‘সরকারের কথায় বিএনপির মাথাব্যথা নেই’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বৈঠকে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ভেতরে কী আলোচনা হয়েছে তা বলতে পারব না।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির অবস্থানগত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি এমন প্রশ্নে আমির খসরু বলেন, এই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমি এই প্রেক্ষাপটে দেশে নির্বাচন, মানবাধিকার, আইনের শাসনসহ সবকিছু আলোচনা হয়েছে। তবে সবকিছু তো এখানে বলার সুযোগ নাই। বিএনপির পক্ষ থেকে সেখানে (বৈঠক) কী আলোচনা হয়েছে সেটা তো আমি বলতেই পারব না।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে তো বলাই হয়েছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। সেই নির্বাচনে যাওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না, বরং তার আগে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার আসতে হবে, তাদের অধীনে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার গঠন করবে। যাদের জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা থাকবে। এই অবস্থানে বিএনপি অনড় আছে। সুতারাং কে কী করছে, নির্বাচন কমিশন কী করছে, আওয়ামী লীগ কী করছে, সরকার কী বলছে এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নাই।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছেন কি প্রশ্নে আমির খসরু বলেন, নির্বাচন কমিশন তো আমাদের চিন্তার মধ্যেই নাই। কারণ এই কমিশন তো একটা অবৈধ কমিশন যা বারবার বলছি। একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যখন একটা নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে সেই কমিশনের সঙ্গে আমরা কথা বলব।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কানাডা মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, জীবনের নিরাপত্তা, আইনের শাসনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। কানাডাসহ কয়েকটা দেশ এগুলোতে দৃঢ় অবস্থান নেয় সব সময়। তারা কিন্তু বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন সময়... তাদের ওয়েবসাইটে গেলে আপনারা দেখতে পারবেন যেটা, বাংলাদেশ সরকারকে বাইলেটারেলি বলে আসছে যে, এখানে বাংলাদেশে মানবাধিকার ইস্যু লঙ্ঘন হচ্ছে।
মানবাধিকার বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কানাডার পক্ষ থেকে কনসার্ন তো আছেই। স্বাভাবিক। বাংলাদেশের জনগণের যেরকম কনসার্ন আছে, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো, মাল্টিলেটারেল বডি এবং মানবাধিকার সংস্থা সবার যেমন কনসার্ন আছে, তাদেরও তো কনসার্ন থাকা… বিশেষ করে মানবাধিকারের উপর তাদের গুরুত্ব অনেক বেশি, গণতন্ত্রের উপর তাদের গুরুত্ব অনেক বেশি।
কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে আমির খসরু বলেন, আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যকার সম্পর্কটা অনেক ডাইভারসিফাই একটা সম্পর্ক। প্রথমত, বাংলাদেশে আমাদের ২ বিলিয়নের বেশি রপ্তানি হয়। সেটা ২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে শুল্কমুক্ত সুবিধা যেটা কানাডা পেয়েছিল সেটা বিএনপির সময়ে নেগোশিয়েট হয়েছিল। যার কারণে আজকে এত একটা আমাদের রপ্তানির ডেসটেনি হয়েছে কানাডা। আামি তখন বানিজ্যমন্ত্রী ছিলাম, আমি কানাডার সঙ্গে এ নেগোশিয়েট করেছিলাম।
বৈঠকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ অংশ নেন।
এমএইচ/এসজি