এই সরকারের পতন অত্যন্ত প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ার জন্য যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা শুরু করেছি তারই অংশ হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় বসেছি। তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। এই কারণে এই সরকারের পতন অত্যন্ত প্রয়োজন।
সোমবার (৩ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল এ সব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আলোচনার মধ্যে আন্দোলনের যে দাবি-দফাগুলো আছে এরপর অন্যান্য আরও যে দল আছে তাদের সঙ্গে কথা বলব, সেখানে সবাই একমত হয়ে আন্দোলনের দাবি জনগণের সামনে উত্থাপন করব। সেই দাবিগুলোকে নিয়েই আমরা আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে যাব।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যে বিষয়গুলোতে একমত হয়েছি যে আমরা সবাই মনে করি এই সরকার পুরোপুরিভাবে একটি অনির্বাচিত সরকার। কর্তৃত্ববাদী সরকার এরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। এই কারণে এই সরকারের পতন অত্যন্ত প্রয়োজন। সেজন্য আমরা দাবি করছি এ সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, সংসদ বিভক্ত করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা অন্তর্ভুক্তকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে দেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন নতুন সংসদ গঠন করবেন সরকার গঠন করবেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে যারা বন্দি আছেন তাদের মুক্তি দিতে হবে, প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া আছে সেই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।
এ ছাড়াও আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জ্বালানি তেলসহ সরকারের নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে একমত হয়েছি। আশা করি আমরা সকলে একসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে এই দাবিগুলো নিয়ে পথ চলব।
এদিকে গতকাল ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি। সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে জোট শরীক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) দলটির সঙ্গেও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গেলেও জোটের একমাত্র শরীক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি সেখানে যাচ্ছে না। বরং বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির চেয়ারম্যান অলি আহমদের বাসায় সংলাপ করতে হচ্ছে। অলি আহমদ দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও পরবর্তীতে বিএনপি ছেড়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি গড়ে তুলেন। বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্ব সম্পর্কে একাধিকাবার নৈতিবাচক মন্তব্য করে সমালোচিত হন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
এমএইচ/আরএ/