বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল বহরে হামলা, আহত ৫
পটুয়াখালী থেকে বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপির মোটরসাইকেল বহরে হামলা চালিয়ে ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা বরিশাল ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের গাবুয়া বাজার এলাকায় জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য শাহজাহান খানের মোটরসাইকেল বহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা করেছে।
হামলায় আহত শাহজাহান খানের ছেলে জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পরে শাহজাহান খান তার লোকজন নিয়ে ৫০/৬০টি মোটরসাইকেলে পটুয়াখালী থেকে বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশে যাচ্ছিল। পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের গাবুয়া এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের মোটরসাইকেল বহরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ হামলায় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির এক নম্বর সদস্য শাহজাহান খান, বিএনপি কর্মী সাইদুল ইসলাম, ইসাহাক আলী, শাহ আলম ও নুরুল হুদাসহ ৭/৮জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সরকারি হাসপাতাল এই মুহূর্তে আমাদের জন্য নিরাপদ না। এতে আহতদের বরিশাল ও পটুয়াখালীর ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপি সদস্য মো. মজিবুর রহমান টোটন বলেন, বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশে আসার পথে শুক্রবার বিকাল থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা করা হয়েছে। এতে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। রাতেও আওয়ামী লীগের লোকজন মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। পরে বিকল্প ভাবে নৌ-পথে ট্রলারে পটুয়াখালী, বাউফল ও দশমিনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে আসা হচ্ছে। শুক্রবার বিকালের মধ্যে পটুয়াখালী থেকে ২০ হাজারের মতো নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার বলেন, বরিশালের সমাবেশে পটুয়াখালী থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের আসতে পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বাস ধর্মঘটের নামে যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য শাহজাহান খানের উপর হামলা হয়েছে। এভাবে হামলা চালিয়ে নেতা-কর্মীদের বরিশালে আসা বন্ধ করতে পারবে না।
এদিকে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হৃদয় আশীষ জানান, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি হামলার নাটক সাজিয়ে ছাত্রলীগের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে তারা।
এ বিষয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন তারা। দলীয় কোন্দলের জের ধরে বিএনপির কর্মীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর হামলার বিষয়টি তার জানা নেই।
এসআইএইচ