শেখ হাসিনার পতনের জন্য বাড়াবাড়ি করা হবে: আমান
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথের আন্দোলনে ফয়সালা করা হবে। সরকার যাবে না; আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ এলডিপি আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কয়েক হাজার লোক শহীদ হলেও বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আমান বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যেভাবে চোখ রাঙিয়ে কথা বলছেন এই চোখ রাঙানো বন্ধ হয়ে যাবে। জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। অনেক কথা আমিরা শুনতে পাচ্ছি, গ্রেপ্তার করবেন। কজনকে গ্রেপ্তার করবেন! যখন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া সারা বাংলাদেশ বন্ধ হয়ে যাবে, কজনকে আটকাবেন! আমরা সিভিল প্রশাসনসহ পুলিশ বাহিনীকে বলব আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার নির্ধারণ হবে।
সংবিধান প্রসঙ্গে সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, বর্তমান সংবিধান চলবে না। জনগণের পক্ষের সংবিধান করতে হবে। আওয়ামী লীগ বারবার বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ৯০ সালের কথা মনে নেই, জনগণ আন্দোলন করে সংবিধান পরিবর্তন করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ রক্ত দিয়ে হলেও এ সংবিধান পরিবর্তন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করবে। এর বাইরে কোনো কথা নেই। সংবিধান তো জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। অতএব জনগণের সংবিধানই বাংলাদেশে চলবে।
বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে পাঠানো হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন আমান।
তিনি বলেছেন, কথা বলতে গেলেই যদি বাড়াবাড়ি হয় তবে শেখ হাসিনার পতনের জন্য আরও বাড়াবাড়ি করা হবে। জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। চোখ রাঙানো বন্ধ হয়ে যাবে।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, খালেদা জিয়ার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী যেসব কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে দেশের আইন তিনি (শেখ হাসিনা) ভ্যানিটি ব্যাগে রাখেন। যেন এ আইন তিনি নিজেই পড়েন, নিজেই তৈরি করেন। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, তিনি খালেদা জিয়াকে দয়া করে বাসায় থাকতে দিয়েছেন। বেশি বাড়াবাড়ি করলে নাকি আবার জেলে পাঠানো হবে। বাড়াবাড়ি আবার কী? দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবেন, আর আমরা কথা বলতে গেলে সেটা বাড়াবাড়ি হয়। তাহলে বর্তমান সরকারের পতনের জন্য এর থেকেও বেশি বাড়াবাড়ি করা হবে।
তিনি বলেন, আজকে মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়া সাজা ভোগ করছেন। অথচ একই ধরনের মামলায় বহু লোক জামিন পাচ্ছেন। প্রতিবাদ সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসী। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও এলডিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এসএন