপনি শেখ হাসিনা। কী কারণে পালাতে চেয়েছিলেন? এখনো গর্তের ভেতর থেকে সাপ বের করতে চাচ্ছি না। বাধ্য করবেন না। জিয়াউর রহমানের খুনের সঙ্গে জড়িত কি না সেই অনুসন্ধান করব আমরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলছেন খেলা হবে, খেলবেন? আমি তো জানি গভীর রাতে দরজা বন্ধ করে যে খেলা আছে উনি সেটা ছাড়া খেলা খেলতে পারেন না। খেলতে চান, খেলা আগে শিখেন, আনাড়ি খেলোয়াড়ের সঙ্গে বিএনপি খেলে না। পুলিশ দিয়ে দিনের ভোট রাতে কাটে সেই খেলা খেলে না। পদত্যাগ করুন, নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, খোলা মাঠে নেমে আসেন। তারপর খেলেন। ওবায়দুল কাদের ও শেখ হাসিনার সঙ্গে বিএনপির প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়ের প্রয়োজন হবে না, তৃতীয় শ্রেণির খেলোয়াড় দিয়েই খেলতে পারব।
প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুরের পর আজ সিলেটে গণসমাবেশ করছে তারা। এটি বিএনপির সপ্তম বিভাগীয় গণসমাবেশ।
এমএইচ/এসজি