দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
নারায়নগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বাদ জুম্মা সারাদেশে গায়েবানা জানাজা ও শনিবার সারাদেশে প্রতিবাদ সভার কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে র্যালি উদ্বোধনের বক্তব্যে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালিটি নাইটেঙ্গল মোড়, বিজয় নগর সড়ক, পল্টনের মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। বড় আকৃতির জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকার পাশাপাশি রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেষ্টুন, জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের প্রতিকৃতিসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা এই র্যালিতে অংশ নেয়। র্যালীতে ঘোড়ার গাড়ি ও হাতিও ছিলো।
র্যালির আগে ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা এই র্যালির মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসী ও এই সরকারকে জানিয়ে দেবো যে, বিএনপি এখন সবচেয়ে বড় দল। এই দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব।’
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিন নারায়নগঞ্জে পুলিশের হামলায় যুব দলের শাওন প্রধানকে হত্যার ঘটনাসহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলের নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর দাবিতে আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি করতে গিয়ে ভোলাতে আমাদের ছাত্র দলের নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছে।
তিনি বলেন, যখন মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে তখন তারা(সরকার) মনে করেছে চুরি করে, গুম করে, হত্যা করে, অত্যাচার-নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখবে। এই বিএনপির জন্মই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য।
র্যালিতে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
মহানগর বিএনপি উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য রাখেন।
র্যালি উপলক্ষে নয়া পল্টনসহ শান্তিনগর পর্যন্ত ব্যাপক পুলিশ ও সাদা পোষাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে মোতায়েন করা হয়। শোভাযাত্রার অগ্রভাবে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা ছিলো।
দুপুর থেকে নয়া পল্টনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। র্যালি শুরু হওয়ার পর এক ঘন্টা নয়া পল্টন, ফকিরাপুল, মালিবাগ, বেইলি রোড, কাকরাইল, বিজয় নগর সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
এমএইচ/এএস