শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রধানমন্ত্রীর মুখে ‘যুদ্ধ-নিষেধাজ্ঞা চাই না’ কথা বেমানান: ফখরুল

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে তিনি বিদেশে গিয়ে বড় বড় কথা বলছেন— আমরা যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না। কেউই চায় না এ রকম যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু তার মুখে এই সব কথা মানায় না। তিনি নিজেই এ দেশে হত্যার সঙ্গে জড়িত।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ সব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে হত্যা হচ্ছে, গুম হয়ে গেছে আমাদের ৬০০ অধিক নেতাকর্মী। অসংখ্য ছাত্রদলের নেতা গুম হয়ে গেছে মায়ের কোল খালি করে। মা জানে না, বাবা জানে না কোথায় তারা। শত শত মানুষকে থানায় নিয়ে তারা পঙ্গু করে দিয়েছে। সহস্রাধিক মানুষকে তারা হত্যা করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে। এই সরকারের অন্যায় নির্দেশ মানতে গিয়ে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সাত জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই। কারণ তারাই এর নির্দেশ দাতা।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ইতোমধ্যে এই সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দিয়েছে। মানুষ বলে দিয়েছে তোমাদের আর দরকার নেই। বলে দিয়েছে ‘এনাফ ইজ এনাফ ইউ জাস্ট লিভ’।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড আ ফ ম ইউসুফ হায়দারের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন— বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেছেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পুরোপুরিভাবে বিকৃত করা হচ্ছে। শুধু আংশিক নয় পুরোপুরি, একটা ভিন্ন কৌশলে।বাংলাদেশের মানুষ ৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল একদিনে নয়। তাদের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘকাল সংগ্রাম হয়েছে, সেই সংগ্রামে অনেক ত্যাগী নেতার অবদান আছে, আত্মত্যাগ আছে। তাদের কথা কোথাও উল্লেখ করা হয় না। যারা যুদ্ধ করলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, রনাঙ্গণে যুদ্ধ করলে তাদের নামও উচ্চারণ করা হয় না। এমনকি প্রবাসী থেকে প্রবাসী সরকারে যারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করলেন তাদের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করা হয় না। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নাম একবারের জন্য বলা হয় না। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করলেন জিয়াউর রহমানের নামও একবার উল্লেখ করা হয় না। বরং তাকে কি করে খাটো করা যাবে তার অবদানকে মুছে ফেলা যাবে সেজন্য ভিন্ন রকমে অপকৌশল চালানো হচ্ছে যা ভাষায় উচ্চারণ করাও যায় না।’

তিনি বলেন, এরা (বর্তমান সরকার) আসলে আহম্মকের স্বর্গে বাস করে, মনে করে তারা কথা বললে মিথ্যা কথা বললেই ইতিহাস সেটা নিয়ে নেবে, কিন্তু ইতিহাস তো সেটা নেয় না। ইতিহাস যা সত্য তাই নেয়। এবং ইতিহাসকে কেউ ইচ্ছা করলে বিকৃত করতে পারে না। আজকে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম, লক্ষ্য শহীদের নাম, মুক্তিযোদ্ধার নাম ইতিহাস থেকে কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না। সেজন্য আমাদের দায়িত্ব যারা রাজনীতি করছি সমগ্র জাতিকে সত্য কথাটা জানাতে চাই।

স্বাধীনতার ৫১ বছর অতিবাহিত হচ্ছে কি দুর্ভাগ্য হতভাগা জাতি আমরা এখনো আমাদের কে যে বিষয়ে আমরা পাকিস্তানের হানাদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম সেই একই সমস্যা নিয়ে এখনো আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে, রাজপথে নামতে হচ্ছে, চিৎকার করতে হচ্ছে। একটা দাবি আমি আমার অধিকারটা চাই। সেই অধিকার হচ্ছে আমি যে এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ সেই মালিকানা পেতে একদিন ভোট দিয়ে আমার প্রতিনিধি নির্বাচন করব যারা দেশ পরিচালনা করবে। আমি আমার কথা বলার স্বাধীনতা ফেরত চাই। আমি আমার বাংলাদেশ কে ফেরত চাই, দেশের আত্মাকে ফেরত চাই।

খালেদা জিয়াকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কেন বলি, যে দিন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেদিন তিনিও ওই ক্যান্টেনমেন্টে ছিলেন। তার কাছে সৈনিকেরা যখন জিজ্ঞাসা করেছিলেন পাকিস্তান আমাদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করতে চাচ্ছে তখন তিনি বলেছেন জিয়াউর রহমানের নির্দেশ ছাড়া তোমরা কোনো দিন আত্মসমর্পণ করবে না। তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো দুই শিশুকে রেখে যখন জিয়াউর রহমান যুদ্ধে চলে গেলেন তখন এই তিনি (খালেদা জিয়া) দুই পুত্রের হাত ধরে আরেকটা নতুন যুদ্ধ শুরু করেন সেই যুদ্ধ হচ্ছে এইভাবে টিকে থাকার যুদ্ধ, যুদ্ধকে সাহায্য করার যুদ্ধ। কিন্তু পাক হানাদার বাহিনী যখন তাকে গ্রেফতার করে তারপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাই তিনি মুক্তিযোদ্ধা হবেন না, তাহলে কে মুক্তিযোদ্ধা হবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, যারা মুক্তিযুদ্ধের একটা ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আছে তারা? তাই অবশ্যই তিনি (খালেদা জিয়া) প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা।’

সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই ক্ষমতাসীনদের এমন বক্তব্যের সমালোচনায় তিনি বলেন, ‘দেড় মাসে বিএনপির প্রায় ২০ হাজারের অধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অথচ এরা গলা উঁচু করে বলেন সংবিধান অনুযায়ী সবকিছুই চলবে। সংবিধান তো তোমরাই আগে খেয়ে ফেলেছ। ৭৫ সালে খেয়েছ প্রথম যে সংবিধান রচনা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বিখ্যাত মানুষেরা। যে সংবিধানকে এই দেশের মানুষ মেনে নিয়েছিল। সেই সংবিধানকে তোমরা ছিন্ন ভিন্ন করে চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের সমস্ত রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল করা হয়। তোমরাই করেছিলে অন্য কেউ করেনি। আজকে তোমরাই আবার নতুনভাবে নতুন কায়দায় নতুন ছদ্মবেশ নিয়ে সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করতে চলেছ। এই কথা গুলো আমাদের বার বার বলতে হয় কারণ এরা মানুষকে প্রতারণা করে, মিথ্যা বুঝায়। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে, এমনভাবে করেছে যে এখন সাহস করে কেউ সত্য কথাটা বলতে পারে না।’

মুন্সিগঞ্জের নিহত যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওন কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে বেশকিছু আওয়ামী গণমাধ্যম গুলো বলছে তাকে নাকি পেছন থেকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থা মৃত্যু হয়েছে। অথচ তার ডেথ সার্টিফিকেটে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, ‘শহিদুল ইসলাম শাওন মেসিভ ব্রেইন ইনজুরি ডিউ টু গান শর্ট’।

বাংলাদেশের মানুষকে জেগে উঠতে হবে, তরুণদের জেগে উঠতে হবে, শাওন, রহিম ও নূরে আলমের রক্ত বৃথা যেতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এমএইচ/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত