রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘মানুষ তেল কিনতে পারে না, প্রধানমন্ত্রী চিতল শিকারে ব্যস্ত’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের মানুষ যখন তেল-নুন কিনতে পারেন না, নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন প্রধানমন্ত্রী তখন গণভবনের পুকুরে চিতল মাছ শিকারে ব্যস্ত। ইদানিং প্রধানমন্ত্রী ভালো সাজার চেষ্টা করছেন। ভালো মানুষ সাজা সহজ, কিন্তু হওয়া কঠিন। জনগণের কঠিন আন্দোলনে বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের অবসান হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা স্টেডিয়ামে উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও তিনি কোনো শিক্ষা নেননি। তিনি এমন প্রতিষ্ঠানে পড়েছেন যেখানে প্রতিনিয়ত মিথ্যা শিখে ভাইস প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর ওই প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হলেন শেখ হাসিনা। সরকারি টাকা খরচ করেও আওয়ামী লীগ ঢাকা জেলার সম্মেলনে লোক আনতে পারেনি। ওখানে ছিল জ্বীন-ভূত। আর নওগাঁ জেলার সামান্য বদলগাছি উপজেলার সম্মেলন দেখে যান কী পরিমাণ লোক হয়েছে। সুতরাং মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করুন।

রিজভী বলেন, সরকারের উন্নয়নের সামনে রয়েছে পর্দা। যেটা সরালে দেখা যায় লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি। আজকে বলেছেন দুর্ভিক্ষ আসছে। বিশ্বের কোনো প্রধানমন্ত্রী এভাবে ভয় দেখায় না। এত উন্নয়ন করলেন তো মানুষের হাতে টাকা কোথায়? দুর্ভিক্ষ আসবে না, ইতোমধ্যে এসে গেছে। খাগড়াছড়িতে মা তার সন্তানকে বিক্রি করতে নিয়ে গেছে। এটা দুর্ভিক্ষের নমুনা। আর শেখ হাসিনা অবৈধভাবে মসনদে বসে আছেন। আপনি তো সেটা টের পান না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার নাকি লোডশেডিং জাদুঘরে পাঠিয়েছে। তাহলে এখন শতভাগ বিদ্যুৎ কোথায় গেল? বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ কোথায়? জনগণ এটা জানে যে, আপনার উন্নয়নের সামনে রয়েছে পর্দা। যেখানে আছে মানুষের কঙ্কাল। আজকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (এফএও) বলছে ৬৮ শতাংশ মানুষ খাবার কিনতে পারছে না। আজকে উন্নয়ন কোথায়? দুর্ভিক্ষের হাতছানি কেন? আসলে প্রধানমন্ত্রী তার নিজের ও দলীয় এবং আত্নীয়-স্বজনের জন্য উন্নয়ন করেছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা ও তার মন্ত্রী এমপিদের পকেট হাতড়ে দেখলে রিজার্ভের টাকা বের হবে। আওয়ামী লীগের যারা কানাডায় বেগম পাড়া বানিয়েছে তাদের পকেটে রিজার্ভের টাকা আছে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ভালো মানুষ হতে হলে সত্য কথা বলতে হবে। মানুষের উন্নয়ন করতে হবে। আপনি ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন কিন্তু হতে পারবেন না। আপনি মানুষের কল্যাণ ও শান্তি দিতে জানেন না। আপনি নূরে আলম, আব্দুর রহিম ও শাওনকে গুলি করে হত্যা করতে জানেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে অন্যায়ভাবে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে শতকরা ৫০ শতাংশ। আজকে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, দিনে বিদ্যুৎ দিতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন ভেন্নার তেল দিয়ে কুপি বা বাতি জ্বালাতে হবে। তাহলে এই কদিনেই বিদ্যুৎ, চাল-ডাল উধাও হয়ে গেছে? কারণ আপনার নিষ্ঠুর ভুল নীতি। কারণ আপনি জোর করে ক্ষমতায় আছেন। তিনি মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানানোর রেসিপি দিয়েছেন। তিনি কি সেটা খান?

তিনি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী গণভবনের পুকুরে চিতল মাছ শিকার করছেন। আর তিনি তার বোনকে সেটা দেখাচ্ছেন। তার মানে হলো দেশের অবস্থা খারাপ না। তিনি চিতল মাছ শিকার করছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জানেন না দেশের খেটে খাওয়া মানুষ চিতল মাছ খাওয়া তো দূরে থাক তেল, নুন কিনতে পারেন না। কারণ তিনি তো মহারানি ও মহাসম্রাজ্ঞী। তিনি তো সেটা টের পান না।

রিজভী বলেন, নির্বাচন হয় দিনের আলোতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনগণের দুর্বার আন্দোলন ও শক্তিকে ভয় পায় বলেই দিনের ভোট রাতে করেছেন।

তিনি বলেন, আজকে বিদ্যুৎ খাতের লুটপাট আড়াল করার জন্য তিনি ইনডেমনিটি আইন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি প্রধান অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। আর যে ঘটনার সঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই তাকে সেই মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দী করে রেখেছেন। আর আপনি ডাকাতের মতো সিংহাসন ধরে রেখেছেন। খালেদা জিয়া দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলেন। আর শেখ হাসিনা এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনের কথা বলেন। এখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার পার্থক্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। কোনো বুলেট ও টিয়ারশেল আমাদের রুখতে পারবে না। আজকে প্রমাণিত হয়েছে শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় নেই। মনে হয় জনগণ ক্ষমতায় রয়েছে। ইতোমধ্যে বিএনপির গণসমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতি সেটাই প্রমাণিত করে। এটা হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি তাদের সম্মান ভালোবাসা। ইনশাআল্লাহ দেশ থেকে তৃণমূল নেতাদের আন্দোলনে শেখ হাসিনার নমরুদীয় শাসনের অবসান হবে। তারা কোনো ধর্মঘট বা অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আমাদেরকে রুখতে পারবে না। আমাদের নেতা চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলীর গুম খুনের বিচার একদিন দেশের মাটিতে হবে।

এর আগে জাতীয় এবং দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রিজভীসহ দলের নেতারা। সুশৃঙ্খল সম্মেলন আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান রিজভী।

রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে ১১টি দৃষ্টিনন্দন তোরণ নির্মাণ করা হয়। রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা থেকে রাজশাহী ও নওগাঁ পৌঁছালে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলসহ বদলগাছী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ৫৪৮ জন কাউন্সিলের ভোটের মাধ্যমে বদলগাছী উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। ফজলে হুদা বাবুল ও আবদুল হাদী চৌধুরী টিপু দ্বিতীয়বারের মতো বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

বদলগাছী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলে হুদা বাবুলের পরিচালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকত, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসমবায় বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক সনি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল মতিন, জাসাসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ইথুন বাবু, জাহিদুল আলম হিটো, নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজীদ হোসেন পলাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম টুকু, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মো. রেজাউল ইসলাম রেজু, মো. আমিনুল হক বেলাল, মো. মামুনুর রহমান রিপন, মো. শফিউল আলম রানা সহ বদলগাছী উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের শীর্ষ নেতারা। এসময় নওগাঁ জেলার অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসজি

Header Ad
Header Ad

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ার জিরাবোয় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। আজ রোববার ভোরে একদল ডাকাত তার বাড়িতে ঢোকে এবং তাদের গুলিতে বিদ্ধ হন অভিনেতা। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও মা গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

তপু খান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরবেলা। কয়েকজন ডাকাত আজাদের বাসার রান্নাঘরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে। যার শব্দে বাসার সবাই টের পেয়ে রান্নাঘরে যায়। এ সময় অভিনেতার স্ত্রীর মাথায় এবং তার মায়ের পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত লাগে। এরপর ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময়ে আজাদের পায়ে তিনটি গুলি করে।

মা-স্ত্রীসহ অভিনেতা এখন রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আজাদের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার স্ত্রী এবং মায়ের চিকিৎসা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, অভিনেতার শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত। 

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু