শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি সাহস যোগাচ্ছে বিএনপির

প্রতিষ্ঠার পর গত এক যুগের বেশি সময় ধরে কঠিন পরীক্ষার মুখে থাকা বিএনপি চলমান সংকট উত্তরণে লক্ষ্য অর্জনে চূড়ান্ত কৌশল গ্রহণ করতে পারছে না। তবে দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকা মহানগরীর সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে উজ্জীবিত দলটির নেতারা। গত কয়েক বছর ধরে বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়া দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন করে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। যার ফলে এই মুহূর্তে দলটি ধীরে ধীরে অনেকটাই সাংগঠনিক শক্তিতে সুসংগঠিত হয়ে উঠতে শুরু করেছে। ঘোষিত কর্মসূচিতে সেই প্রতিফলন দেখা দিচ্ছে। নেতা-কর্মীদের এই সরব উপস্থিতির প্রবল আগ্রহ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ব্যাকুলতা হাইকমান্ডকেও সাহস জোগাচ্ছে। তাই সরকারবিরোধী আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার ১ সেপ্টেম্বর দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালীতে রাজপথে শো-ডাউন করে নিজেদের সক্ষমতা জানান দিয়েছে দলটির নেতা-কর্মীরা। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই উঠে এসেছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়েরর একাধিক নেতা বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক মাস এভাবেই মাঠ গরম রাখবে দলটি। এরপর এক দফা নিয়ে রাজপথ দখলের চিন্তাভাবনা রয়েছে। তৃণমূল থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন ধীরে ধীরে বেগবান করা হবে। হামলা-মামলা কিংবা গ্রেফতার কোনো কিছুতেই রাজপথ না ছাড়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কখন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে তা সময়মতো হাইকমান্ড থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালীর শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ আমরা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের মানুষ ও এই সরকারকে জানান দিতে চাই এই মুহূর্তে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সবচেয়ে বড় দল। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই এই বিএনপির জন্ম।’

নানা আলোচনা-সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিতে পেরেছি দাবি করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, ‘জামায়াত ছাড়া বড় শোডাউন দেখানোই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা দেখিয়েছি কর্মীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে, আগামীতে জামায়াত ছাড়াও যে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করাও সম্ভব হবে।

এদিকে জনসমাগম বাড়লেও আগামী দিনের কর্মসূচি ও তার ধরন নিয়ে সতর্ক বিএনপি। সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার থাকলেও এখনই বড় কর্মসূচিতে যেতে বিএনপি কেন রাজি নয়, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলছে, এখনই বড় কর্মসূচি দিয়ে তারা সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চান না। বড় কর্মসূচি দিলে সংঘাত হবে এবং সরকার মামলা-হামলা আরও বাড়াবে। তার চেয়ে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রেখেই বড় আন্দোলন গড়তে চাইছে দলটি। তাই আপাতত জনবান্ধব সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, লিফলেট বিলি এই ধরনের কর্মসূচি দিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে দলটির হাইকমান্ড। সেজন্য সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিয়েই কার্যকর কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।

সংশ্লিষ্টদের মতে, রাজপথে ফিরেছে বিএনপি। এতে দলের নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা, উজ্জীবিত। এটিকে আগামীতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের রসদ মনে করছে দলের হাইকমান্ড। তারা এখন নেতা-কর্মীদের এই উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে ধারাবাহিক সভা-সমাবেশ কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করছে। কারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণসঞ্চার করেছে। লাগাতার কর্মসূচিতে হাজার হাজার লোকসমাগম হওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ফুরফুরে ভাব দেখা যাচ্ছে। এবার চলমান আন্দোলনের সফলতা আসবে। এ বিষয়ে নেতা-কর্মীরা আত্মপ্রত্যয়ী। আন্দোলন-সংগ্রাম সঠিক পথেই আছে। জনগণ এখন বিএনপির ডাকে স্বতঃস্ম্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, ‘আজ দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে জনতার ঢল নেমেছে। নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণই প্রমাণ করে অবৈধ সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। চারদিকে তাদের পতনের আওয়াজ উঠেছে। সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি, ভোট ডাকাতি, গণতন্ত্র হরণ ছাড়াও এখন জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। এ অবস্থার পরিবর্তন চান বলে তারাও মাঠে নেমেছেন। এ জন্য বিএনপির কর্মসূচিতে নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা মামলা-হামলায় জর্জরিত। পুলিশের গুলি প্রাণ দিচ্ছে, এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা জেগে উঠেছে। সাংগঠনিকভাবে শক্তি সবার বেড়েছে। রাজনীতিতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। দল এবং কর্মীদের জন্য এটা ইতিবাচক দিক। আর এটাকেই ধরে রেখেই আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে হবে।’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) আব্দুস সালাম আজাদ ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, ‘কর্মসূচিতে তৃণমূলে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘোষিত কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও অংশ নিচ্ছেন। হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার-গুলি করে এবার নেতা-কর্মীদের দমাতে পারবে না। আমরা রাজপথে থাকব।’

এসএন

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি