শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আন্দোলনে থাকবে বিএনপি

আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রীতিমতো সংঘাতের দিকে যাচ্ছে রাজনীতি। এতদিন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো বক্তব্য দিলেও এখন সেটি রাজপথে সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ৪ জনের প্রাণহানিও হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। এসব সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যরাও আহত হয়েছেন।

হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠা রাজনৈতিক অস্থিরতার এই পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতারা বলছেন, দলের নেতা-কর্মীরা যাতে মাঠে নামতে না পারে সেজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পুলিশকে ব্যবহার করে এখন নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। হামলা করছে, মামলা দিচ্ছে। এতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকে ঘরবাড়ি ছাড়া। গ্রেপ্তার এড়াতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অনেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। যারা এলাকায় অবস্থান করছেন তারাও রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন না। এমনকি তৃণমূলের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের তালিকা করে তাদের বাসায় প্রতিদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীদের।

দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছে, আন্দোলনকে সামনে রেখে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে রাজপথে বিএনপির সক্রিয় নেতা-কর্মীদের টার্গেট করে নতুন নতুন মামলা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, হামলা করা হচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুরোনো মামলায় ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির স্থানে নাম ঢুকিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। দ্রুতগতিতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মামলার চার্জশিটও। একই গতিতে চলছে বিচার কাজও।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বিএনপি যখন আন্দোলনের প্রস্তুতি ও দল গোছানোর কাজ শুরু করেছে ঠিক সেই মুহূর্তে সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মামলা জালে আটকানোর কৌশল নিয়েছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে কারা জড়িত তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। অনেক এলাকায় মামলার আগেই নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। যাদের নামে মামলা নেই তাদেরও আটক করে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় ৪০০ জনকে। মামলার খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে গ্রেপ্তার আতঙ্কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তিরত চিকিৎসাধীন বিএনপির ১৬ নেতা-কর্মী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এ ছাড়া পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও নিহত যুবদল কর্মী শাওনের বড় ভাইয়ের পৃথক পৃথক দুটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই অধিকাংশ নেতা-কর্মী এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।

অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা বলছেন, কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা মামলা থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করতেই পারে। আর আইন অনুযায়ী মামলার বিচারকাজ চলছে। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বা বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল নেই। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আন্দোলনের নামে কেউ জ্বালাও-পোড়াও করলে ছাড় দেওয়া হবে না।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকার একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। নানা ব্যর্থতা আড়াল করা ও বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে সহিংসতাকে উসকে দিয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা এবং তাদের গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে সামনে রেখে বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে সরকার ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নতুন নতুন মামলা দায়ের করা হচ্ছে। অজ্ঞাত মামলায় কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করছে। সক্রিয় নেতাদের টার্গেট করে নতুন নতুন মামলা দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না থাকলেও নতুন মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মামলার জালে জড়িয়ে অনেক নেতা-কর্মীই বাড়ি ছাড়া।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে তারা আবারও একতরফা একটি নির্বাচন করার পাঁয়তারা শুরু করেছে। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নয়। এবার একতরফা নির্বাচনের স্বপ্ন তাদের পূরণ হবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির সক্রিয় নেতাদের টার্গেট করে নতুন নতুন মামলা দিচ্ছে। নেতা-কর্মীদের মাঝে ভীতি সৃষ্টির লক্ষ্যে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা আবারও দেশে একটি একদলীয় নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। মামলা-হামলা করে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা যাবে না। জনগণ এবার তাদের ভোটাধিকার রক্ষায় কোনো ছাড় দেবে না।

তিনি আরও বলেন, সরকার বিএনপির আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ রাখতেই এসব ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি।

এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার নামে হয়রানি করছে এবং দেশে বিরাজমান ভয়ের পরিস্থিতিকে আরও আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলছে।

তিনি বলেন, বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর কমিটির তালিকা সংগ্রহ করছে পুলিশ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সংবিধান ফৌজদারী কার্যবিধি পুলিশ আইন বা পুলিশবিধি কিংবা অন্য কোনো আইন দ্বারা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রম একদিকে যেমন নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ন করছে তেমনি নাগরিকের আইনি অধিকার ভোগ করা এবং তার ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে প্রতীয়মান হয়, যা সংবিধানের ৩১, ৩২ এবং ৪৩ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, নেতা-কর্মীদের পেশা, সন্তান-সম্পত্তির বিবরণসহ ১৪ গোষ্ঠীর যাবতীয় বিষয়ে পুলিশের তথ্য সংগ্রহ দেশে বিরাজমান আতঙ্কের পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলছে। বিএনপি এই অবস্থার অবসান চায়। আমরা পুলিশ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, এভাবে সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত