ভয় দেখিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না: মির্জা ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
বুধবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন নেই, আমাদের লাগবে না। এখন দেখতে পাচ্ছি ঋণ নেওয়া হচ্ছে। ঋণ নিবেন ভালো কথা, কিন্তু ব্যয় করবেন কোথায়? বড় বড় মেগা প্রকল্প নয়, দেশের মানুষের প্রয়োজন এখন বেঁচে থাকার। ঋণ নিয়ে তো আবার জনগণের উপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা তো দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন।
আওয়ামী লীগের চরিত্রের মধ্যে গণতন্ত্র নেই দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। স্বাধীনতার পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন বিগত ১৪ বছর ধরে অনির্বাচিত সরকার হয়ে একটি ভিন্ন লেবাসে গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল প্রতিষ্ঠায় উঠে পড়ে লেগেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৫ শতাংশও ভোট জনগণ দেয়নি, আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে সেরে ফেলেছে। তাদের একটাই লক্ষ্য সেটা হচ্ছে দুর্নীতি, চুরি করে দেশকে ফোকলা করে দেওয়া।
বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে সরকার নতুন করে বন্দী ফিকির বের করছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলন বিএনপির জন্য নয়, আমরা আন্দোলন করছি জনগণের ভোটাধিকার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করতে। নতুন করে মামলা শুরু হয়েছে, মামলা দিয়ে পুরোনো খেলা শুরু করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কতটা ভয় পেলে মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মামলা দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে অধিকার আদায়ের লড়াই থেকে সরানো যাবে না। বরং সভা সমাবেশে জনসমাগম বাড়ছে।
এমএইচ/এসজি