শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে: মির্জা ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি আবারও বলছি, এখনও সময় আছে, নিরাপদে সরে যান, মানে মানে বিদায় হোন, পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় রেহাই নেই।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক কৃষক সমাবেশে এসব কথা বলেন। সার, বীজ, ডিজেল ও কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম কমানো এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে কৃষক দল।
বর্তমান অনির্বাচিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কৃষকদের কোমর ভেঙে দিয়েছে বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কৃষকরা তার পণ্যের ন্যায মূল্য পায় না। ডিজেলের দাম বেড়ে গেছে ৫০ গুন। বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেছে ১০ গুন। তাহলে এখন কৃষকরা কোথায় যাবে? তাই আমাদের বুকে চেপে বসে থাকা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।
আপনার কি শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চান; সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রতি এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন মির্জা ফখরুল। তখন সম্বসরে নেতা-কর্মীরা বলেন, না, না…। তখন বিএনপির মহাসচিব বলেন, তাহলে কি করতে হবে, নামাতে (ক্ষমতা থেকে) হবে। তাই না! শেখ হাসিনাকে নামাতে হবে। তারপর কি করতে হবে? একটা নির্বাচন করতে হবে। সেই নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা কি আবারও ২০১৮ সালের মতো আগের রাতের ভোটের নির্বাচনে যাবো? শেয়ালের কাছে কি মুরগি দিবো? তখন নেতা-কর্মীরা বলেন, না। তখন আবার মির্জা ফখরুল বলেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। তাই আমরা পরিষ্কার করে বলছি, এখনি পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন, তারপর অবশ্যই একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনগণ সংসদের ব্যবস্থা করুন।
বিএনপির সমাবেশগুলোর আগে পুলিশ দিয়ে সরকার গুলি করা হচ্ছে বলে দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সিরাজগঞ্জে আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রীকে পর্যন্ত আজকে গুলি করেছে। সিলেটে গুলি করেছে, হবিগঞ্জে গুলি করেছে। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্যে দেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আমিনুল হক, তাবিথ আউয়াল, ইকরাক হোসেন প্রমুখ।
এএজেড