‘আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যাগ গোছাচ্ছেন’
আগামী ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা ভয়ে আছেন মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আমি শুনেছি আওয়ামী লীগের নেতারা কেউ কেউ নাকি ব্যাগ গোছাচ্ছেন।’
বুধবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগে আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশ দুদু বলেন, নিজের সঙ্গে নিজের প্রতারণা করা ঠিক না। এই দিনই শেষ দিন না। আওয়ামী লীগের নামে যদি কিছু করেন। তার স্রষ্টা হচ্ছে মাওলানা ভাসানী। তাকে অস্বীকার করা যুক্তি সঙ্গত না। পাঠ্যপুস্তক ও জাতীয় পর্যায়ে মাওলানা ভাসানীকে প্রতিষ্ঠিত করলে শেখ মুজিবুর রহমানই তো সম্মানিত হবেন। কারণ, শেখ মুজিব তাকে নেতা মানতেন। তাকে নেতা মেনেই শেখ মুজিব বিরোধী দল করেছে। শেখ মুজিব যাকে নেতা মেনেছে আপনারা মানলে সমস্যা কী? এ প্রশ্ন যদি কেউ করে কীভাবে উত্তর দেবেন?
তিনি বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) সত্যকে যদি অস্বীকার করেন। গণতন্ত্রের প্রবাদ পুরুষকে অস্বীকার করেন তাহলে আগামী দিনে পতন অনিবার্য।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আপনারা (আওয়ামী লীগের নেতারা) ভয়ে আছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমি শুনেছি কেউ কেউ নাকি ব্যাগ গোছাচ্ছেন। ১০ তারিখ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন এমপি মন্ত্রী অস্থির হয়ে আছে। এত ভয় কিসের? মাওলানা ভাসানী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, ১৪ ও ১৮ সালে যে নির্বাচন করেছেন তাহলে তিনি বলতেন ‘হারামজাদারা এটা কি করেছে’।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন খেলা হবে। খেলা যে কেমন খেলেছেন ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে আমরা দেখেছি। এবার যে কী হবে ওবায়দুল কাদের সাহেব সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেছে। সামনের সময়টা আপনাদের বিদায় নেওয়ার সময়। আর কিছুই করার নেই আপনাদের।’
শামসুজ্জামান বলেন, মাওলানা ভাসানী যাকে বাংলাদেশের স্থপতি বলা যায়। তার মৃত্যুবার্ষিকী কমিটি তাকে নিয়ে প্রোগ্রাম করবে হল পাওয়া যায় না। হল দিতে চায় না। এই কথা বলতে নিজেরই লজ্জা লাগে। আমরা এমন একটা দেশে বাস করি। যে দেশের প্রধান কারিগরের মৃত্যুবার্ষিকী আলোচনা সভা করবে কিন্তু হল পাওয়া যায় না। হল দেয় না। এ লজ্জা এদেশের, জনগণের ও এই জাতির। এর আগে আমার মৃত্যু হলে এই লজ্জা থেকে বেঁচে যেতাম।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, শিক্ষা, কৃষি কোন জায়গায় নাই মাওলানা ভাসানী? অথচ আজকে আমরা তাকে ভুলে যাই। এ রকম নেতাকে কীভাবে ভুলে যায়? এ লজ্জা এদেশের এবং এই জাতির।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগীয় )আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
এমএমএ/