অস্তিত্ব রক্ষায় সরকার ভয় পেয়েছে: নজরুল ইসলাম খান
আওয়ামী লীগের জনসমর্থন নেই আমরা কখনো বলিনি উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা বলেছি তাদের জনসমর্থন দ্রুত নেমে যাচ্ছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের অদক্ষতার কারণে, জনগণের সমস্যার সমাধানের অক্ষমতার কারণে জনসমর্থনের পারদ দ্রুত নেমে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, পতনের আগে সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিস্ফুটিত হয়ে উঠছে।
দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পতনের আগে টিকে থাকার জন্য সরকার যেসব চেষ্টা করবে তাদের সেই চেষ্টা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে অতিক্রম করতে হবে। তাহলেই আমরা জয়লাভ করতে পারবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য যে লড়াই করছি সেই লড়াইকে আরও বেগমান করতে হবে। এই লড়াইটা এত সহজ না। ওরা এত অন্যায় গুম, খুন করেছে, এত বেশি টাকা লুটপাট করেছে বিদেশে এজন্য তাদের ভবিষ্যতে যে বিপদ সেই বিপদের কথা ভেবেই ভয় পায় তারা। জনগণের ক্রোধকেও ওরা ভয় পায়।
কোনো স্বৈরাচার সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, আইয়ুব খান পারেনি, হিটলার, মুসোলিন, এরশাদ পারেনি এই সরকার ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
বিএনপির সমাবেশের আগে সরকার বাস, মিনিবাস, লঞ্চ, এমনকি রিকশা পর্যন্ত বন্ধ করে দিচ্ছে দাবি করে নজরুল ইসলাম বলেন, তারপরও জনতার স্রোত বন্ধ করা যাচ্ছে না। সরকার যতই বাধা দিচ্ছে, সমাবেশের আকার আরও বাড়ছে, জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
অস্তিত্ব রক্ষায় সরকার ভয় পেয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এজন্য তারা আবোল-তাবোল বলছে। সেসব কথা তাদেরকে মানুষের কাছে হাস্যকর হিসেবে পরিগণিত করছে।
লড়াই করা সহজ নয় উল্লেখ করে এই শ্রমিক নেতা বলেন, সরকার এত দুর্নীতি, অন্যায়, গুম, খুন করেছে, এত মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করেছে, এসব অপরাধের কারণে এখন তারা ভয় পায়। আরও বেশি ভয় পায় যে, তারা এত টাকা পয়সা লুট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে, দেশের সর্বনাশ করেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে সরকার নিজেই ধর্মঘট ডেকেছে। কিন্তু জনস্রোত আটকানো যায়নি। ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। বিএনপির অফিসে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু মানুষকে ঠেকানো যায়নি। তারা নদী সাঁতরে, পায়ে হেঁটে এবং বাধা পেরিয়ে গণসমাবেশে যোগ দিয়ে সফল করেছেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদসহ লেবার পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
এমএইচ/এসজি