আওয়ামী লীগ নেতাদের ভালো হতে বললেন আলাল
আওয়ামী লীগ তারেক রহমান আতঙ্কে ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সোমবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আতঙ্ক এমনভাবে পেয়ে বসেছে কোথায় বসে তারেক রহমান একটি শব্দ করল বা হাঁচি দিল সঙ্গে সঙ্গে এখানে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে যায়। এত কেন ভয়? চালাতেই যদি না পারেন তাহলে রাতের অন্ধকারে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়ে মাফ চান। তাকে বলুন অনেক অন্যায় করেছি মাফ করে দেন এবং দেশের সমস্যা সমাধানের জন্য আসুন এক সঙ্গে কাজ করি।
আলাল বলেন, দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য কমানোর দাবিতে আমাদের এই কর্মসূচি চলছে। আমরা তো বলিনি বিএনপি এই মুহূর্তে ক্ষমতায় যাবে। আমরা তো বলিনি খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে কিংবা তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। আমরা তো মানুষের কষ্টের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। সেই কষ্ট মানুষ অনুভব করতে পেরেছে বলেই বিএনপির সমাবেশগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনাদের (আওয়ামী লীগ) তিন দফার ক্ষমতার দুঃশাসনের হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়। এর প্রকৃত প্রমাণ হচ্ছে সমাবেশগুলো। মানুষের বেঁচে থাকার যে আকুতি সেই জায়গায় সমাবেশগুলোতে কোনো বিভেদ নেই।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস মালিক ও বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকরাই আবার ব্যাংকের মালিক। তারাই আবার আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় নেতা, আওয়ামী লীগের তহবিলে তারাই সবচেয়ে বেশি টাকা দেয়। তারপরেও এই অর্থবছরে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি কেন? যারা ব্যাংকের টাকা মেরে খেয়েছেন, মানুষের গচ্ছিত সঞ্চয়ের টাকা মেরে খেয়েছেন; সাধারণ মানুষের রক্ত শোষণ করেছেন আপনারা। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর খালেদা জিয়া।
আলাল বলেন, খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যে মামলায় তাকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। ৮ হাজার মাইল দূরে রয়েছে তারেক রহমান, তাকে নিয়েও এত ভয়। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা তারেক তারেক বলতে বলতে বেহুঁশ হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভালো হয়ে যান সময় আছে। ভালো না হলে, ভালো কীভাবে করতে হয় বাংলাদেশের মানুষ তা জানে।
মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আনিস আহমেদ, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদার প্রমুখ।
এসএন