‘ভারত তাদের উপর খুশি নয়’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ভাবলাম, প্রধানমন্ত্রী এবার ভারতে গেছেন। আমাদের তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির সমাধান হবে, অভিন্ন নদীর পানির হিতসা আমরা পাবো, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে। আমাদের যে বাণিজ্যে ব্যবধান আছে সেই ব্যবধানগুলো কমে আসবে। আমাদের আরও সুযোগ-সুবিধা তারা (সরকার) নিয়ে আসতে পারবেন এবং তারাও সেই আশা করে গিয়েছিলেন যে ভারত সেগুলো দিয়ে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত তো এখন তাদের উপর খুশি নয়। নৃত্য-গীতে ভরপুর একটা সফর দিয়েছেন, সফরটা নৃত্যগীতে ভরপুর ছিল। আমার দেশের মানুষ যখন মারা যাচ্ছে, যখন নাকি গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে, যখন মাকে তার সন্তান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তখন তারা জয়পুর বিমান বন্দরে গিয়ে নাচানাচি করছেন। আজকে এই দেশের মানুষ এটা ক্ষমা করবে না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিন মতিঝিল-পল্টন-শাহজাহানপুর থানার যৌথ উগ্যোগে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি এবং ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়নগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, অবশ্যই আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। আমরা মনে করি, ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ। আমরা অবশ্যই আশা করি যে, ভারত আমাদেরকে বাংলাদেশের জনগনকে ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল, সেই ভারত অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের যে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম, যে লড়াই তাতেও তারা সহযোগিতা করবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকে আমরা ওটাই আশা করি। একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের ভালোবাসা না নিয়ে, বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন না নিয়ে এখানে কেউ কখনো কিছু করতে পারবে না। তাই আমরা আজকে যে ভয়াবহ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে… তাদেরকে সরাতে হলে আমাদেরকে ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সেই ঐক্যে সমস্ত জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে ওদেরকে সরিয়ে এখানে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
বিরোধী নেতা-কর্মীদের উপরে পুলিশের গুলি বর্ষণের ঘটনাকে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করে সরকারের এহেন কর্মকাণ্ড এবং দেশের আর্থিক খাতে ক্ষমতাসীনদের ‘খাশ লোকদের’ দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।
মহানগর দক্ষিনের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক এসকে সিকদার কাদিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিনের রফিকুল আলম মজনু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ শাহবাগ-পল্টন-মতিঝিল থানা মহাগরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এমএইচ/এমএমএ/