ইডেন ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হচ্ছে: সেলিমা রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ৭২-৭৫ যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনো নারী অপহরণ, নারী ধর্ষণ, ব্যাংক লুট এমন কোনো অপকর্ম ছিল না যা তারা করেনি। এখন আবারো তা শুরু করেছে যার দৃষ্টান্ত ইডেন কলেজ। ছাত্রীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। যারা এই অনৈতিক কাজ করতে রাজী হচ্ছে না তাদের উপর নেমে আসছে নির্যাতন। অথচ এই দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে সেই সম্মান ও মর্যাদাকে আজকে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে বর্তমান অনির্বাচিত সরকার।
সোমবার (৩ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন সেলিমা রহমান। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে, সামাজিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে সমাজকে কলুষিত করছে। অবৈধ সরকার ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে অন্ধকারে টেলে দিচ্ছে।
মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গোটা দেশকে লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে শেখ হাসিনা। এই অনাচার চলতে দেওয়া যায় না। শেখ হাসিনা আপনি দেশকে নরকের দিকে পাঠানোর চেষ্টাও করেন, এটা প্রতিহত করবে জাতীয়তাবাদী শক্তি। এখানে শান্তি, সভ্যতা, শিষ্টাচারের পরিবেশ সৃষ্টি করবে জাতীয়তাবাদী শক্তি’।
ইডেন কলেজকে ঘিরে সম্প্রতি যে ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে তার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘মানুষকে হত্যা করা, সিট বাণিজ্য-ভর্তি বাণিজ্য এটা ছাত্রলীগের অন্যতম কাজে পরিণত হয়েছে। কারণ তাদের অভিভাবক আওয়ামী লীগ ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নারীদেরকে নারীদাস বাজারে পরিণত করছেন। ছাত্রলীগ আজকে সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতনকারী এই অনির্বাচিত আওয়ামী লীগের কারণেই। যা আমরা ইডেন কলেজে দেখতে পাচ্ছি’।
দুর্বৃত্তায়ন করা আওয়ামী লীগের চরিত্র মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৭২-৭৫ আওয়ামী লীগ লাল বাহিনী, নীল বাহিনী, রক্ষী বাহিনী তৈরি করে নির্যাতন চালিয়েছে। এখন তারা ছাত্রলীগ-যুবলীগ, পুলিশ লীগ দিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করতের রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও তারা দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে।
নারী সমাজকে রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। এদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে বলা উচিত ধর্ষণ লীগ, নারী নির্যাতনকারী লীগ, গুন্ডা লীগ। এদের হাতে আমাদের মা-বোনরা নিরাপদ নয়। এদেরকে বহিষ্কার করা হোক।
এমএইচ/আরএ/