আন্দোলনে ভেসে যাবে আওয়ামী লীগ: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সমাবেশে যেন নেতা-কর্মীরা না আসতে পারে সেজন্য সরকার অঘোষিত হরতাল-কারফিউ জারি করেছে। তবে কোনো বাধা না মেনে নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছে। বারবার আওয়ামী লীগই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র চালু করেছে ক্ষমতাসীনরা। আওয়ামী লীগ চুরি ও সন্ত্রাস থেকে বের হতে পারে না। সরকারের হুংকারে মানুষ ভয় পায় না। আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে।’
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে শনিবার এই বিভাগীয় সমাবেশ করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘চুরি, দুর্নীতি, ডাকাতি এগুলো আওয়ামী লীগের মজ্জাগত। তারা একটি চোরের দল। দুইটা জিনিস আওয়ামী লীগের বডি কেমিস্ট্রিতে আছে। ওখান থেকে তারা বের হতে পারে না। একটা হচ্ছে চুরি, আরেকটা হচ্ছে সন্ত্রাস। দেখবেন, তারা কথায় কথায় লাঠি নিয়ে আসবে, ভয় দেখাবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চোরের দল, আমার কথা না। কথাটা তাদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের। ১৯৭৪ সালে যখন আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কারণে দুর্ভিক্ষ হলো, সেই দুর্ভিক্ষের সময় তিনি বললেন- আমার তো সব চোরের দল। কম্বলগুলো যে আসল বিদেশ থেকে, আমার কম্বল কোথায় গেল। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১ হাজার ৩৮০টি সিসি ক্যামেরা ছিল, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাকি পর্যাপ্ত ছিল, পুলিশ-র্যাব পাহারায় ছিল, তারপর ওই নির্বাচন দুপুরের মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে। এ থেকেই প্রমাণ হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তাই এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। একটা বিষয়ে আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, দলীয় সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন কোনোদিন সুষ্ঠু হবে না। সেটা প্রমাণ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। একটা তলাবিহীন ঝুড়িকে তিনি সম্ভাবনাময় রূপ দিয়েছিলেন। তিনি বিদেশে লোক পাঠিয়েছিলেন। তাদের রেমিট্যান্সের টাকাতেই দেশ চলে। আর এখন আওয়ামী লীগ সেই রেমিট্যান্স ভেঙে খায়।’
এমএইচ/এসজি